আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
422 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (51 points)
edited by
আরিফ উস্তাদের ক্লাসে জেনেছি,  নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমস্ত কাজ ই ছিল ওহী।
আমার প্রশ্ন হলো, নবীজি বিভিন্ন সময় যে কিছু ভুল করেছিলেন তা ও কি ওহী?
যেমন - ইনশা আল্লাহ বলতে একবার ভুলে গিয়েছিলেন।
আরেকবার,  নিজের জন্য মধু হারাম করে নিয়েছিলেন যার জন্য পরে আল্লাহ তায়ালা তাকে সতর্ক করেছিলেন।
** এই টাইপের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর টা পাই না প্রায় ই। উত্তর টা অন্যদিকে চলে যায়।  প্লিজ উস্তাদ এই প্রশ্নের উত্তর টাই দিবেন  কষ্ট করে।

1 Answer

0 votes
by (588,960 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুহতারাম উস্তাদ ঠিকই বলেছেন,
নবী সা. দ্বীনের ব্যাপারে যা কিছু বলতেন, করতেন,আদেশ দিতেন , তার সবকিছুই ওহী ছিলো। যেমন আল্লাহ আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَى وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىإِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَى
নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়।তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা।

তবে উনি মাঝে মধ্যে নিজ ইজতেহাদ দ্বারা তথা নিজের পক্ষ থেকেও নিজ বিবেচনা দ্বারা দুনিয়াবী কথা বলতেন। যেমন বর্ণিত রয়েছে,
তাল্হাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : " مَرَرْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْمٍ عَلَى رُءُوسِ النَّخْلِ ، فَقَالَ : ( مَا يَصْنَعُ هَؤُلَاءِ ؟ ) فَقَالُوا : يُلَقِّحُونَهُ ، يَجْعَلُونَ الذَّكَرَ فِي الْأُنْثَى فَيَلْقَحُ ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( مَا أَظُنُّ يُغْنِي ذَلِكَ شَيْئًا ). قَالَ فَأُخْبِرُوا بِذَلِكَ فَتَرَكُوهُ ، فَأُخْبِرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ فَقَالَ : ( إِنْ كَانَ يَنْفَعُهُمْ ذَلِكَ فَلْيَصْنَعُوهُ ، فَإِنِّي إِنَّمَا ظَنَنْتُ ظَنًّا ، فَلَا تُؤَاخِذُونِي بِالظَّنِّ ، وَلَكِنْ إِذَا حَدَّثْتُكُمْ عَنِ اللهِ شَيْئًا فَخُذُوا بِهِ ، فَإِنِّي لَنْ أَكْذِبَ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ) .
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে খর্জুর বৃক্ষের মাথায় দাঁড়ানো একদল লোকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এরা কি করছে? মানুষেরা বলল, এরা খেজুর গাছের পরাগায়ণ করছে। নরকে মাদীর (কেশর) সংমিশ্রণ করে, ফলে তা গর্ভ ধারণ করে। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার মনে হয় না এতে কোন লাভ হয়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বক্তব্য সাহাবাদের নিকট পৌঁছলে তাঁরা প্রজনন কর্ম থেকে বিরত থাকেন। তারপর এ সংবাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেয়া হলো। তিনি বললেন, এতে যদি তাদের লাভ হয়ে থাকে তবে তাঁরা করুক। আমি তো ধারণাপ্রসুত- এ কথা বলেছি। তাই তোমরা আমার অনুমানকে ধরে রেখো না। কিন্তু আমি যদি আল্লাহর তরফ হতে কোন কথা বলি, তবে সেটার উপর ‘আমাল করো। কারণ আমি আল্লাহর উপর কখনই মিথ্যা অপবাদ দেই না।সহীহ মুসলিম-(শামেলা)২৩৬১ (ই.ফা. ৫৯১৪, ই.সে. ৫৯৫২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,960 points)
সংশোধন ও সংযোজন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...