আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম।মেয়েরা কি ঈদুল ফিতরে ঈদের তাকবির দিতে পারবে?ঈদুল ফিতরে ঈদের তাকবির বলার সময়সীমা কখন থেকে কখন?


আর মেয়েরা শরীয়তসম্মতভাবে কীভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারে? বেশিরভাগ মেয়েই তো ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবে না। এক্ষেত্রে আমাদের জন্য যদি কিছু বলতেন।

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://ifatwa.info/74129/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান হলো মহিলাদের উপর জামা'আত জরুরি নয়,এই কারনে জুম'আ এবং উভয় ঈদের নামাজ তাদের উপর ওয়াজিব নয়।
যেহেতু জুম'আর স্থলাভিষিক্ত জোহরের নামাজ,তাই তারা জুম'আর দিন বাসায় জোহরের নামাজ আদায় করবে।
তব ঈদের নামাজের যেহেতু কোনো স্থলাভিষিক্ত নেই,তাই ঈদের নামাজের পরিবর্তে তাদের উপর কোনো নামাজ নেই। 
,
★সুতরাং মহিলারা ঈদের নামাজ পড়বেনা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৫/১৯৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عن نافع عن ابن عمر: أنہ کان لا یخرج نساء ’ في العیدین، وفي روایۃ عن ہشام بن عروۃ عن أبیہ: أنہ کان لا یدع امرأۃ تخرج إلی فطر و لا أضحی۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۴؍۲۳۴ المجلس العلمي، تاتارخانیۃ ۲؍۲۰۸ رقم: ۳۴۱۸)
সারমর্মঃ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত,ঈদের নামাজে মহিলারা বের হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
হানাফি মাযহাব মতে মহিলাদের উপর ঈদের নামাজ নেই।
যেহেতু তাদের উপর ঈদের নামাজই নেই,তাই নিয়ম কানুনের প্রশ্নই উঠেনা।  
,
তবে এক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতবিরোধ আছে।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।    

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
ঈদুল ফিতরের দিন নারীরা ঘরে নিম্ন স্বরে তাকবির দিতে পারবে।
তবে এটি নারীদের জন্য ওয়াজিব বা মুস্তাহাব কোনো কাজ নয়।

সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে বলেন:

وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَلَكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ]

অর্থ: আল্লাহ তাআলা রোযার বিধান এই জন্য দান করেছেন যেন তোমরা তাঁর দেওয়া সংখ্য পূরণ করতে পারো, এবং (সংখ্যা পূরণের পর) তোমরা আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব বর্ণনা করো যেহেতু তিনি তোমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন। এবং যাতে তোমারা তার শুকরিয়া আদায় কর।

(০২)
শরীয়তসম্মতভাবে ঈদ উদযাপন করার জন্য নারীরা যে কাজ গুলি করতে পারেঃ-

সকাল সকাল কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা। সুনানে দারাকুতনীর ১৭১৭ নং হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-

عَنْ أَنَسٌ ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَا يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ وَيَأْكُلُهُنَّ وِتْرًا 

অর্থ: হযরত আনাস রাযি. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেজোড় সংখ্যায় খেজুর না খেয়ে ঈদগাহে বের হতেননা। তাই মিষ্টি জাতীয় বস্তু কিংবা বেজোড় সংখ্যায় খেজুর খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নাত।

★ভালভাবে গোসল করা।

★স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য নিজ ঘরে সুগন্ধি ব্যবহার করা।
(গায়রে মাহরামের সামনে না যাওয়ার শর্তে।)

★মিসওয়াক করা।

★সদাকাতুল ফিতর আদায় করা। (ঈদের দিন সকালেও যদি কারো কাছে যাকাতের নেসাব পরিমাণ অর্থ থাকে তাহলে তার উপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব, একবছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়) ঈদের নামাজের পূর্বে সদাকাতুল ফিতর আদায় করা কর্তব্য, যদি কেউ ঈদের পূর্বে অগ্রিম আদায় করে দেয় তাহলেও আদায় হয়ে যাবে। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের দেশ পরিস্থিতি হিসাবে এটাই উত্তম।

★স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য নিজ ঘরে উত্তম পোষাক পরিধান করে থাকা। (নিজের মালিকানায় যত পোষাক রয়েছে তাতে যা সবচেয়ে ভাল তা পরিধান করা।

★স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য নিজ ঘরে আংটি ইত্যাদি শরীয়ত সম্মত সাজসজ্জা গ্রহণ করা।

★খুব ভোরবেলা জাগ্রত হওয়া।

উল্লেখ্য, উপরের কোনো আমলই নারীদের জন্য ওয়াজিব বা মুস্তাহাব কোনো কাজ নয়।
তবে চাইলে শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থেকে গায়রে মাহরামদের সামনে না যাওয়ার শর্তে উপরোক্ত আমল গুলি করতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...