সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে বলেন:
وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَلَكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ]
অর্থ: আল্লাহ তাআলা রোযার বিধান এই জন্য দান করেছেন যেন তোমরা তাঁর দেওয়া সংখ্য পূরণ করতে পারো, এবং (সংখ্যা পূরণের পর) তোমরা আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব বর্ণনা করো যেহেতু তিনি তোমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন। এবং যাতে তোমারা তার শুকরিয়া আদায় কর।
সকাল সকাল কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা। সুনানে দারাকুতনীর ১৭১৭ নং হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-
عَنْ أَنَسٌ ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَا يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ وَيَأْكُلُهُنَّ وِتْرًا
অর্থ: হযরত আনাস রাযি. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেজোড় সংখ্যায় খেজুর না খেয়ে ঈদগাহে বের হতেননা। তাই মিষ্টি জাতীয় বস্তু কিংবা বেজোড় সংখ্যায় খেজুর খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নাত।
★ভালভাবে গোসল করা।
★স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য নিজ ঘরে সুগন্ধি ব্যবহার করা।
(গায়রে মাহরামের সামনে না যাওয়ার শর্তে।)
★মিসওয়াক করা।
★সদাকাতুল ফিতর আদায় করা। (ঈদের দিন সকালেও যদি কারো কাছে যাকাতের নেসাব পরিমাণ অর্থ থাকে তাহলে তার উপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব, একবছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়) ঈদের নামাজের পূর্বে সদাকাতুল ফিতর আদায় করা কর্তব্য, যদি কেউ ঈদের পূর্বে অগ্রিম আদায় করে দেয় তাহলেও আদায় হয়ে যাবে। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের দেশ পরিস্থিতি হিসাবে এটাই উত্তম।
★স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য নিজ ঘরে উত্তম পোষাক পরিধান করে থাকা। (নিজের মালিকানায় যত পোষাক রয়েছে তাতে যা সবচেয়ে ভাল তা পরিধান করা।
★স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য নিজ ঘরে আংটি ইত্যাদি শরীয়ত সম্মত সাজসজ্জা গ্রহণ করা।
★খুব ভোরবেলা জাগ্রত হওয়া।
উল্লেখ্য, উপরের কোনো আমলই নারীদের জন্য ওয়াজিব বা মুস্তাহাব কোনো কাজ নয়।
তবে চাইলে শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থেকে গায়রে মাহরামদের সামনে না যাওয়ার শর্তে উপরোক্ত আমল গুলি করতে পারে।