জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
(معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেটি ফকিরদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে।
(মাআরিফুস সুন্নাহ ১/৩৪)
যাকাতের খাত সম্পর্কে আল্লাহ তাা'আলা বলেন,
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/699
গাজায় আজকাল হাহাকার চলছে, লোকজন অনাহারে অর্ধাহারে মরছে। লোকজন ঘরবাড়ী হারিয়ে আজ নিস্ব। তাই গাজার গরীব মিসকিন শ্রেণীর লোকদের সহায়তার নিমিত্তে যাকাতের টাকা প্রদান করা যাবে। যারা বন্টন করবে, তাদের দায়ইত্ব হচ্ছে, যাকাতের সঠিক খাতে মাল খরচ করা। যারা ত্রাণ কালেক্ট করছে, তারা যদি আশ্বস্ত করে যে, সঠিক খাতেই যাকাত ব্যবহার করবে, তাহলে তাদের হাতে যাকাত ফিতরা দিয়ে দিতে পারবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/92880
ফিলিস্তিনের গাজায় মুসলিম গরীব শ্রেণীর ভাই-বোনদের সাদকায়ে ফিতির দেওয়া যাবে। তবে সেখান ধনীদেরকে দেয়া যাবে না।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ব্যাংক থেকে পাওয়া লাভের টাকা ফিলিস্তিনের গরিব মিসকিন দেরকে দেয়া যাবে।
অর্থাৎ যারা যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত শুধু তাদেরকে দেওয়া যাবে।
যেই সমস্ত সংগঠন অনুদান সংগ্ৰহ করছে, তারা যদি আশ্বস্ত করে যে, তারা সঠিক খাতে অর্থাৎ যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যাক্তিদেরকেই আপনার সুদের টাকা দিবে, তাহলে তাদের হাতে দিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু যদি তারা এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে না পারে, তাহলে হারাম টাকার পরিবর্তে হালাল টাকা সাধারণ দান হিসেবে তাদের হাতে দিয়ে দিবেন।
কমপক্ষে নিজের ১ সাপ্তাহের পকেট খরচের টাকা থেকে কিছু দিয়ে শরীক হয়ে যাবেন।
(০২)
এক্ষেত্রে যদি এক আলিফ টেনে পড়া হয়,সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
কুরআনে যেভাবে সুরার সিরিয়াল আছে,সেটি রক্ষা করে নামাজে তিলাওয়াত করবেন।
২য় রাকাতে ১ম রাকাতে তিলাওয়াত কৃত সুরা আগের সুরাগুলো হতে তিলাওয়াত করা যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-