যদি মসজিদের ভিতরে জামাত হয়,আর কেহ মসজিদের বারান্দায় থেকে একাকী ইক্তেদা করে,সেক্ষেত্রে তার নামাজ মাকরুহ হবে।
মসজিদের বারান্দা যদি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করে নির্মাণ করা হয়ে থাকে তাহলে ইমাম সাহেবের বারান্দায় জামাত করতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ মসজিদের যেকোনো স্থানে জামাত করা যাবে।
কিন্তু যদি বারান্দা মসজিদের অন্তর্ভুক্ত না হয় তাহলে সেখানে নামায আদায় করলে মসজিদে নামায আদায়ের সওয়াব লাভ হবে না।
হযরত ওয়াবিসাহ ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ، أَنَّ رَجُلاً صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعِيدَ الصَّلاَةَ.
এক ব্যক্তি (জামাতে নামায পড়া অবস্থায়)কাতারের পিছনে একাকী নামায আদায় করেছিল,তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে পূনরায় নামায দোহড়ানোর আদেশ দিলেন।
মসজিদের সাথে যুক্ত বর্ধিতাংশকে বারান্দা বলা হলেও মূলত তা মসজিদের অংশবিশেষ এবং তাতে মসজিদের আদব-ইহতেরামের সকল হুকুমই প্রযোজ্য হবে। তাই ইতিকাফকারীগণও সেখানে যেতে পারবেন। তবে নির্মাণের সময়ই যদি কর্তৃপক্ষ তা মসজিদের অন্তর্ভুক্ত না করে তবে সেক্ষেত্রে ঐ বর্ধিতাংশ মসজিদের অন্তর্ভুক্ত হবে না এবং মসজিদের হুকুমও তাতে প্রযোজ্য হবে না।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে যে বারান্দা থাকে তা সাধারণত মসজিদের অন্তর্ভুক্তই হয়ে থাকে। কারণ, নির্মাণকারীগণ তা মসজিদের বাহিরের জায়গা হিসাবে নির্মাণ করেন না।
رَجُلٌ لَهُ سَاحَةٌ لَا بِنَاءَ فِيهَا أَمَرَ قَوْمًا أَنْ يُصَلُّونَ فِيهَا بِجَمَاعَةٍ فَهَذَا عَلَى ثَلَاثَةِ أَوْجُهٍ: أَحَدُهَا إمَّا أَنْ أَمَرَهُمْ بِالصَّلَاةِ فِيهَا أَبَدًا نَصًّا، بِأَنْ قَالَ: صَلُّوا فِيهَا أَبَدًا. أَوْ أَمَرَهُمْ بِالصَّلَاةِ مُطْلَقًا وَنَوَى الْأَبَدَ. فَفِي هَذَيْنِ الْوَجْهَيْنِ صَارَتْ السَّاحَةُ مَسْجِدًا لَوْ مَاتَ لَا يُورَثُ عَنْهُ، (الفتاوى الهندية، كتاب الوقف، الباب الحادى عشر فى المسجد-2/455، خانية على الهندية-3/290)
একজন ব্যক্তি যার একটি আঙ্গিনা আছে যেখানে কোন বিল্ডিং নেই,সে কওমকে সেখানে জামাতে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন, এর তিনটি দিক রয়েছে: তার মধ্যে একটি হল যে তিনি তাদেরকে সেখানে নামাজ আদায় করার আদেশ দিয়েছিলেন এই বলে: সেখানে চিরকাল নামাজ আদায় করুন। অথবা তিনি তাদের সম্পূর্ণভাবে নামাজ আদায় করতে আদেশ করেছিলেন এবং চিরকাল নামাজ আদায়ের ইচ্ছা করেছিলেন। এই দুটি ক্ষেত্রে, স্কোয়ারটি একটি মসজিদে পরিণত হয়েছিল, যদি তিনি মারা যান, তবে সেখানে ওয়ারাছাত চলবেনা।
(ফাতাওয়া খানিয়া ১/৬৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৪৬২)
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি শুধুমাত্র ফরজ নামাজ আদায়ের জন্য ইকামতের সময় মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করবেন। ইমাম সাহেব সালাম ফিরানো মাত্র মসজিদের বারান্দায় চলে আসবেন। সুন্নত নফল নামাজগুলো বাড়িতে বা মসজিদের বারান্দায় আদায় করবেন।
ফরজ নামাজের জন্য ওই কয়েক মিনিট সময় আপনার মসজিদে থাকা যদি কষ্টকর হয়, সেক্ষেত্রে মাথায় রুমাল বা অন্য কোন ভাবে ঠান্ডা প্রতিরোধকারী কাপড় পরিধান করে নিবেন।
এতেও কাজ না হলে সেক্ষেত্রে আপনাদের মসজিদের বারান্দা যদি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করে নির্মাণ করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কঠিন ওযর বশত বারান্দায় সালাত আদায় করতে পারবেন। এতে আপনার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।