আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
এক বোনের প্রশ্ন:
হিদায়াত পাওয়ার আগে মেয়েটা একটা ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িত ছিল। মেয়েটা জানত না যে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক হারাম। পরবর্তিতে দুইজন ই দ্বীনের বুঝ পায় এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সম্পূর্ণভাবে। ছেলেটা পরবর্তিতে দুইবার মেয়ের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দেয় কিন্তু বাসা থেকে রাজি না কারন হিসেবে বাসা থেকে বলে- ছেলের কম সৌন্দর্য, বয়সে দুইজন সমান, ছেলের চাকরি নেই(ছাত্র)। মেয়ের বাসায় দুনিয়াবি দিক থেকে দেখলে অনেক ভালো প্রস্তাব আসতেছে। কিন্তু মেয়েটা চাচ্ছে দাওয়াতি কাজের সাথে লেগে থাকবে, উম্মতের ফিকির করবে এমন কাউকে বিয়ে করতে। মেয়েটা মহিলাদের মাঝে দীনের দাওয়াত দিতে চায় এবং এই ব্যাপারে সে খুবই ডেডিকেটেড। কিন্তু বাসা থেকে ছেলে দেখার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা মাথায় রাখছেনা কারন তার এইটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে না। অপরদিকে উল্লিখিত ছেলেটা দাওয়াতি কাজএ অনেক এক্টিভ।
মেয়েটা পরিবারের সবার মতামত নিয়েই বিয়ে করতে চাচ্ছে কিন্তু অভিভাবকদের দ্বীনের বুঝ না থাকার কারনে মনমত ছেলে পাচ্ছেনা। এর মধ্যে ছেলেটা মেয়েটাকে জানায় অন্য কাউকে বিয়ে করলে সেই মেয়েটার সাথে অন্যায় হবে কারন এতটা সময় একজনের সাথে কমিটমেন্টে থেমে এখন আরেকজনকে বিয়ে করাটা তার কাছে খুব জঘন্য লাগতেছে ব্যাপারটা। এবং বিয়ের পরে তার কথা বিভিন্ন সময়ে মনে হতে পারে ভেবে সে অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। এখন মেয়েটা ও এটা নিয়ে ভয় পাচ্ছে বিয়ের পর এটা ফিতনার কারন হবে কিনা।
এখন মেয়েটা কি করবে বুঝতে পারছে না। ছেলের চরিত্র, দ্বীনদারিতা নিয়ে মেয়ের অভিভাবকের কোনো সন্দেহ নেই।
১। মেয়েটার করনীয় কি?
২। সৌন্দর্যকে প্রাধান্য না দিয়ে, এই ছেলেটাকে বিয়ে করার জন্য বাসায় বুঝানো উচিত? মেয়েটার সৌনর্য নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। তার বাসার লোকজনের সমস্যা।
৩। ছেলেটা যে বলছে বিয়ের পর এই মেয়ের কথা তার মাথায় আসবে, এটাতে মেয়েটার পাপ হবে? এই ক্ষেত্রে উত্তম সিদ্ধান্ত কি হবে কোরআন হাদিসের আলোকে?
ভুল কিছু বলে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন উস্তায।