আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। দয়া করে আমার পোস্টটা অ্যাপ্রুভ করে উত্তর দিবেন একটু তাড়াতাড়ি। আমার এই মাসে ৮/৯ তারিখে পিরিয়ড হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ১১/১২ তারিখের দিকে আমার সাদা স্রাবের সাথে বাদামি/লালচে সুতা/দলার মতো কিংবা সাদা স্রাব মাঝে মাঝে হালকা লালচে হতে থাকে। যেহেতু সময়টা আমার পিরিয়ডের তারিখের কাছাকাছি ছিলো তাই আমি একজন আলেমা আপুর পরামর্শ নেই এবং নামায রোজা বন্ধ রাখি। ৪ দিন পর একদম কিছু না আসায় আমি নামায শুরু করি কিন্তু ৬ দিনের মাথায় আবার একই সমস্যা হয়, এভাবে ১০ দিন পর আমি গত শুক্রবার থেকে নামায পুরোপুরি শুরু করি। আজ সকাল থেকে আমার একদম পুরোদমে পেইন সহ হেভি ব্লিডিং শুরু হয়, ঠিক যেরকম নরমালি পিরিয়ড হয়ে আসছে এতোদিন। এখন আমার করণীয় কি?
উল্লেখ্য, আমার ওভারিয়ান চকলেট সিস্টের সমস্যা দেখা গিয়েছে গত রমাদানের পর থেকে কিন্তু এর মাঝে এরকম সমস্যা কখনো হয়নাই। আমি এই সিস্টের জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাই কিন্তু ডাক্তার আমাকে পিরিয়ড বন্ধ রাখারও কোনো ওষুধ দেয়নাই আর এর আগে আমি কখনো এরকম সমস্যায় পরি নাই।
আর যদি আমার আগের বাদ দেওয়া দিন গুলো পিরিয়ড হিসেবে গণ্য না হয়, তাহলে এখন আমি কি করবো? আমি তো ইচ্ছে করে নামায রোজা বাদ দেই নাই তাই আমার খুব খারাপ লাগতেছে পুরো ব্যাপারটা নিয়ে। দয়া করে আমাকে সমাধান দিয়ে সাহায্য করুন। জাজাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (633,150 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১০/১১ তারিখ থেকে নিয়ে ১০ দিন পরও যেহেতু আপনার রক্তস্রাব হচ্ছে, কাজেই আপনার পূর্বের যতদিন আদত ছিলো, ততদিন হায়েয এবং অতিরিক্ত দিন সমূহ ইস্তেহাযা। ইস্তেহাযার মুহূর্তে আপনি নামায রোযা করবেন। প্রতি নামাযের ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করে নিলেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...