আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসালামআলায়কুম,
আমি একজন বাবা ও পরিবারের বড় সন্তান,আমার ছোট বোনের স্বামীর চাকরি না থাকার কারণে তাদের পরিবার আমার উপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল,কিন্ত সম্প্রতি আমি জানতে পারি, আমার ছোট মেয়ে (বর্তমানে বয়স ১৩ বছর ) কয়েক বছর আগে, আমার সেই ছোট বোনেরস্বামীর হাতে sexually abused হয়েছে,এমতাবস্থায়, আমি এখনো এ নিয়ে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নি নাই, এবং তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছি,

(আমার সাহায্য ছাড়া তারা আর্থিক সংকটে পড়বে)
তার স্বামীর সাথে এখনো আমার সম্পর্ক স্বাভাবিক,
তাদের এ সাহায্য দেয়ার কারণে আমি কি গুনাগার হবো?
আমার পরিবারে এ নিয়ে অশান্তি চলছে, এর সমাধান কি?
আমার মেয়ের ব্যাপারে আমার কি করনীয়?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
﴿ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﻓَﻌَﻠُﻮﺍ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً ﺃَﻭْ ﻇَﻠَﻤُﻮﺍ ﺃَﻧْﻔُﺴَﻬُﻢْ ﺫَﻛَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻐْﻔَﺮُﻭﺍ ﻟِﺬُﻧُﻮﺑِﻬِﻢْ ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺼِﺮُّﻭﺍ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺎ ﻓَﻌَﻠُﻮﺍ ﻭَﻫُﻢْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﺟَﺰَﺍﺅُﻫُﻢْ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓٌ ﻣِﻦْ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ﻭَﺟَﻨَّﺎﺕٌ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧْﻬَﺎﺭُ ﺧَﺎﻟِﺪِﻳﻦَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻭَﻧِﻌْﻢَ ﺃَﺟْﺮُ ﺍﻟْﻌَﺎﻣِﻠِﻴﻦَ﴾ [ ﺁﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ 136-135 : ] 
তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য "ইস্তেগফার"(ক্ষমা প্রার্থনা) করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা চমৎকার প্রতিদান।(আলে-ইমরান;১৩৫-১৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
আপনি আপনার বোন এবং বোনের স্বামীকে আর্থিকভাবে সর্বদাই সমর্থন করবেন।এজন্য অবশ্যই আপনি বিরাট সওয়াবের অংশীদার হবেন।গোনাহ হতে পারে,কেউ শয়তানের ধোকায় পড়ে গোনাহ করে ফেলতে পারে,এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাওবাহ করতে হয়।আপনার ঐ বোন জামাই যদি আপনার সাথে একই ফ্ল্যাটে থাকে,তাহলে তাকে পৃথক করে দিন।অথবা আপনি অন্য কোথাও শিপট হয়ে যান,তাহলে-ই বিষয়টা চিরতরে মীমাংসা হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে যাতে আপনার মেয়ে তার ধারে কাছেও না আসে, বা সে আপনার মেয়ের ধারেকাছেও যেতে না পারে,সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন।

দেখুন- এ বিষয়টাকে আপনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন।নতুবা আপনার ফ্যমিলি স্থায়ী অশান্তিতে ডুবে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...