বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু
জবাব,
https://ifatwa.info/76701/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার
সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি। সেগুলোকে
হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত
রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন। যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ
রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।
কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?
ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য
কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?
এ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/102
আরো জানতে
ভিজিট করুন - https://www.ifatwa.info/2187
ডাঃ নিশাত
তাম্মিম লিখেন-
«وَعَوَارِضُ الصَّوْمِ الَّتِي قَدْ يُغْتَفَرْ ...
لِلْمَرْءِ فِيهَا الْفِطْرُ تِسْعٌ تُسْتَطَرْ
حَبَلٌ
وَإِرْضَاعٌ وَإِكْرَاهُ سَفَرْ ... مَرَضٌ جِهَادٌ جُوعُهُ عَطَشٌ كِبَرْ» -
«حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» 2/ 421)
নয়টি কারণে
রোযা না রাখার অুনমোদন রয়েছে, গর্ভ, দুগ্ধপান, জোড়জবরদস্তী, সফর, অসুস্থতা, জিহাদ, অনাহার, পিপাসা, বৃদ্ধ (রদ্দুল মুহাতর-২/৪২১)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১মত বালেগা
বা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পূর্বের কোন রোজা কাযা করতে হবে না। কারণ, তখন আপনার উপর রোজা
ফরজ ছিল না। ২য়ত বালেগা হওয়ার পর যেই রোজাগুলো রাখতে পারেননি সেগুলোর জন্য তাওবার
পাশাপাশি কাযা করলেই হবে। কাফ্ফারা আদায় করা আবশ্যক নয়। তবে যদি কেউ রোজা রাখার পর
ইচ্ছাকৃত ভাবে রোজা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। এবং এক রমজানের এক
বা একাধিক রোজার পরিবর্তে একটিই কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়।
বি:দ্র: রোজার
ফিদিয়া আদায়ের ক্ষেত্রে আপনি যদি শারিরিকভাবে শক্ত সামর্থ হয়ে থাকেন। তাহলে লাগাতার
দুই মাস রোযা রাখতে হবে। মাঝখানে রোযা ভাঙ্গা যাবে না। যদি মাঝখানে রোযা ভেঙ্গে ফেলেন
তাহলে আবার প্রথম থেকে ৬০ দিন গণনা করতে হবে। এভাবে ষাট দিন রোযা রাখলে আপনার রোযা
ভঙ্গের কাফফারা আদায় হয়ে যাবে। আর যদি লাগাতার ষাট দিন রোযা রাখতে সক্ষম না হন,
তাহলে প্রতি রোযার জন্য সদকায়ে ফিতির
পরিমাণ টাকা গরীবদের দান করে দেয়া আবশ্যক। তথা ষাট রোযার জন্য ষাটটি সদকায়ে ফিতির পরিমাণ
অর্থ দান করা আবশ্যক।
প্রতি রোযার
পরিবর্তে একজন গরীবকে দুবেলা খাবার খাওয়াবে অথবা পৌনে দু’ কেজি গমের মূল্য সদকা করবে।
এটাকে বলা হয় ফিদিয়া ।
যেমন সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকা যদি ১০০ টাকা হয়।
তাহলে আপনার জন্য ৬০০০ টাকা দান করা আবশ্যক। কিন্তু মনে রাখতে হবে রোযা রাখতে সক্ষম
হলে ফিদিয়া আদায় করলে তা আদায় হবে না।