আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
ago in ওয়াসওয়াসা by (2 points)
edited ago by
আসসালামুয়ালাইকুম স্বপ্নর ব্যাক্ষা আর তালাকের মাসআলা জানতে চাই প্রশ্ন গুলো নিচে দিলাম পয়েন্ট করে (১) হুজুর এই প্রশ্ন টা করতে আমার খুব খারাপ লাগছে কিন্তু আমি জানতে চাই এই স্বপ্নর ব্যাক্ষা জানতে চাই তো হুজুর আমি স্বপ্ন দেখেছি যে আমি আমার আম্মুর সঙ্গে সহবাস করছি। হুজুর আমার শুধু এতো টুকু মনে আছে যে তখন আমি অসুস্থ ছিলাম তো হুযুর এই স্বপ্ন দেখার পর থেকে আমি না চাইতে আমার মণের মধ্যে খারাপ খারাপ ধারণা আসে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তো হুজুর এই স্বপ্নর ব্যাক্ষা কি হতে পারে (২) হুজুর আমি একদিন আমার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে শর্ত তালাক দিয়েছিলাম। তো শর্ত তালাক টা এমন ছিল যে যদি আমার স্ত্রী গানের সঙ্গে ঠোঁট নাড়িয়ে ভিডিও করে আর WhatsApp এ status দেই তাহলে আমার স্ত্রীর উপর এক তালাক পতিত হবে। তো এই মত এখনো কিছু ঘটেনি but আমার স্ত্রী কিছু দিন আগে একটি ভিডিও বানাই ভিডিও টা এমন যে backrounde গান চলছিল but আমার স্ত্রী তার ঠোঁট নাড়িয়ে ভিডিও করেনি আমার আর আমার স্ত্রীর photo দিয়ে ভিডিও বাইনেছে মানে আমার শর্ত অনুযায়ী ভিডিও করেনি। But problem যেটা হয়েছে যে আমার স্ত্রী তার আর আমার photo দিয়ে ভিডি ও বানানোর পর আমি নিজের কাছে নিজে বলেছি আর এটা কিন্তু আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দেবার উদ্দেশ্য করে বলিনি তো বলেছি যে এক তালাক হয়েগেছে আমি এটা অনেক বার বলেছি যে এক তালাক হয়েগেছে এবং আমি নিশ্চিৎ ভাবে এক তালাক ধরে নিয়েছি। তো হুজুর এখন আমার জানার বিষয় হলো এটা যে শর্ত অনুযায়ী তালাক হয়নি But আমি নিজের কাছে নিজে বলেছি যে এক তালাক হয়েগেছে আমি এটা অনেক বার বলেছি যে এক তালাক হয়েগেছে এবং আমি নিশ্চিৎ ভাবে এক তালাক ধরে নিয়েছি এমন বলা আর নিজের কাছে নিজে এক তালাক ধরে নেওয়ার জন্য কি তালাক হয়ে যাবে। (৩) হুজুর একদিন আমার প্রথম স্ত্রী মজার মাধ্যমে আমার কাছে তালাক চেয়েছিল আর ও মজার মাধ্যমে আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলাম আর আমরা জানতাম যে মোজা করে তালাক দিলে ও তালাক হয়ে যাই। But এখন আমরা আলাদা আছি তো তারপর একদিন আমি আমার নিজের কাছে নিজে বলছি যে তালাক শব্ধ এতো ভয়ংকর আর আমি তালাক শব্ধ উচ্চারণ করবো না দরকার পরে বলবো যে তোমাকে divorce দিলাম কিন্তু আমি এটা ও জানতাম যে তোমাকে divorce দিলাম বললে ও তালাক হয়ে। তো এখন আমার জানার বিষয় এটা যে এখন আমি দ্বিতীয় বিবাহিত তো আমি আমার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা হবার পর এই কথাটা বলেছি এবং যখন আমি বলেছিলাম যে তোমাকে divorce দিলাম তখন আমি দ্বিতীয় বার বিবাহ অবস্তায় বলেছিলাম কি আমি মনে করতে পারছি না তবে এত টুকু নিশ্চিৎ যে তোমাকে divorce দিলাম এই কথাটা আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেবার উদ্দেশ্য করে বলিনি বা তার সামনে ও বলিনি তো এতে কি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে। (৪) তারপর হুজুর একদিন রাতে আমি আমার বিছানাই শুয়ে ছিলাম তখন আমার স্ত্রী আমার কাছে ছিলনা তখন আমি মোবাইল দেখছিলাম হঠাৎ আমার যেনো মনে হলো যে আমি যেনো আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি কিন্তু কিছুতেই নিশ্চিৎ হতে পারছিলাম না যে আমি কি বলেছি যে আমার স্ত্রী তালাক নাকি আমার বউ তালাক কি বলেছি আমি নিশ্চিৎ হতে পারছি এবং মুখে উচ্চারণ করে বলেছি কি তাও নিশ্চিৎ না পারছিলাম না। তো তারপর দিন সকালে আমি নাস্তা করছিলাম আর ওই রাতের কথা ভাবছিলাম আর বলছিলাম যে কাল রাতে আমি কি বলেছি। আমি কি বলেছি যে আমার বউ তালাক এটা আমি মনে মনে বলেছি কিন্ত মনে মনে বলেছি এবং আমি কোনো শব্ধ না করে মাথা নেড়ে হ্যাঁ পক্ষে সমর্থন যাইনেছি মানে মাথা নেড়ে হ্যাঁ পক্ষে সাই দিয়েছি। তো এটা বলার পর আমি আরো চিন্তাই পড়ে গেলাম যে আমি কাল রাতে কি বলেছি আমি নিশ্চিৎ না তাহলে আমি মনে মনে আমার বউ তালাক বলে যে হ্যাঁর পক্ষে সমর্থন করেছি এ দ্বারা আমাদের সামী স্ত্রীর সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না তো আসলে হুজুর আমি তখন খাচ্ছিলাম তো খাবার মোজার ছিল তাই হয়তো আমি মাথা নেড়েছি এবং এর পর আমি ভয় পেয়ে গেছি। তো এটা ঘটে যাবার বেশ কিছু ঘন্টা পরে আমি ওই বিষয় নিয়ে আবার ভাবতে লাগলাম আর ভাবতে ভাবতে গালের মধ্যে পানি নিয়ে বলার চেষ্টা করলাম যে আমার বউ তালাক কিন্ত কোনো শব্ধ হলোনা শুধু উপরের দাঁতের সঙ্গে নিচের দাঁতের ধাক্কা লেগে দাঁতের শব্ধ হচ্ছিলো But কোনো voice মানে গোলা থেকে কোনো শব্ধ হয়নি তো হুজুর আমার এই প্রশ্ন দ্বারা কি কোনো তালাক হবে। (৫) তারপর একদিন আমি যেই ব্যাংকে কাজ করি সেই ব্যাংকে একটি মহিলা ওনার কিছু জিনিস বন্ধক রাখতে এসেছিলেন ঠিক তখনি ওই মহিলার হাতের দিক আমার নজর যাই আমি দেখি যে ওই মহিলার সোনার চুড়ি ছিল তখন আমি মনে মনে বললাম নাকি উচ্চারণ করে বললাম যে ওই মহিলা যদি ওই সোনার চুড়ি বন্ধক না দেই তাহলে আমার বউ তালাক কিন্ত আমি কোনো দিক নিশ্চিৎ হতে পারছি না যে আমি মুখে উচ্চারণ করে বলেছি নাকি আমার মনের মধ্যে ওই রকম শর্ত তালাক উদিত হলো। এতো টুকু নিশ্চিৎ যে বলার ক্ষেত্রে আমি কোনো বল প্রয়োগ করিনি তো এতে কি কোনো সমস্যা হবে। এবং ওই মহিলা ওনার সোনার চুড়ি বন্ধক দেয়নি। (৬)তারপর একদিন আমি আমার অফিসে ছিলাম তখন এক ব্যাক্তি আমাকে জিজ্ঞাসা করলো যে তোমার বাড়ি কোথায় তো আমি তখন বললাম যে আমার বাড়ী টি কাছে আমি সাইকেলে করে যাই আমি যদি খুব জোড়ে সাইকেলে চাইলে যাই তাহলে আমার 10 মিনিট লাগে। তারপর আমি যখন বাড়ি আসছিলাম তখন আমার এমন চিন্তা এল যে আমি কি এমন শর্ত রেখেছি যে আমি যদি আমার অফিস থেকে বাড়িতে 10 মিনিটে না পংছোতে পারি তাহলে আমার বউ তালাক তো হুজুর আমি এমন শর্ত রেখেছি কি আমি মনে করতে পারছি না মানে নিশ্চিৎ হতে পারছি না তো এতে কি তালাক হবে।(৭)হুজুর আমি একদিন টয়লেটে যাই তখন আমি আমার একটি youtube shorts ভিডিওর কথা মনে যে সেখানে জামাই তার শাশুড়িকে উদ্যেশ্য করে বলল যে আপনাদের মেয়েকে আপনাদের কাছে রেখেদিন তখন সেই শাশুড়ি তখন তার জামাইকে উদ্যেশ্য করে বলল যে একবার যে জিনিষ দিয়েছি সেটা আর আমরা ফেরত নেবো না তো হুজুর এই বিষয়ের উপর কেনো যেন আমার মনে হলো যে আমি যেনো কোনো শর্ত তালাক দিয়েছি But আমি নিশ্চিৎ হতে পারছি না যে আমি মুখে উচ্চারণ করে শর্ত তালাক রেখেছি নাকি মনে মনে শর্ত তালাক উদিত হয়েছে এবং মেন বিষয়টা ও আমি মনে করতে পারছি না যে কিসের উপর শর্ত তালাক টা রেখেছি তো হুজুর এতে কি কোনো তালাক হবে।(৮) তারপর একদিন আমি একা বসেছিলাম তখন আমার মণের মধ্যে উদিত হলো নাকি আমি মনে মনে বললাম নাকি আমি মুখে উচ্চারণ করে বললাম আমি যেনো এমন বললাম যে আমার প্রথম বিয়ের আগে যদি আমার ভাই মাদ্দাসা থেকে চলে এসে থেকে তাহলে আমার বউ তালাক তো হুজুর আমার প্রথম বিয়ে হবার আগে আমার ভাই মাদ্দাস থেকে চলে এসেছে কিন্ত আমি নিশ্চিৎ হতে পারছি না যে আমি এমন শর্ত তালাক রেখেছি কি এবং মুখে উচ্চারণ করে শর্ত তালাক রেখেছি কি এতে কি তালাক হবে।(৯)হুজুর তার একদিন আমার মনে এমন চিন্তা এলো যে আমার তালাক নিয়ে যত চিন্তা ভাবনা আসবে সেটা যদি আমি আপনাদের মাসআলা জিগাসা করার জন্য না পাঠাই তাহলে আমার বউ তালাক তো হুজুর এই শর্ত টা আমি মুখে উচ্চারণ করে বলেছি বলে আমি মনে করতে এবং নিশ্চিৎ হতে পারছি যে আমি মুখে উচ্চারণ করে এমন বলেছি কি কারন যখন এ গুলো আমার সাথে ঘটে আমি মুখে উচ্চারণ করার ক্ষেত্রে জর প্রয়োগ করিনা তাই এটা মাসআলা নেবার জন্য পাঠালাম(১০) তারপর হুজুর একদিন আমি আমার সুপার ভাইজার যে কিছু মেসেজ করি তো আমার সুপার ভাইজার ম্যাসেজর রিপ্লাই দিতে দেরি করছিল তখন আমি মনে মনে বললাম নাকি মুখে উচ্চারণ করে বললাম নাকি আমি কিছু বলিনি এমনি সন্দেহ হচ্ছে তাই প্রশ্ন করছি তো যেটা বলেছি যে আমি WhatsApp Open করে যদি দেখি যে আমার সুপার ভাইজার WhatsApp এ অনলাইন নেই তাহলে আমার বউ তালাক তো হুজুর আমি এমন শর্ত রেখেছি কি আমি নিশ্চিৎ না সন্দেহর বসে প্রশ্ন করেছি তো এতে কি তালাক হবে

1 Answer

0 votes
ago by (630,210 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...