আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আমার পিরিয়ড অনিয়মিত। আমার পিরিয়ড হওয়ার ডেট পার হয়ে গিয়েছে, ১মাস ১২ দিনের মাথায় গতকাল দুপুরে আমি সাদা স্রাবের সাথে কাল স্রাব মিশ্রিত দেখার কারনে সেটাকে পিরিয়ডের শুরু ভেবে রোজা না ভেঙে নামাজ অফ করে দেই। সাধারণত আমার পিরিয়ড শুরুর দিকে এমন জমাট কালো অংশ দেখতে পাই জন্য আমি এটাকে পিরিয়ড ধরে নিয়েছিলাম এবং আজ ফজর পর্যন্ত নামাজ পড়িনি। কিন্তু গতকাল দুপুরের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি সাদা, কালো কোনো স্রাবই স্পষ্ট দেখতে পাইনি। এখন,
১.আমি কি আজকে যোহরের নামাজ আদায় করবো নাকি আরো অপেক্ষা করবো?
২.এক্ষেত্রে কি ফরজ গোসল করতে হবে?

৩.এই নামাজ গুলোর কি কাযা আদায় করতে হবে?

৪.আমি এভাবে কখনো নামাজ বাদ দেই না, আলহামদুলিল্লাহ। এজন্য অনেক বেশি খারাপ লাগছে। আমি কি এর কারনে গুনাহগার হবো?

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তিনদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।যদি তিন দিন তিন রাত রক্তস্রাব বা রক্তর ফুটা না আসে, তাহলে এটা ইস্তেহাযা।আর তিনদিন পর্যন্ত রক্তস্রাব আসলে সেটা হায়েয। 

আর যদি ১০ দিন পর্যন্ত রক্তস্রাব হয়, তাহলে ১০ দিনই হায়েয। যদি ১০ দিন পেরিয়ে যায়, তাহলে পূর্বের যতদিনের আদত ততদিন হায়েয। এবং অতিরিক্ত ইস্তেহাযা। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি যোহরের নামাজ আদায় না করে বরং আরো অপেক্ষা করবেন।
(২) ফরজ গোসল একন করতে হবে না।
(৩) এই নামাজ গুলোর কাযা আদায় করতে হবে কি না সেটা হায়েয হওয়া না হওয়ার উপর নির্ভর করবে।
(৪) এখানে গুনাহগার হওয়ার কোনো কারণ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জা্যাকাল্লাহ খয়রন উস্তাদ। আমি পরবর্তীতে সাদা স্রাব দেখে নিশ্চিত হয়েছি আমার পিরিয়ড হয়নি। এখন আমি আগের দিন যোহর থেকে পরের দিন যোহরের কাযা আদায় আদায় করতে চাচ্ছি। এখন ফজর এবং আসরের কাযা নামাজ কিভাবে আদায় করবো? 

১.আগামীকাল ফরজের ওয়াক্তের শুরুতে কাযা আদায় করে তারপর ওইদিনের নামাজ আদায় করবো নাকি ওইদিনের ফজর নামাজের পর কাযা আদায় করবো?
২.আসরের ওয়াক্ত হওয়ার পর আগে কাযা আদায় করে দিবো নাকি নাকি ওইদিনের আসরের নামাজের পর কাযা আদায় করবো?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...