আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,,
আমার এবং আমার স্বামীর তালাক হয়ে গিয়েছে।।।

সেও মেনেছে আমিও মেনেছি যে তালাক হয়ে গিয়েছে।।।আমি তার সাথে আর থাকতে চাই না।।থাকার প্রশ্নই ওঠে না কারন এখন সব হারাম।। কিন্তু আলাদা হওয়ার কথা বললেই সে পাগলামি করে।।।কান্নাকাটি আর অনেক রিকোয়েস্ট করে।।বারবার বলে আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না।।। তার অবস্থা এমন হয়ে যায় যে আমার ভয় হয় সে নিজের কোনো ক্ষতি করে কিনা।।।অনেক বেশি খারাপ অবস্থা হয়।।বলে যে বাইচা করবে কি৷।।সুইসাইড করবে কিনা যানি না।।কিন্তু ভয়ংকর কিছু করতে পারে।।।খুবই পাগলামি করে।।আর আমাকে ছাড়বেই না বলে।।।সে জানে এখন আমাদের থাকা নাজায়েজ হারাম।।তাও সে বলে আল্লাহর কাছে আজিবন মাফ চাইবো।।  সে নিজেও জানে এখন জেনার সম্পর্ক তাও আলাদা হতে চায় না।।

তাই আমি বাধ্য হয়ে তার সাথে থাকতে রাজি হয়েছি।।আর তাকে বলেছি "আমি তোমার বউ না।।এখন আমাদের মধ্যে সব হারাম।।।নাজায়েজ।।।প্রত্যেক মুহুর্তে আল্লাহর কাছে তুমিও মাফ চাও আমিও চাই"

আমি এটাও বলেছি আমাদের সন্তান রা হবে সব নাজায়েজ জারোজ।।।।কিন্তু তাও সে আলাদা থাকতে চায় ই না।।

তার অবস্থা দেখে আমি রাজি হয়েছি থাকতে।।। আমি বলেছি আজিবন থাকবো কিন্তু তাকে আমি স্বামী  বলবো না।।।

আমার আম্মুও বলছে থাকতে।। সেও আমাকে সাপোর্ট করে না।।বলে যে ২ পরিবার শেষ হয়ে যাবে।।।

বিঃদ্রঃ তার অবস্থা দেখে আমিও তাকে বলেছি আমিও তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।।।আমি তাকে বোঝানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু সে অনেক ভেঙে পরে।।

প্রশ্ন:: আমি তো মেনেছি এখন আমাদের মধ্যে সব  হারাম নাজায়েজ।। আমাদের বিয়ে আর নেই।।কিন্তু তার অবস্থা দেখে এই ভয়ংকর গুনাহর মধ্যে থাকতে বাধ্য হয়েছি।।। আমি এখন আল্লাহর কাছে দোয়া কর।।।কিন্তু আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করব যেন আল্লাহ তাকে সঠিক বুঝ দেন এবং আমাদের আলাদা হওয়ার ব্যবস্থা করে  দিন।।

১.এখন যে আমি থাকতে রাজি হয়েছি এতে আমার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে?? আমি তো স্বীকার করি এটা সম্পুর্ন নাজায়েজ।।

২.আবার আমার তালাক হওয়া স্বামী  মেনেছে এটা নাজায়েজ হারাম আমাদের বিয়ে আর নেই।।কিন্তু আলাদা হতে চায় না।।আল্লাহর কাছে আজীবন মাফ চাইবে বলছে।। এতে কি তার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে??

উপায় খুজে পাচ্ছি না।।আমার আম্মুও আমাকে সায় দিচ্ছে না।।।

কিন্তু আমি আলাদা হতে প্রস্তুত।। আমার তালাক হওয়া স্বামী  রাজি হলেই আমি হয়ে যেতাম।।কিন্তু সে পাগলের মতো করে।।।

৩.মুল ফোকাস ::: নাজায়েজ জেনেও একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমাদের ২ জন এর ইমান নষ্ট হবে?? ও পারছে না মানতে।।আর আমি ওর পাগলামোর কাছে অসহায়।।।

৪. সমাজের মানুষকে দেখানোর জন্য যদি তাকে আমি স্বামী পরিচয় দেই কিংবা সে আমাকে বউ বলে তাইলে এভাবে বলার জন্য কি ইমান নষ্ট হবে??

দোয়া করবেন আমার জন্য হুজুর।।।আল্লাহ  তারাতারি আমাদের আলাদা করে দিন।। আমিন।।

বিঃদঃ-২ আমি যে তাকে বলেছি আমিও তাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।।এটাও সত্যি।।আমার খুব কষ্ট হবে।। আমি তাকে খুব ভালোবাসি।।।কিন্তু আমার ইসলাম আরও বেশি প্রিয় আমার কাছে।।আমার আল্লাহ আমার সব।।আমার সব।।।

( আমার উক্ত সিদ্ধান্তে ইমান নষ্ট হয়ে গিয়েছে কিনা জানাবেন।।)

আমি জানি এই সিদ্ধান্ত টা অনেক বেহুদা নোংরা আর খারাপ।।কিনা আজকে পরিস্থিতির চাপে পইড়া গেসি।।।
আল্লাহ আমায় মাফ করুন।।।।

1 Answer

0 votes
by (604,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হালাল কে হারাম সাব্যস্ত করা এবং হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তা'আলার।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কেউ হারাম কে হালাল এবং হালালকে হারাম সাব্যস্ত করতে পারবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَلاَ تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَـذَا حَلاَلٌ وَهَـذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُواْ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ لاَ يُفْلِحُونَ

তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না।(সূরা নাহল-১১৬)

قُلْ أَرَأَيْتُم مَّا أَنزَلَ اللّهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُم مِّنْهُ حَرَامًا وَحَلاَلاً قُلْ آللّهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللّهِ تَفْتَرُونَ

বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ, যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ?(সূরা ইউনুস-৫৯)

قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ قَتَلُواْ أَوْلاَدَهُمْ سَفَهًا بِغَيْرِ عِلْمٍ وَحَرَّمُواْ مَا رَزَقَهُمُ اللّهُ افْتِرَاء عَلَى اللّهِ قَدْ ضَلُّواْ وَمَا كَانُواْ مُهْتَدِينَ

নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা নিজ সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতাবশতঃ কোন প্রমাণ ছাড়াই হত্যা করেছে এবং আল্লাহ তাদেরকে যেসব দিয়েছিলেন, সেগুলোকে আল্লাহর প্রতি ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে হারাম করে নিয়েছে। নিশ্চিতই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং সুপথগামী হয়নি।(সূরা আন'আম-১৪০)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনাদের তিন তালাক না হয়ে থাকলে আপনারা শরীয়তের নীতিমালা অবলম্বন করলে পুনরায় ঘর সংসার করার সুযোগ পেতে পারেন।

তিন তালাক হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে এভাবে এই যেনার সংসারকে মেনে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। শরয়ী হালালাহ এর পর আপনারা আবারো শরীয়তের নীতিমালা অবলম্বন করে বিবাহ করতে পারেন।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা কাফের হয়ে যাবেননা।

তবে এর পরিনাম হলো জাহান্নাম।
আপনাদেরকে জাহান্নামে জ্বলতে হবে।

দুনিয়ার আগুন শরীরের শুধু বাহ্যিক অঙ্গ পোড়াতে পারে। পোড়াতে পারে না তা অভ্যন্তরীণ অঙ্গ। কিন্তু জাহান্নামের আগুনের এমন পাওয়ার থাকবে যা জাহান্নামিদের শরীর পোড়ানোর পাশাপাশি তাদের হৃৎপিণ্ডও পুড়িয়ে ছাই করে ফেলবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এটি আল্লাহর প্রজ্ব¡লিত অগ্নিযা তাদের হৃদয়কে গ্রাস করে ফেলবে।’ (সূরা হুমাজা : ৬-৭) দুনিয়ার আগুন লাল বর্ণের হয়ে থাকে। কিন্তু জাহান্নামের আগুন তীব্র উত্তপ্ত হওয়ার দরুণ কালো বর্ণের হবে।

আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘জাহান্নামের আগুন এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা লাল বর্ণ ধারণ করেছে। আবার এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা সাদা বর্ণ হয়েছে। তারপর এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা কালো বর্ণ হয়েছে। এখন তা গভীর অন্ধকার রাতের অন্ধকারের মতো কালো (সুনানে ইবনে মাজাহ : ৪৩২০)। ‘জাহান্নামিরা যখন পিপাসায় ছটফট করবে তখন তাদেরকে গলিত পুঁজ পান করানো হবেযা সে এক এক ঢোক করে গিলবে’ (সূরা ইবরাহিম : ১৬-১৭)।

রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘পুঁজ যখন তার মুখের নিকটে নিয়ে আসা হবেসে তা অপছন্দ করবে। তারপর যখন আরো নিকটে নিয়ে আসা হবেতখন তার মুখমণ্ডল পুড়ে যাবে এবং মাথার চামড়া গলে পড়ে যাবে। তারপর সে যখন তা পান করবে তখন তার নাড়িভুঁড়ি গলে ছিন্নভিন্ন হয়ে মলদার দিয়ে বের হয়ে যাবে।’ (জামে তিরমিজি :২৫৮৩)

 ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিতএকদিন রাসূলুল্লাহ সা: এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঅর্থাৎ ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং পূর্ণ মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ তারপর প্রিয় নবী সা: ইরশাদ করলেন, ‘যদি জাক্কুম গাছের একটা ফোঁটা এই দুনিয়ায় পড়ে তাহলে দুনিয়াবাসীর জীবনোপকরণ বিনষ্ট হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় ওইসব লোকের কেমন দুর্দশা হবে এটা যাদের খাদ্য হবে?’ (জামে তিরমিজি : ২৫৮৫)

রাসূল সা: জাহান্নামের সবচেয়ে সহজ শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘জাহান্নামিদের মধ্যে সবচেয়ে সহজ শাস্তি ওই ব্যক্তির হবেযাকে ফিতাসহ এক জোড়া জুতা পরিয়ে দেয়া হবে। এতে তার মগজ এমনভাবে টগবগ করবে গরম পানির পাত্র যেমন টগবগ করে। সে ধারণা করবে তার থেকে কঠিন আজাব আর কেউই ভোগ করছে না। অথচ সে হবে সবচেয়ে সহজ শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি। (সহিহ মুসলিম : ৩৬৪)

প্রিয় পাঠক! জাহান্নামের সবচেয়ে সহজ শাস্তির যদি হয় এমন পাওয়ার তাহলে কঠিন শাস্তির পাওয়ার কেমন হবেতা আমাদের ভাবতে হবে। প্রতিদিন কত গুনাহ আমরা করে যাচ্ছি অহরহ। কখনো কি ভেবে দেখেছিএর শাস্তি যদি আমাকে দেয়া হয় তাহলে কিভাবে সহ্য করবঅথচ জাহান্নামে যাওয়ার জন্য একটি কবিরা গুনাহ-ই যথেষ্ট। মহান আল্লাহ তায়ালা যদি আমাদের মাফ না করেনতাহলে আমাদের কী উপায় হবেআল্লাহ তায়ালা আমাদের জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে হিফাজত করুন।

 দুনিয়ার আগুন শরীরের শুধু বাহ্যিক অঙ্গ পোড়াতে পারে। পোড়াতে পারে না তা অভ্যন্তরীণ অঙ্গ। কিন্তু জাহান্নামের আগুনের এমন পাওয়ার থাকবে যা জাহান্নামিদের শরীর পোড়ানোর পাশাপাশি তাদের হৃৎপিণ্ডও পুড়িয়ে ছাই করে ফেলবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এটি আল্লাহর প্রজ্ব¡লিত অগ্নিযা তাদের হৃদয়কে গ্রাস করে ফেলবে।’ (সূরা হুমাজা : ৬-৭) দুনিয়ার আগুন লাল বর্ণের হয়ে থাকে। কিন্তু জাহান্নামের আগুন তীব্র উত্তপ্ত হওয়ার দরুণ কালো বর্ণের হবে।

আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘জাহান্নামের আগুন এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা লাল বর্ণ ধারণ করেছে। আবার এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা সাদা বর্ণ হয়েছে। তারপর এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা কালো বর্ণ হয়েছে। এখন তা গভীর অন্ধকার রাতের অন্ধকারের মতো কালো (সুনানে ইবনে মাজাহ : ৪৩২০)। ‘জাহান্নামিরা যখন পিপাসায় ছটফট করবে তখন তাদেরকে গলিত পুঁজ পান করানো হবেযা সে এক এক ঢোক করে গিলবে’ (সূরা ইবরাহিম : ১৬-১৭)।

রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘পুঁজ যখন তার মুখের নিকটে নিয়ে আসা হবেসে তা অপছন্দ করবে। তারপর যখন আরো নিকটে নিয়ে আসা হবেতখন তার মুখমণ্ডল পুড়ে যাবে এবং মাথার চামড়া গলে পড়ে যাবে। তারপর সে যখন তা পান করবে তখন তার নাড়িভুঁড়ি গলে ছিন্নভিন্ন হয়ে মলদার দিয়ে বের হয়ে যাবে।’ (জামে তিরমিজি :২৫৮৩)

 ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিতএকদিন রাসূলুল্লাহ সা: এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঅর্থাৎ ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং পূর্ণ মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ তারপর প্রিয় নবী সা: ইরশাদ করলেন, ‘যদি জাক্কুম গাছের একটা ফোঁটা এই দুনিয়ায় পড়ে তাহলে দুনিয়াবাসীর জীবনোপকরণ বিনষ্ট হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় ওইসব লোকের কেমন দুর্দশা হবে এটা যাদের খাদ্য হবে?’ (জামে তিরমিজি : ২৫৮৫)

রাসূল সা: জাহান্নামের সবচেয়ে সহজ শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘জাহান্নামিদের মধ্যে সবচেয়ে সহজ শাস্তি ওই ব্যক্তির হবেযাকে ফিতাসহ এক জোড়া জুতা পরিয়ে দেয়া হবে। এতে তার মগজ এমনভাবে টগবগ করবে গরম পানির পাত্র যেমন টগবগ করে। সে ধারণা করবে তার থেকে কঠিন আজাব আর কেউই ভোগ করছে না। অথচ সে হবে সবচেয়ে সহজ শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি। (সহিহ মুসলিম : ৩৬৪)

প্রিয় পাঠক! জাহান্নামের সবচেয়ে সহজ শাস্তির যদি হয় এমন পাওয়ার তাহলে কঠিন শাস্তির পাওয়ার কেমন হবে

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,


আপনারা এভাবে অবৈধ সংসার ত্যাগ করুন। আল্লাহকে ভয় করুন। দুই দিনের এই দুনিয়ার জন্য চিরস্থায়ী আখেরাতের জাহান্নামে যাওয়া কোনভাবে বুদ্ধিমান ব্যক্তির কাজ হতে পারে না।


এজন্য দুই দিনের এই দুনিয়ার সুখ-শান্তি এটা পরিত্যাগ করে স্বামীকে সম্পূর্ণরূপে হারাম মনে করে খুব দ্রুত সেখান থেকে চলে এসে অন্যত্রে বিবাহ বসার পরামর্শ থাকবে।

মনে রাখবেন জাহান্নামের শাস্তি খুবই কঠিন।


আল্লাহ তায়ালা আমাদের জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে হিফাজত করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...