আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in সাওম (Fasting) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম... সাহরির পর হঠাৎ খুব কাশি হয়...কাশতে কাশতে পেট থেকে পানি মুখে চলে আসে আবার নেমে যায়...মুখে হাত দিয়ে কাশি দিচ্ছিল তাই পানি চলে আসায় তা ফেলে দেয়ার  সুযোগ হয়নি... ইচ্ছাকৃতভাবে পানি গিলেনি...এতে কি রোজা হবে?

1 Answer

0 votes
by (70,170 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

জবাব,

https://ifatwa.info/15628/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোযার কোনো ক্ষতি হয়না। আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-

ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.

তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪

হাদীসে আছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোযা কাযা করতে হবে না।-জামে তিরমিযী ১/১৫৩, হাদীস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪

তবে অনিচ্ছাকৃত বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে রোযা ভেঙ্গে ফেললে কাযা করতে হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

শরীয়তের বিধান হলো  মুখে বমি চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।-আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৫)

যে ব্যক্তির অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি আসার পর তিনি বমি গিলে ফেলেছেন; যদি তিনি সেটা অনিচ্ছাকৃতভাবে করে থাকেন তাহলে তার উপর কোন কিছু আবশ্যক হবে না। আর যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেলেন তাহলে তার রোযা নষ্ট হয়ে গেল এবং তার উপর কাযা পালন করা আবশ্যক। স্থায়ী কমিটির আলেমগণ বলেন: যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে তাহলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি বমি এসে যায় তাহলে তার রোযা নষ্ট হবে না। অনুরূপভাবে অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি গিলে ফেললেও রোযা নষ্ট হবে না।[ফাতাওয়াল লাজনা দায়িমা (১০/২৫৪)]

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...