আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আগের প্রশ্নটা আবারও করছি এখানে,,প্লিজ কিছু জানাবেন।


আলাইকুম, আমি একজন নওমুসলিমা, হিন্দু পরিবার থেকে। আমার বয়স ১৮+ কলেজের শুরু তে একজন মুসলিম ছেলের সাথে হারাম সম্পর্ক হয়। সে আগে প্রেকটিসং ছিল, কিন্তু,,,নফস এর ধোকায়,,সে রিলেশন এ আসে। তো যদিও সম্পর্ক টা হারাম তার কাছ থেকে তরকাতরকি,,,,আর অনলাইন এ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে যেনে বুঝে,,, আমি ইসলাম গ্রহণ করি। তারপর জানতে পারি রিলেশন হারাম।আগে জানতাম বাট বুঝতাম না হারাম হালাল। তারপর ইসলাম গ্রহণের কিছু দিন পর  প্রায় ১/২ মাস,, পর,,, আমি তাকে জানাই রিলেশনশীপ এ থাকব না,,,হারাম এটা। সে কলেজের শুরু থেকেই আমায় বিয়ে করে নিতে চেয়েছিল কিন্তু এটা সম্ভব হয় নি। তারপর আমি এই কথ বলার পর,,,বিষয়টা আরও দ্রুত আগায়,তারপর আমরা বিয়ে করে নিই।আমার মাথায় তখন আসে নাই সে হারাম সম্পর্কে গেল তার তাকওয়া কতটুকু বা সে কতটুক ইসলামিক,,,আমিও তো ২ মাস ইসলাম গ্রহণ এর পর হারামে ছিলাম,এখানে আমার দুর্বলতা আর, হালাল রাখার উদ্দেশে,,, যেহেতু ভবিষ্যতে আমায় কারো অধিনে যেতেই হবে,,, আর তার প্রতি দুর্বলতা ছিল,, তাই বিয়ে করে নেই। তার পর সব ঠিকই থাকে। আমি আমার পড়াশোনা করছিলাম, কিন্তু প্রবলেম হয় স্কুল এ থাকাকালিন,, আমি আর একজন কে পছন্দ করতাম,,,ঐটা নিয়ে নানা ভাবে প্রশ্ন করতে থাকে,,,, বিয়ের আগেই সে এইটা জানতে পেরেছিল,,,আমি জানাই নি,,,নিজে জানতে পেরেছিল,,, তখন ও এটা নিয়ে জগড়া হত,,যেমন এখন ও স্কুল এর ঐ ছেলেকে পছন্দ কিনা,,, এসব,,,,বিয়ের পর ও এটা চলতে থকে,,বিয়ের আগে এটা হয়েছিল কারন আমি স্কুল এর ঐ ছেলেটার ফেইসবুক  আইডি একাদিক বার সার্চ করেছি,,,এটা জানতে পেরেছিল। কারন তখন এগুলা সাভাবিক ছিল আমার কাছে। আমি মুসলিম হওয়ার পর এমন কিছু করি নি বিয়ের পর ও করি মি,,,আগের গুলা নিয়েই সন্দেহ বসত জগড়া,,,আমরা একই ক্লাস এ তো বিয়ের পর ও বলত আমি নাকি৷ ক্লাস এ কোন কোন ছেলের দিকে তাকাই আছি আসলে আমি তাকাই নাই,,,এই নিয়ে জগড়া,,পর্দা নিয়ে জগড়া,,,,,প্রথৃ প্রথম এগুলা খুব বুঝতাম না,, তাই মানতাম না,,,,,, এর পর তার ক্যানসার ধরা পরে,, একাই সব করে মেডিসিন থেকে শুরু করে সব,,,ওর বাড়িতে জানায় নাই,,আমি আমার তরফ থেকে মেন্টার সাপোর্টের চেষ্টা করেছিলাম,, এখন সে সুস্থ আলহামদুলিল্লাহ। এটা নিয়াও তখন ভুল বুঝতো আমায়,,,আমার একাডেমি খারাপ রেজাল্ট হচ্ছিল,,, বাড়ি থেকে জানতে পারে আমি রিলেশনে,,বিয়ের কথা জানে না বা মুসলিম হয়েছি তা ও জানে না,ভবে রিলেশন এ আছি,,,আার ও প্রেসার,,,,,, পড়াশুনা তে এত গেপ,,, এ শেষ ই করতে পারতেছিলাম না।।মা বাবাও চিন্তা তে পড়ে যায়,,,ওদের বিশ্বাস হারাই ফেলি।এর পর আমাদের মাঝে কিছু অন্যরকম কথাবার্তা হতে থাকে,,, বিয়ের আগে ও এমন কথা হতো,,, ফিজিক্যাল বিষয়াদি,,,,,,শুধু কথা বার্তা ই,,,,,।  তখন সমস্যা বুঝি নি৷ এখন বিয়ের ১.৫ বছর,, ইসলাম গ্রহনের ১.৭/১.৮ বছর,,,,,এই গুলা নিয়ে এখনও আমি ভুগছি,,তওবা করেছি,,,বারবার,,,,আমি আল্লাহর আরো কাছাকাছি যাইতে পারতাম, কিন্তু অন্য বিষয় চলে আাসায়,,,ভুল বুঝাবুঝির জন্য  সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ায়,,আমি ততটা কাছে যেতে পারি নি আল্লাহর।  আগে হোস্টেল থাকতাম,,,,এখন বাসায় আছি,,নামাজ রোজা নিয়ে সমস্যা হয় অনেক এখন। দীন ও শিখতে পারি নাই তেমনভাবে। আমার স্বামী ও বয়স কম  ২০ হবে কয়েকমাস পর ,, আমার ও কম। চাইলেই ওর বাসায় নিয়ে আমার দায়িত্ব নিতে পারছে না। কিন্তু ভুল বুঝাবুঝি গুলো চলছেই,,,,ফ্যাজিক্যাল বিষয়ে কথাও চলে আসে,,,আমার সম্মতিতেই কথাগুলো হয়,,মাঝে মাঝে আমিও চাই,,,কিন্তু আমার খুব প্রবলেম হচ্ছে মাঝে মাঝে,,,সে চায় আমি তাকে সময় দেই,,,, আসলে আমি তো ফ্যামিলি প্যাসার,,, দীন পালন নিয়ে চিন্তা,, পর্দা নিয়ে,,বাড়ির মানুষ সন্দেহ করে আমায়, মুসলিম হয়ে গেলাম কিনা,,এত কিছু সামলিয়ে তাকে কম সময় দিলে সে ভাবে আমি তাকে অবহেলা করছি,,,,আমি আল্লাহর কাছাকাছি  হইতে পারি নাই আজ ও।।কুরান পড়া শিখি নাই,অতছ ১.৫ বছরের উপর হয়ে গেল,,,আমার অনেক কষ্ট হয়, আমার মনে হয় আমার স্বামী দীন পালনে আমার সাপোর্টিব না,,,সে শুধু দেখে পর্দা ঠিক কিনা, তাকে কোনোভাবে ধোকা না দিলেই হলো। আমি তার বাড়িতে থাকি না,,,আমার অসুবিধা গুলো বুঝতে চায় না,,,সে আমার থেকে পরিপুর্এন wife er treatment আসা করে,,নিজের ভুল বুঝে না,,আমি জানি না আমার কতটুকু ভুল,,এগুলো আমার মনে হয়। আমি ভেবেছিলাম ইসলাম শিখতে সে সহায়ক হবে,,আমার পথটা সহজের মাধ্যম হবে। কিন্তু সবকিছু  আরও complex হয়ে যাচ্ছে। এখন পড়াশুনা, ইসলাম,,পরিবার,,,আমি কিভাবে দীন শিখব,,,আমি বাড়ির বড় মেয়ে,,মা বাবার দায়িত্ব নিব,ছোট ভাইটাকে প্রতিষ্ঠিত করব এটা তারা আসা করে আমার কাছে,,,যদিও বিশ্বাস ভেঙেছি ভেবে তারা কষ্ট পেয়েছে অনেক।,,,, আমি মাপ চাই নি  মা বাবার কাছে,,কারন সব তো বলতে পারি না,,ইচ্ছে করে সব বলে দিয়ে মাদরাসায় চলে যাই,,কিন্তু হয়ে উঠে না।  ,আজ আমি আমার স্বামীকে বলেছি " তোমার by born  মুসলিম বিয়ে করা উচিত ছিল" বিচ্ছেদ এর কথাও উঠে  বাট আমরা কেউই চাই না। আমি ইসলাম শিখতে চাই,,,আল্লাহর  কাছাকাছি থাকতে চাই,,,সব গুনাহ মাফ করিয়ে,, ঈমান এর সাথে মারা যেতে চাই,,,এতটুক ই, আমি আর কিছু চাই না,,,এখন আমি কি করব, প্লিজ আমায় নসিহা করোন। আসসালামু আলাইকুম।

1 Answer

0 votes
by (606,540 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

স্বামীর উপর স্ত্রীরও কিছু অধিকার ও হক্ব রয়েছে যেমন, বিয়ের পর স্ত্রীর ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করে স্ত্রীকে একটি বাসস্থান ও খাদ্য এবং বস্র দান করা।এটা স্বামীর উপর  স্ত্রীর অধিকার ওহক্ব এবং শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব। 

এ সম্পর্কে কুরআনের ঘোষনা হলঃ
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .

সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

تجب السكني لها عليه في بيت خال

মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৬০৪)

قَوْلُهُ خَالٍ عَنْ أَهْلِهِ إلَخْ) ؛ لِأَنَّهَا تَتَضَرَّرُ بِمُشَارَكَةِ غَيْرِهَا فِيهِ؛؛ لِأَنَّهَا لَا تَأْمَنُ عَلَى مَتَاعِهَا وَيَمْنَعُهَاذَلِكَ مِنْ الْمُعَاشَرَةِ مَعَ زَوْجِهَا وَمِنْ الِاسْتِمْتَاعِ إلَّا أَنْ تَخْتَارَ ذَلِكَ؛ لِأَنَّهَا رَضِيَتْ بِانْتِقَاصِ حَقِّهَا هِدَايَةٌ )

স্ত্রীকে এমন একটি বাসস্থান দান করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব,যা স্বামীর পরিবার থেকে খালি থাকবে,কেননা সে অন্যর উপস্থিতির ধরুণ কষ্ট উপভোগ করবে,এবং তার মাল সামানা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে না।তৃতীয় কারো উপস্থিতি স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক জীবন ও একান্ত সময় অতিবাহিত করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। এ জন্য একটি পৃথক বাসস্থান স্ত্রীর মৌলিক অধিকার।তবে যদি সে তার নিজ অধিকার বিসর্জন দিতে রাজি হয় যায় তাহলে তার জন্য অনুমিত রয়েছে (যদি এক্ষেত্রে গোনাহের কোনো সম্ভাবনা না থাকে)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430

ইসলামের দিক-নিদের্শনা হচ্ছে বিবাহের পরে স্বামীর প্রথম কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য এমন একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেখানে স্ত্রী মানুষের দৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকবে। কেননা পর্দা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। আর এই বিধান পালন করার জন্য স্বামীর কতর্ব্য স্ত্রীকে সাহায্য করা। সেই সাথে অন্যান্য সকল কষ্ট থেকে স্ত্রীর আরামের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্ত্রীকে শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথেই থাকতে হবে এমন বাধ্যও করা যাবে না। কেননা এমন কোন অধিকার স্বামীর নেই। তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়কে সামাজিক অবস্থার উপর বিবেচনা করেও কিছু কাজ করতে হবে।

যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে স্বামীর পরিবারের সাথে অথবা অন্য আত্মীয়ের সাথে থাকার কথা বলে কিন্তু স্ত্রী কারো সাথে থাকার কথা রাজি না হয় তাহলে স্ত্রীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা স্বামীর কতর্ব্য। কেননা স্ত্রীর সকল কিছু রক্ষা করা ও নিরাপদে বসবাস করার দায়িত্ব স্বামীর।

আরো জানুনঃ 

স্বামীর উপর ওয়াজিব যে,সে তার স্ত্রীর ভরণপোষণ করবে।
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে।(সূরা নিসা-৩৪)

لِيُنْفِقْ ذُو سَعَةٍ مِنْ سَعَتِهِ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنْفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّهُ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا
বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি সীমিত পরিমাণে রিযিকপ্রাপ্ত, সে আল্লাহ যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করবে।(সূরা তালাক-৭)

হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
وعَنْ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : " قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ ؟ قَالَ : ( أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ ، وَلَا تَضْرِبْ الْوَجْهَ ، وَلَا تُقَبِّحْ ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ) 
 তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমন্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।(আবু দাউদ-২১৪২,ইবনে মা'জা-১৮৫০)

স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ আদায় না করলে এবং স্ত্রীকে সঙ্গ না দিলে,স্ত্রী যদি কাযী সাহেবের নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে কাযী সাহেব উক্ত বিবাহকে ভঙ্গ করে দেয়ার অধিকার রাখেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৩/১০০)

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5139

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রথমেই বলবো যে এভাবে নিজের মা-বাবাকে না জানিয়ে এবং ছেলের মা-বাবাকে না জানিয়ে আপনাদের বিবাহ কোনভাবেই উচিত হয়নি।

তারপরও এখন যেহেতু বিবাহ হয়েই গিয়েছে, এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে যে ছেলের পরিবারকে পুরোপুরিভাবে বিষয়টি জানানো এবং ছেলে যদি আপনাকে পরিপূর্ণভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়, বাসস্থানের ব্যবস্থা করে, ভরণপোষণের ব্যবস্থা করে, সেক্ষেত্রে আপনি তার হক আদায়ের জন্য তার কাছে গিয়ে থাকবেন।

আর যদি সে বিষয়গুলো তার পরিবারের না জানায়,সব কিছু সুরাহা না করে, আপনার জন্য আলাদা বাসস্থান, ভরণপোষণ কিছুরই ব্যবস্থা না করে, এক্ষেত্রে স্বামীর পরিপূর্ণ হক আদায় না করলেও আপনার গুনাহ হবে না।

এমতাবস্থায় আপনি আপনার বাবার বাসাতেই থাকতে পারবেন এবং ইসলাম প্র্যাকটিস করবেন শরীয়তের বিভিন্ন এর বইগুলো আপনার পড়বেন,নেককারদের সংস্রবে থাকবেন,নেট থেকে হক্কানি উলামায়ের কেরামদের ওয়াজ নসিহত শুনবেন, ইনশাআল্লাহ আপনি উপকৃত হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...