জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
★অন্যকে যে টাকা কর্জ হিসেবে দেওয়া হয়েছে বা ব্যবসায়ী কোনো পণ্য বাকিতে বিক্রয় করেছে এই পাওনা টাকা পৃথকভাবে বা অন্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে মিলিতভাবে নিসাব পূর্ণ করলে তারও যাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১১১-৭১১৩,৭১২১,৭১২৩,৭১২৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৪৮৪-৪৮৬)
★পাওনা উসূল হওয়ার পর ওই টাকার যাকাত আদায় করা ফরয হয়। তার আগে আদায় করা জরুরি নয়, তবে আদায় করলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে।(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস ১০৩৪৭, ১০৩৫৬)
★উপরোক্ত ক্ষেত্রে পাওনা উসূল হতে যদি কয়েক বছর সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে উসুল হওয়ার পর বিগত সকল বছরের যাকাত আদায় করা ফরয হয়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১১৬,৭১২৯,৭১৩১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস ১০৩৪৬,১০৩৫৬)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার আম্মু আপনার খালাকে যেই টাকা ধার দিয়েছেন,এই টাকাত যাকাত এখনই আপনার আম্মুর আদায় করতে হবেনা।
পাওনা টাকা পাওয়ার পর সেই টাকার যাকাত আদায় করতে হবে,এক্ষেত্রে পাওনা টাকা পেতে কয়েক বছর লেগে গেলে টাকা উসুলের পর এই বছর সহ পরবর্তী বছর গুলোরও যাকাত আদায় করতে হবে।
(০২)
এক্ষেত্রে মূল সমস্যা হল আপনি যেই মাসে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছিলেন, ঠিক সেই মাসে যেহেতু আপনার উপর যাকাত ফরজ।
তো আপনি যদি এই রমজানে যাকাত আদায় করে দেন, তাহলে এমনটাও তো হতে পারে যে যেই মাসে আপনার নেসাবের বছর পূর্ণ হবে, সে মাসে আপনার আরো বেশি যাকাত দেওয়া লাগতে পারে।
তাহলে রমাদানের যাকাত আদায় করার দরুন আপনার যাকাত আদায় তো কমও হতে পারে।
সুতরাং আপনার প্রতি পরামর্শঃ
আপনি প্রবল ধারণার ভিত্তিতে এটি নির্দিষ্ট করবেন যে আপনি আরবি কোন মাসে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছিলেন।
প্রবল ধারণার ভিত্তিতে সেটা নির্ধারণ করে বছর পূর্ণ হওয়ার পর আরবি সেই মাসেই আপনি যাকাত আদায় করবেন।
এক্ষেত্রে এই রমাদানেই যদি আপনি যাকাত আদায় করেন, তাহলে সেই মাসে আবারো হিসাব করে দেখবেন যে আরো যাকাত আদায় করতে হবে কিনা।
সে মাসে হিসাব করার পর যদি আরো যাকাত আদায় করতে না হয়, তাহলে তো কোন সমস্যা নেই।
আর যদি আরো কিছু টাকা যাকাত আদায় করতে হয়, তাহলে বাকি টাকা টুকু আপনি যাকাত হিসেবে আদায় করে দিবেন।
(০৩)
খুব দরিদ্র হওয়া শর্ত নয়।
যার নেসাব নেই এমন কাউকে যাকাত দিলেই আদায় হবে
এ সংক্রান্ত জানুনঃ-