(০১)
কোন কোন জিনিষ দ্বারা সদকায়ে ফিতির আদায় করা যাবে?
যদি গম, কিসমিস, পনীর ইত্যাদি খাদ্য দ্রব্য দিয়ে ফিতরা আদায় করে, তাহলে হয়ে যাবে।
صحيح البخاري (2/ 130)
1503 – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى العَبْدِ وَالحُرِّ، وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى، وَالصَّغِيرِ وَالكَبِيرِ مِنَ المُسْلِمِينَ، وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ»
[تعليق مصطفى البغا] (فرض) أوجب أو قدر.
অর্থ : হযরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর রাসূলুল্লাহ (সা.) زَكَاةَ الفِطْرِ সাদকাতুল ফিতর হিসাবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা আবশ্যক করেছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। বুখারী-২/১৩১, হাদীস-১৫০৬।
صحيح البخاري (2/ 131)
1506 – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ العَامِرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الخُدْرِيَّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: «كُنَّا نُخْرِجُ زَكَاةَ الفِطْرِ صَاعًا مِنْ طَعَامٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ»
অর্থ : হযরত আবূ সাঈদ খুদরী(রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক সা’ পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা’ পরিমাণ যব অথবা এক সা’ পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা’ পরিমাণ পনির অথবা এক সা’ পরিমাণ কিসমিস দিয়ে زَكَاةَ الفِطْرِ সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম। বুখারী-২/১৩১, হাদীস-১৫০৬।
وإنما تجب صدقة الفطر من أربعة أشياء من الحنطة والشعير والتمر والزبيب كذا في خزانة المفتين وشرح الطحاوي وهي نصف صاع من بر أو صاع من شعير أو تمر، ودقيق الحنطة والشعير وسويقهما مثلهما والخبز لا يجوز إلا باعتبار القيمة، وهو الأصح، وأما الزبيب فقد ذكر في الجامع الصغير نصف صاع عند أبي حنيفة - رحمه الله تعالى -؛ لأنه يؤكل بجميع أجزائه وروي عن أبي حنيفة - رحمه الله تعالى - صاع، وهو قولهما
চারটি জিনিষ দ্বারা সদকায়ে ফিতির আদায় করা যায়,
(১)গম(২)যব(৩)খেজুর(৪)কিসমিস।
(পরিমাণঃ)
গম হলে আধা সা'(=১.৬৫০গ্রাম)
যব বা খেজুর হলে এক সা'(=৩.৩০০গ্রাম)
গম বা যবের সাতু হলে পূর্ণ গম বা যবের পরিমাপের মতই।
তবে রুটি হলে এক্ষেত্রে পরিমাপ গ্রহণযোগ্য হবে না বরং মূল্য হিসেবেই দিতে হবে।এটাই বিশুদ্ধ মত।
কিসমিস সম্পর্কে ইমাম আবু হানিফা রাহ থেকে এক বর্ণনা মতে আধা সা',কেননা তাকে সমূলে একবারেই মূখে দিয়ে আহার করা হয়।এবং ভিন্ন এক বর্ণনায় এক সা'র উল্লেখ পাওয়া যায় যা সাহেবাইনের মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২)
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১৪৪৬ হিজরী (২০২৫ খ্রি.) সালের সাদাকাতুল ফিতর এর হার,জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেকঃ-
গম দ্বারা আদায় করলে অর্ধ সা' বা ১ কেজি ৬শ' ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১০/-(৬৫ টাকা দরে)
আটা দ্বারা আদায় করলে অর্ধ সা' বা ১ কেজি ৬শ' ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১০/-(৬৫ টাকা দরে)
যব দ্বারা আদায় করলে এক সা' বা ৩ কেজি ৩শ' গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৫৩০/-(১৬০ টাকা দরে)
কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা' বা ৩ কেজি ৩শ' গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১৯৮০/-(৬০০ টাকা দরে)
খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা' বা ৩ কেজি ৩শ' গ্রাম বা এর বাজার মূল্য
২৩১০/-(৭০০ টাকা দরে)
যেগুলো সাধারণত পরিধান করেনা,তুলে রেখে দিয়েছে,তবে ব্যবহার যোগ্য,সেগুলো নেসাবের ক্ষেত্রে ধরতে হবে।