আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার শাশুড়ি আমাকে বলেছেন, আল্লাহ কোরআন নাজিল করেছেন ৩০ অক্ষর এ আর মানুষকে তৈরি করেছে ৪০ অক্ষর এ।আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।যারা পিরের ভক্ত তারা কেন এই কথা বলে?আর এই ৪০ অক্ষর মানে কি?৪ তরিকা বাজাতে হবে ( শরিয়ত,মারিফত,তরিকত,হাকিকত) এই কথাও বলে।কিন্তু আমি জানি শরিয়ত মানাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।এখন শুধু শরিয়ত মানলে নাকি হবে না।এখন আমি জানতে চাই এই ৪টা বিষয় কি আলাদা আলাদা করে মানতে হবে নাকি শুধু শরিয়ত মোতাবেক চললে ই হবে?শেষ প্রশ্ন,আমি যদি কখনো কারো হাতে বায়াত না করি তাহলে কি আমি জান্নাতে যেতে পারব না?

1 Answer

0 votes
by (70,170 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ

https://ifatwa.info/30110/   নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, আল্লাহ তা'আলা বলেন,

قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।(সূরা আলে ইমরান-৩১)

আল্লাহ বলছেন,যে উনাকে পেতে হলে,উনাকে কেউ মহব্বত করলে,রাসূল সাঃ এর অনুসরণ করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ

তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1037

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

মারেফাত অর্থ হল, আল্লাহর পরিচিতি লাভ করা।আল্লাহর নৈকট্যতা অর্জনের চেষ্টা করা।

(২)

আল্লাহর তাওফিক বলতে, আল্লাহর পক্ষ্য থেকে প্রাপ্ত ক্ষমতাকে বুঝানো হয়ে থাকে।

(৩)

তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ অর্থ হল, আল্লাহর একত্ববাদকে স্বীকার করা। এবং তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ এর অর্থ হল, রবের একত্ববাদকে স্বীকার করা।

তৃতীয় প্রশ্নে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? তা পরিস্কার নয়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

 আপনার শাশুড়ীর কথা “আল্লাহ কোরআন নাজিল করেছেন ৩০ অক্ষর এ আর মানুষকে তৈরি করেছে ৪০ অক্ষর” এটি এক ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...