ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমরা দেখতে পাই যে,অনেক নেককার স্ত্রী বদকার স্বামীকে বিয়ে করে থাকে?
জবাবে বলা হবে,এখানে অর্থ হল,সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য সচ্চরিত্রা মাহিলাকে বিয়ে করা ব্যতীত অন্য কোথাও বিয়ে করা উচিৎ হবে না।এবং দুশ্চিরিত্রা মহিলা মহিলার জন্য দুশ্চিরিত্র পুরুষই বেশ উপযুক্ত। যে ব্যক্তি দুশ্চরিত্রা মহিলার খবর জানা সত্বেও সে দুশ্চরিত্রাকে বিয়ে করতে যাবে,সে নিজেও এরকম দুশ্চরিত্র।
তাফসীরে জালালাইন গ্রন্থে উক্ত আয়াতের ব্যাখায় লিখা হয়,
ﻣِﻤَّﺎ ﺫُﻛِﺮَ ﺃَﻱْ اﻟﻻَّﺋِﻖ ﺑِﺎﻟْﺨَﺒِﻴﺚِ ﻣِﺜْﻠﻪ ﻭَﺑِﺎﻟﻄَّﻴِّﺐِ ﻣِﺜْﻠﻪ
উক্ত আয়াতে যে বলা হয়েছে,'দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে'(শেষ পর্যন্ত)
এই আয়াতের সহজ অর্থ হচ্ছে,দুশ্চরিত্র নারীর জন্য দুশ্চিত্র পুরুষই উপযোক্ত এভাবে ঠিক তার উল্টো।এ অর্থ নয় যে,দুশ্চরিত্র নারী দুশ্চরিত্র পরুষকেই পাবে।হতে পারে আবার নাও পেতে পারে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/4612
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) একজন মুসলিম ব্যক্তি মুসলিম ব্যভিচারী/যিনাকারী পুরুষ কিংবা মহিলাকে বিয়ে করতে পারবে। এতে কোনে সমস্যা নেই।
(২) ব্যভিচারী/যিনাকারী যদি তাওবা না করে, তাহলেও তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ জায়েয।
(৩) কোনো মুসলিম ব্যক্তি নিজের ব্যভিচার/যিনা স্বীকার করার পর, তাকে বিয়ে করতে কোনো বিধিনিষেধ নাই।
(৪) বিয়ে হয়ে গেলে ভালো, এতে কোনো সমস্যা হবে না।