আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in সাওম (Fasting) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারোকাতুহ।

ইতিকাফের জন্য কি আজকে(১৯ মার্চ) মাগরিবের আগে ইতিকাফের স্থানে প্রবেশ করতে হবে নাকি আগামীকাল(২০ মার্চ)?

হায়েয হয়েছে ভেবে একটি রোযা রাখা হয়নি। পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে হায়েযের স্রাব ছিলো না। এমতবস্থায় উক্ত রোযার শুধু কাযা আদায় করাই যথেষ্ট নাকি কাফফারাও আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (632,940 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে যে,
«وَيَنْقَسِمُ إلَى وَاجِبٍ، وَهُوَ الْمَنْذُورُ تَنْجِيزًا أَوْ تَعْلِيقًا، وَإِلَى سُنَّةٍ مُؤَكَّدَةٍ، وَهُوَ فِي الْعَشْرِ الْأَخِيرِ مِنْ رَمَضَانَ، وَإِلَى مُسْتَحَبٍّ، وَهُوَ مَا سِوَاهُمَا هَكَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ.» 
- «الفتاوى الهندية» (1/ 211)
ইতিকাফ তিন প্রকার যথা- (১) ওয়াজিব ইতিকাফ, যা নযর বা মান্নতের জন্য কারো উপর ওয়াজিব হয়েছে। (২) সুন্নতে মুআক্কাদা ইতিকাফ, তা হল রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ।(৩) মুস্তাহব ইতিকাফ, এছাড়া সকল ইতিকাফকে মুস্তাহব ইতিকাফ বলা হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/16195

গ্রহণযোগ্য ফেকহী কিতাবে উক্ত বিষয় সম্পর্কিত কিছু আলোচনা প্রথমে জেনে নিলে  প্রশ্নের উত্তর বুঝাটা আমাদের জন্য সহজ হবে।
وَلَيْسَ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَعْتَكِفَ فِي غَيْرِ مَوْضِعِ صَلاَتِهَا مِنْ بَيْتِهَا.
وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهَا فِي الْبَيْتِ مَكَانٌ مُتَّخَذٌ لِلصَّلاَةِ لاَ يَجُوزُ لَهَا الاِعْتِكَافُ فِي بَيْتِهَا، وَلَيْسَ لَهَا أَنْ تَخْرُجَ مِنْ بَيْتِهَا الَّذِي اعْتَكَفَتْ فِيهِ اعْتِكَافًا وَاجِبًا عَلَيْهَا
ঘরের মসজিদ ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে এ'তেক্বাফ করা নারীদের জন্য জায়েয নয়।যদি ঘরে নামায পড়ার মত কোনো কামরা বা পরিবেশ না থাকে,তাহলে এ'তেক্বাফ করা নারীদের জন্য বৈধ হবে না।নারী যে ঘরে এ'তেক্বাফ শুরু করবে,সেই ঘর থেকে সে বের হতে পারবেন না।(মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৫/২১২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1275

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ২০ রমজান সূর্যাস্তের পূর্বে ইতিকাফে বসতে হয়। আসরের পর পরই প্রবেশ করা উত্তম।
(২) হায়েযের সন্দেহে রোযা রাখা হয়নি, পরবর্তীতে দেখা গেল যে, এটা হায়েযের স্রাব ছিলো না। এমতাবস্থায় উক্ত রোযার শুধু কাযা আদায় করাই যথেষ্ট হবে। এক্ষেত্রে কাফফারা আসবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 405 views
...