আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম। সুদে যুক্ত রক্ত সম্পর্কিত আত্নীয় যদি কোন খাবার দেয় বা তার বাড়িতে খেতে বলে সেটা তো ভক্ষণ করা অবশ্যই হারাম হবে কারন হারাম টাকার সকল খবারই / গিফট হারাম হবে। এখন প্রশ্ন হলো তারা যদি কেউ গিফট দিয়েই ফেলে সেটা তো ব্যবহার করা হারাম হবে এক্ষেত্রে যদি ঐ গিফটের সমপরিমাণ অর্থ বা তার বেশি টাকা তাকে কোন ভাবে দেয়া হয় সেক্ষেত্রে কি উক্ত গিফট ব্যবহার জায়েজ হবে? যেমন তিনি একটা জামা দিলেন আমি উক্ত জামার দাম তাকে কৌশলে দিয়ে দিলাম আরও বেশি দিলাম সেক্ষেত্রে কি জামা ব্যবহার জায়েজ /হালাল হবে।।

আর তাদের বাড়িতে দাওয়াত কিভাবে কবুল করব , তাদের ইনকাম হালাল হারাম + হারাম বেশি। তাদের দেয়া খাবার তো খাওয়া যাবে না।। তাদের নসীহাহ করা হয় বুঝতে চায় না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাদের সঠিক বুঝ দান করুন

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 

في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم
যদি কোনো ওয়ারিছ তার মুরিছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির ব্যাপারে জানে যে, এটা হারাম মাল। এবং ঐ মাল বা সম্পদের মালিক সম্পর্কে তার জানা থাকে, তাহলে তখন ঐ সম্পদকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কোনো মাল-ধৌলত এর মালিক সম্পর্কে জানা না থাকে, তবে এতটুকু জানা থাকে যে, মূলত এটা হারাম মাল, তাহলেও এটা ওয়ারিছের জন্য হালাল হবে না, বরং সেটাকে তার মালিকের পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিতে হবে।(রদ্দুল মহতার-৫/৯৯,শামেলা নুসখা)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1967

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হারাম ইনকাম করেন এমন কোনো আত্মীয় তার হারাম ইনকাম থেকে যদি আপনাকে কিছু দান করে, তাহলে আপনার উচিত, উক্ত জিনিষ তার নিকট ফিরিয়ে দেয়া বা সেই জিনিষকে গরীব মিসকিনদের মধ্যে সদকাহ করা। যদি সেই জিনিষের সমপরিমাণ মূল্য বা সেই মূল্যর সমপরিমাণ টাকা ঐ আত্মীয়কে দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে এদ্বারাও দায়মুক্ত থাকা যাবে। তবে উত্তম হল, দান সদকাহ করে দেয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...