আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in সাওম (Fasting) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাজ ,

আই ফতোয়াতে এক বোনের করা প্রশ্ন

দয়া করে পোস্টটি এপ্রুভ করে উত্তর দেবেন,আমি কোথাও কোন সমাধা পাচ্ছিনা,

আমার স্বামী প্রবাসী,তিনি মোট যতবার দেশে এসেছে এর মধ্যে ৩বার ৩সালের রোজা ছিল,লাস্ট রোজা ছিল ২০২৩।৩বছরের রোজাতে মোট ৫টি রোজা ভাঙ্গে আমার,কোন বছরে কতটি মনে নেই,এখন আমার প্রশ্ন হলো

১/ ৫টি রোজার প্রতিটি রোজার জন্য কি আমাকে ৬০জনকে দু বেলা খাওয়াতে হবে?নাকি এক বেলা?টাকা দিতে চাইলে কত দিতে হবে?

২/স্বামী এবং স্ত্রী দুজনকেই কি ৬০জন করে খাওয়াতে হবে,নাকি স্বামী খাওয়ালেই চলবে। রোজা ভাংগানোর ক্ষেত্রে স্বামীর অবদান বেশি ছিল,সেক্ষেত্রে কাফফারা কি দুনজনকে আলাদা ভাবে আদায় করতে হবে?নাকি একজন করলেই হবে।

৩/খাওয়ানোর পর আবার ১টি করে কাজা রোজা কি রেখে দিতে হবে যেগুলো ভাংছে?

৪/৬০জনকে খাওয়ালে প্রতিজনকে এক ফিতরা সমান টাকার খাবার খাওয়াতে হবে নাকি আরো কম খাওয়ালেও চলবে।

দয়া করে উত্তর দেবেন!

৫/ বর্তমানে আমি যদি ৬০জনকে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে টাকা দিয়ে দিই কতটাকা করতে দিতে হবে কাউন্ট করে বলবেন প্লিজ,কারন একজনকে খাওয়াতে এক ফিদিয়া দিতে হবে এক জায়গায় শুনেছি,এক ফিদিয়া দিয়ে কি একজন দুই বেলা খেতে পারেন

জাঝাকুমুল্লাহু খাইরন

1 Answer

0 votes
by (72,810 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/12593/ নং ফাতওয়ায় আমরা বলেছি যে,

আপনি বালিগ হওয়ার বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামনে দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি বা নিয়তই করেননি। সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন। এগুলোর কাফফারা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন। যেমন আপনি খানা ও পান করার (বা স্ত্রী সহবাসের) মাধ্যমে ভেঙ্গেছেন।  এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।

কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?

,

প্রতিউত্তরে বলা যায়-এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।

এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত হচ্ছে-

প্রতিটি রোযার জন্য পৃথক পৃথক কাফ্ফারা যদিও আসার কথা ছিলো। কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাই ফুকাহায়ে কেরাম সহজতার স্বার্থে বলেন যে,

অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪)

,

মোটকথাঃ

জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে, তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে এবং একটি কাফ্ফারাই উক্ত সকল রোযার জন্য যথেষ্ট হবে। ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে।

কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/102

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪)

,

রোজার কাফফারার প্রথম প্রকার তথা গোলাম প্রথা যেহেতু বর্তমানে নেই, তাই দ্বিতীয় প্রকার তথা দুই মাস রোযা-ই আপনাকে রাখতে হবে। হ্যাঁ যদি শারিরিক অসুবিধার কারণে আপনি রোযা রাখতে অক্ষম হন, তখন সেক্ষেত্রে আপনি ষাটজন মিসকিনকে খানা খাওয়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার জন্য অপশন রয়েছে, চাইলে আপনি ষাটজন মিসকিনকে একদিনে খাওয়াতে পারেন, বা একজন একজন করে ষাটদিনে ষাটজনকে খানা খাওয়াতে পারেন। অথবা সেই পরিমাণ টাকা গরীব-মিসকিনদেরকে সদকাহ করে ও দিতে পারেন{ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১০/১৭০}

১. দুই মাস রোযা-ই আপনাকে রাখতে হবে। রোজা রাখতে সক্ষম থেকেও ষাটজন মিসকিনকে খাওয়ালে হবে না। হ্যাঁ যদি শারিরিক অসুবিধার কারণে আপনি রোযা রাখতে অক্ষম হন, তখন সেক্ষেত্রে আপনি ষাটজন মিসকিনকে খানা খাওয়াতে পারবেন।

২. দুইজনকেই আলাদা আলাদা কাফফারা আদায় করতে হবে।

৩-৫. পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 180 views
...