ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/12593/
নং ফাতওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আপনি বালিগ হওয়ার বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামনে দিয়ে অতিবাহিত
হয়েছে। এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি বা নিয়তই করেননি। সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র
কাযা করে নিবেন। এগুলোর কাফফারা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা
আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন। যেমন আপনি খানা ও পান করার (বা স্ত্রী সহবাসের) মাধ্যমে
ভেঙ্গেছেন। এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে
হবে।
কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?
ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?
নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?
,
প্রতিউত্তরে বলা যায়-এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।
এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত হচ্ছে-
প্রতিটি রোযার জন্য পৃথক পৃথক কাফ্ফারা যদিও আসার কথা ছিলো।
কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাই ফুকাহায়ে কেরাম সহজতার স্বার্থে
বলেন যে,
অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর
জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার
মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।
(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪)
,
মোটকথাঃ
জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে, তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে এবং একটি কাফ্ফারাই উক্ত সকল রোযার
জন্য যথেষ্ট হবে। ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি
কাফ্ফারা আসবে।
কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/102
,
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
,
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে
ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত
অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক
একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪)
,
রোজার কাফফারার প্রথম প্রকার তথা গোলাম প্রথা যেহেতু বর্তমানে
নেই,
তাই দ্বিতীয় প্রকার তথা দুই মাস রোযা-ই আপনাকে রাখতে হবে। হ্যাঁ
যদি শারিরিক অসুবিধার কারণে আপনি রোযা রাখতে অক্ষম হন, তখন সেক্ষেত্রে আপনি ষাটজন মিসকিনকে খানা খাওয়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে
আপনার জন্য অপশন রয়েছে,
চাইলে আপনি ষাটজন মিসকিনকে একদিনে খাওয়াতে পারেন, বা একজন একজন করে ষাটদিনে ষাটজনকে খানা খাওয়াতে পারেন। অথবা
সেই পরিমাণ টাকা গরীব-মিসকিনদেরকে সদকাহ করে ও দিতে পারেন{ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১০/১৭০}
১. দুই মাস রোযা-ই আপনাকে রাখতে হবে। রোজা রাখতে সক্ষম
থেকেও ষাটজন মিসকিনকে খাওয়ালে হবে না। হ্যাঁ যদি শারিরিক অসুবিধার কারণে আপনি রোযা
রাখতে অক্ষম হন,
তখন সেক্ষেত্রে আপনি ষাটজন মিসকিনকে খানা খাওয়াতে পারবেন।
২. দুইজনকেই আলাদা আলাদা কাফফারা আদায় করতে হবে।
৩-৫. পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।