আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বার-কাতুহ।
উস্তাদজী,
আমার জ্বিন, জাদুর সমস্যা আছে, সেল্ফ রুকাইয়া করছি আলহামদুলিল্লাহ। এখন পরিবার একজন হুজুরের কাছে দেখাতে বলছে। উনি একজন আলেম ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। আমার কাকা তো বোনকে উনি চিকিৎসা করেছে। তাকে সাত ঘাটের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছে এবং একটা তাবিজ দিয়েছে বলেছে তার তিন মাসে বিয়ে হবে এবং তাই হয়েছে।এবং তাকে ওই তাবিজ খুলতে বারণ করেছে। আমার সমস্যা নিয়ে কথা বলার পর উনি চিকিৎসা করতে চেয়েছে আমি বলেছি এসব সাত ঘাটের পানি তাবিজে বিশ্বাস করিনা যদি কোনো আমল থাকে তা দিতে।উনি আমাকে নিচের আমলগুলো করতে বলেছে।


১/ ওযূ অবস্থায় বিছানায় গিয়ে ফাতিহা ১ বার পড়ে দুই হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে সারা শরীর সামনে থেকে পেছনের দিক থেকে মাসাহ করা ।

২/ *সূরা ইখলাস ৩ বার পড়ে ফু দিয়ে  সারা শরীর মাসাহ।
* ফালাক ৩ বার পড়ে ফু  দিয়ে  সারা শরীর মাসাহ।
* সূরা নাস ৩ বার পড়ে ফু  দিয়ে  সারা শরীর মাসাহ।

৩/ আয়াতুল কুরসি ৩ বার পড়ে দুই হাতে ফু দিয়ে জোরে একটা তালি দিয়ে হাত সারা শরীর মাসাহ । তারপর ৬ দিকে ফু -
ডানে - বামে
সামনে -পেছনে
উপরে - নিচে ( কোলের উপর)
১.উস্তাদজী, এরকম আমল করা,সাত ঘাটের পানি ও তাবিজের চিকিৎসা কি জায়েজ হবে?
২. রুকইয়াহ শারইয়াহ যে সুন্নাত সম্মত তার কি কোনো দলিল আছে? অর্থাৎ রাকিরা যেমন পানি স্প্রে করে, তিলাওয়াত ইত্যাদি

1 Answer

0 votes
by (630,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আব্দুল্লাহ ইবনে খবাইব রাযি থেকে বর্ণিত,
عن  عبد الله بن خبيب رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال له : ( قُلْ : " قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ " ، وَالمُعَوِّذَتَيْنِ ، حِينَ تُمْسِي وَتُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ، تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,সূরা ইখলাছ এবং সূরা নাস ও সূরা ফালাক সকাল বিকাল তিনবার পড়লে,সকল প্রকার খারাবী থেকে হেফাজতের জন্য যথেষ্ট হবে।(সুনানু তিরমিযি-৩৫৭৫,সুনানু আবি দাউদ-৫০৮২)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/226

সুতরাং বৈধ কালাম তথা কুরআন-হাদীস ও সালাফে সালেহীনদের বর্ণিত দু'আ দুরুদ দ্বারা সেহের কাটা বৈধ রয়েছে।স্বামী স্ত্রীর পরস্পর সম্পর্ক মিষ্টিময় করতে বৈধ কালামের মাধ্যমে তাবিজ করার রুখসত রয়েছে।তবে অবৈধ উদ্দেশ্যে করা যাবে না।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে রুকইয়াহ করতে পারবেন। এখানে কোনো শিরক হবে না। সাত ঘাটের পানি ব্যবহারে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...