আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
আমি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে কর্মচারী পর্যায়ে (কম্পিউটার অপারেটর পদে) চাকরি করি,,,বর্তমানে আমি নির্বাহী পরিচালক এর পিএস হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি,,,এটা একটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান,,,এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বীমা খাত নিয়ন্ত্রণ করে (বাংলাদেশ ব্যাংক যেমন বাংলাদেশের ব্যাংক সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করে),,, কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান কাউকে ঋণ দেয় না বা সুদের সাথে সম্পৃক্ত না,,,প্রতিষ্ঠানের কাজ নিম্নরূপ :
১) দেশের সকল সরকারি বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করা
২) গ্রাহক এর টাকা উঠিয়ে দিতে সাহায্য করা
৩) নতুন বীমা কোম্পানি খোলার অনুমোদন
৪) যেকোনো বীমা কোম্পানির শাখা অফিস খোলার অনুমোদন

এখান থেকে প্রাপ্ত রিজিক আমার জন্য কি হালাল হবে নাকি হারাম,,,?আমি আমার রিজিক নিয়ে দ্বিধায় আছি,,,

1 Answer

0 votes
by (632,190 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বীমা নাজায়েয ও হারাম।কেননা কম্পানির পক্ষ্য থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে। এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত টাকা তথা ঋণের বিপরিতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়,সেটা সুদ। আর সুদ হারাম।

দ্বিতীয়ত বীমার বিষয়টা শর্ত তথা গ্রাহকের কোনো অঘটনের সাথে চুক্তিবদ্ধ। আর শর্তের সাথে কোনো ঋণের আদাণ-প্রদাণ জায়েয না বরং হারাম।

তৃতীয়ত,বীমার টাকা দেড়ীতে গ্রাহকের হস্তগত হওয়ার শর্ত থাকে।আর ঋণের মধ্যে শর্তের মাধ্যমে দেড়ীতে লেনদেনের সমাপ্তি বিশুদ্ধ নয়।
তাছাড়া বীমা কম্পানি গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে সেই টাকা দিয়ে সুদি লেনদেনে জড়িয়ে থাকে।

সুতরাং এসমস্ত কারণ বিবেচনায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, জীবন বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1204

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সরকারি বাধ্যতামূলক বীমা ব্যতিত বাদবাকী সকল প্রকার বীমা নাজায়েয ও হারাম। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে বীমার নিয়ন্ত্রণকারী কোনো সংস্থায় চাকুরী  করা কখনো জায়েয হবে না। কেননা আপনার বিবরণমতে এক্ষেত্রে সরাসরি সুদের সাথে সহযোগিতা করা হচ্ছে,

(১) দেশের সকল সরকারি বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করা।
(২) গ্রাহক এর টাকা উঠিয়ে দিতে সাহায্য করা।
(৩) নতুন বীমা কোম্পানি খোলার অনুমোদন দেয়া।
(৪) যেকোনো বীমা কোম্পানির শাখা অফিস খোলার অনুমোদন দেয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...