আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ!
আমার স্বামী একসময় জাহেলিয়াতে ছিলো, আলহামদুলিল্লাহ ৭/৮ বছর হচ্ছে দ্বীনের ফিরেছে।  নৈশ মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে দাওরা দেওয়ার কথা ছিলো এ বছর। বাট শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আর দেয়ন (যদিও সে অজুহাত দেয় তার ব্যস্ততার কারণে দেয়নি)।


লাস্ট ১বছর ধরে সে তার পুরোনো বেদ্বীন কয়েকটা বন্ধুর সাথে মিশে, যার ফলে সে স্মোকিংয়ে অভ্যস্ত এখন, কদিন পরপর বন্ধুদের সাথে গিয়ে রাতভর আড্ডা দেয়, রমজানের শুধু রোজাটাই রাখে, প্রায় সময় নামাজ শেষ ওয়াক্তে গিয়ে পড়ে কোনোরকম। মুভি দেখে, গেমস খেলে এভাবে রাত পার হয়ে যায় ম্যাক্সিমাম সময়ে। দিনের বেলায় বেশিরভাগ সময়ই ঘুমেই কেটে যায়।
তার এসব দ্বীনহীনতার কারণে আমি মানসিকভাবে খুবই অশান্তিতে কাটে। ঝগড়া হয় মেসেজে, যদিও ঘরে আসলে কিছুই বলিনা। তবে মাঝেমধ্যে বলি।  রাগারাগি করি, সুন্দরভাবে বুঝাই, কোনোটাতেই কাজ হয়না। তার পরিবারে তেমন কেউ নেই যে এই ব্যাপারে কিছুটা সাহায্য নিবো, সবাই গাফেল।
এই অবস্থায় আমি নিজে কিভাবে ভালো থাকবো? ওনি ঘরে না থাকলে সারারাত আমার ঘুম আসেনা, মাইগ্রেন হয়ে যায়। ১টা ৫বছরের মেয়ে আছে আমাদের, আগামী মাসে আল্লাহ চাইলে আরেকজন সন্তান দুনিয়াতে আসবেন।  পুরো জার্নিতে আমি খুবই হতাশায় কেটেছি, মানসিক যন্ত্রণা পাচ্ছি বেশি আমি। আমার কি করণীয় জানাবেন প্লিজ।

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি তাকে পূর্ণ ভালবাসা প্রদাণ করুন।তার সাথে যথেষ্ট মায়াবী আচরন করুন।তার সামনে সু-সজ্জিত হয়ে আসুন।এবং প্রথম দিনের মত তাকে আগ্রহ ভরে দেখুন।এবং সাথে সাথে তাকে আখেরাতের ভয় প্রদর্শন করুন।বা ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে সম্মক অবগত করানোর চেষ্টা করুন।

আমি আপনাকে বিশেষ কয়েকটি নসিহত করবো-
(ক) আপনার স্বামীর পরকিয়া সম্পর্কে অন্য কাউকে জানাবেন না।কেননা গোনাহে গোপন রাখা ওয়াজিব।তাই গোপন রাখার চেষ্টা করুন।

(খ) পূর্ণ আগ্রহের সাথে তাকে সময় দিন।তাকে কখনো একা ছেড়ে দিবেন না।বরং সর্বদা তার সাথে লেগে থাকুন।তার সকল প্রকার পছন্দের জিনিষকে নিজের পছন্দ বানিয়ে তার সাথে সর্বদা থাকার চেষ্টা করুন।

(গ) তার হেদায়তের জন্য দু'আ করতে থাকুন।

এসবের পরেও যদি কোনো প্রকার ফায়দা না হয় তথা যদি স্বামী পরকিয়া থেকে বিরত না থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় স্ত্রীর সামনে দু'টি পথ থাকবে-

(এক) হয়তো আপনি ঐ মহিলাকে বিয়ের কথা বলুন।

(দুই) স্ত্রী তালাক চাইতে পারবে বা খূলা করতে পারবে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
আমাদের মনে রাখতে হবে, পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)

সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতে স্বামীকে বুঝিয়ে এই গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন।আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন।এ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন-- https://www.ifatwa.info/295

বিঃদ্রঃ 
হাজবেন্ডের সাথে সম্পর্ক ভালো করার নিয়তে সূরা রুমের ২১ নং আযাত এবং সূরা আরাফের ১৮৯ নাম্বার আয়াত পড়ে দুআ করবেন। সর্বোপরি তাহাজ্জুদের নামায পড়ে স্বামীর হেদায়তের দু'আ করবেন।আল্লাহ আপনার স্বামীকে হেদায়ত দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...