আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওস্তায। আশা করি ভালো আছেন। আমার একটা প্রশ্ন ছিল।সাধারণ এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আমি।বাবা আগে একটি মুদি দোকান চালাতেন বর্তমানে একটি ছোট  দোকানে বেগুনি,সিংগাড়া ইত্যাদি ভাজা জিনিস বিক্রি করেন। আমাদের পরিবারের লোকজন কেও দ্বীনদার নন।ভাই-বোন হয়তো মাঝে মাঝে নামাজ পড়ে। বাবা-মা একদমই পড়েন না শুধু রমজানের রোজা গুলো রাখেন আবার একটা রোজা বাদ দিলে আর বাকি রোজা গুলো রাখেন না।আমার বাবা কট্টর চন্দ্রপুরী পীরের ভক্ত। ওনাকে কিছুতেই দ্বীন সম্পর্কে বুঝানো যায় না।উনার পীর সাহেব যা বলেছেন উনি ওগুলাই মানে এছাড়া কারো কথাই শোনে না। বাবার দোকান টা রাস্তার মোড়ে মাকে সেই দোকানে নিয়ে যায়।সামান্য কিছু ভুল হলেই বিশ্রী ভাষায় মানুষের সামনে গালিগালাজ করে। মাকে বলেছি সেই দোকানে না যেতে মা বলেছেন কি করবো না গেলে তো আর ভাত দিবে না। আমি মা কে  বলেছি আলাদা বাসায় নিয়ে থাকবো আপনাকে তারপরও উনি রাজি হয় না।বাবার এসব উলটা পাল্টার কারণে এলাকার আমাদের কোনো সম্মান নাই।উনার সাথে আগে আমি অনেক তর্ক করতাম,,কারণ উনি এমন এমন কথা বলে যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। মাকে মাঝে মাঝে গালিগালাজ করলে প্রতিবাদ ও করতাম কিন্তু উনি যেই সেই কখনো ভালই হয় না। এটা উনার একটা স্বভাব হয়ে গেছে আর কি। এখন আর তর্ক করি না যেহেতু বলা হয়েছে যে বাবা পাগল হলেও তার সাথে খারাপ ব্যবহার না করতে।আমি মনে মনে বলি আল্লাহ তা'আলা যেন এমন পিতা আর স্বামী কাউকে কখনো না দেন।  উনার কারনে কোনো দ্বীনদার ফ্যামিলি ও আমাকে বিয়ে করতে চায় না।আর আমার বাসার পরিবেশ ও ভালো নয়।এভাবেই চলছে প্রতিদিন।আমার বাসায় বড় ভাইয়ের বউ আছেন। প্রতিদিন উনার সাথে দেখা হয় একই সাথে খাইতে হয় উঠাবসা করতে হয়। বাবাকে বলেছি যে এভাবে তো আমার দ্বীনে পালনে সমস্যা হচ্ছে। উনি বললেন বড় বোনের মত করে দেখলে কিছু হয় না।এখন ওস্তায আমি কি করবো? বাপ মা ছেড়ে আলাদা বাসা নিয়ে থাকা আমার জন্য জায়েজ হবে? এই বাসায় থাকলেও তো আমার দ্বীন পালনে সমস্যা  হচ্ছে প্রতিদিন তো নন মাহরামের সাথে দেখা করতেই হচ্ছে। এখন আপনি আমাকে একটা পরামর্শ দেন যে এই অবস্থায় আমার কি করা উচিত?
জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

+1 vote
by (632,880 points)
reshown by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
এতকিছুর পরও আপনি আপনার পিতার সাথে উত্তম ব্যবহার করবেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا -
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনি ইসরাঈল-২৩)

আপনার মা যেহেতু নিরুপায়, তাই তিনি আপনার বাবার নির্দেশ মান্য করেছেন। এজন্য আপনার বাবা মায়ের গোনাহ তো হবেই। 

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ 
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। (সূরা বাকারা-২৮৬)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার পিতার হেদায়েতের জন্য দু'আ করুন। আপনি পৃথক বাসায় থাকতে পারবেন যদি আপনার সামর্থ্য থাকে। 
আল্লাহ তা'আলা বলেন:
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ( ﺍﻟﻨﺤﻞ : ١٢٥) 
আপনি আপনার প্রতিপালকের দিকে আহবান করুন হিকমত বা প্রজ্ঞা দ্বারা এবং সুন্দর ওয়াজ-উপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে উৎকৃষ্টতর পদ্ধতিতে আলোচনা-বিতর্ক করুন। (সূরা নাহল: ১২৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...