আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ,

আমি সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি এবং ভালো ফলাফল করেছি। আমার অনেক ক্লাশমেইটের চাকুরি হয়ে গেছে কিন্তু আমি ক্লাশের টপ ৩ জনের একজন হওয়া সত্ত্বেও আমার চাকুরি হচ্ছেনা। আমি ধৈয্য ধরে আছি। আল্লাহকে অনেক ডাকছি। এছাড়া উত্তম রিজিক পাওয়ার জন্য বা চাকুরি পাওয়ার জন্য আলাদা কোনো আমল সুন্নাহ অনুযায়ী পাওয়া যায়? তবে আমি সেটা শায়খের কাছে জানতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (588,660 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত মূসা (আ.) ফিরআউন কাছ থেকে পলায়ন করে মিশর ত্যাগ করলেন, প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ছিলেন।ক্লান্ত মনে হজরত মূসা (আ.) হাত তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে একটি দু’আ পড়েছিলেন।দোআটি করার সঙ্গে সঙ্গেই আল্লাহ তাআলা হজরত মূসাকে (আ.) কে হযরত শুআইব আ. এর ঘরে থাকা খাওয়া সহ উনার মেয়েকে বিয়ের সুযোগ দান করেছিলেন। দোআটি হলো—
رب إني لما انزلت الي من خير فقير
(সুরা আল-কাছাছ, আয়াত : ২৪)
অর্থ হে আমার রব, নিশ্চয় আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাযিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী। 

উলামায়ে কেরাম বলেন,
বিশেষ বিশেষ সময়ে এই দু’আ করতে হবে। একাকি ফরয নামায এবং সকল প্রকার সুন্নত নফল নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর দু’আয়ে মাছুরা পড়ার পর সালাম ফিরানোর পূর্বে এই দুআটি পড়লে দ্রুত চাকুরী হতে পারে।আল্লাহ কবুল করে নিতে পারেন।  তাছাড়া আপনি সালাতুল হাজতের নামায পড়বেন।

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ তাজনিস কিতাবের উদ্ধৃতিতে লিখেন,
وأما في التجنيس وغيره، فذكر أنها أربع ركعات بعد العشاء وأن في الحديث المرفوع يقرأ في الأولى الفاتحة مرة وآية الكرسي ثلاثا، وفي كل من الثلاثة الباقية يقرأ الفاتحة والإخلاص والمعوذتين مرة مرة كن له مثلهن من ليلة القدر. قال مشايخنا: صلينا هذه الصلاة فقضيت حوائجنا مذكور في الملتقط والتجنيس وكثير من الفتاوى، كذا في خزانة الفتاوى. وأما في شرح المنية فذكر أنهاركعتان، والأحاديث فيها مذكورة في الترغيب والترهيب كما في البحر.
এ'শার নামাযের পর সালাতুল হাজতের চার রা'কাত পড়তে হবে।এই নামাযের নিয়ম একটি হাদীসে মারফু এর আলোকে এভাবে রয়েছে যে,প্রথম রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহা একবার,এবং আয়াতুল কুরসি তিনবার।এবং পরবর্তী তিন রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে সূরায়ে ইখলাছ এবং সূরায়ে ফালাক্ব ও সূরায়ে নাস একবার করে করে পড়তে হবে।মাশায়েখগণ বলেন,আমরা এমন পদ্ধতিতে নামায পড়তাম,আমাদের হাজত পূর্ণ হতো।মুনয়াতুল মুসাল্লি নামক কিতাবে দু'রাকাত সালাতুল হাজতের কথা বর্ণিত রয়েছে।(রদ্দুল মুহতার-২/২৮) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-1453


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...