আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম আমার গত ছয় মাস আগে একজন সন্তান হয় আলহামদুলিল্লাহ.তারপর থেকে আমি আমার মেজাজ কন্ট্রোল করতে পারি না. হুটহাট আমার রাগ উঠে যায় এবং আমি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া করি. এর আগে কখনো এরকম করি নাই. আমার স্বামী আমাকে যথেষ্ট সামলিয়ে চলেন তবে আমি ইদানিং মাত্রা অতিরিক্ত করি যা আমি বুঝতে পারি তারপরও যখন মেজাজ গরম হয় তখন কোনভাবে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না. আজকে সন্ধ্যা বেলা ছোট একটা বিষয় নিয়ে আমি আমার স্বামীকে বিরক্ত করছিলাম এবং বলছিলাম আমাকে তালাক দিয়ে দেন. উনি অনেকক্ষণ আমাকে সহ্য করে গেছেন. শেষে উনি উঠে বসলেন উনার হাতে মোবাইল নিলেন মোবাইল নিয়ে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে উনি তালা পর্যন্ত লিখেছেন ক আর লিখেন নি.  আমি তো ওনার পাশেই বসে ছিলাম এটা দেখে আমি ওনাকে বললাম ও তালাক দিতেছেন আমি প্রস্তুত দেন. উনি  বলল দিছি মোবাইল চেক কর. কিন্তু উনি শুধুমাত্র তালা লিখেছিলেন ওই মেসেজটা আমাকে সেন্ড করেননি. এখন  যখন আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করছি যে কি নিয়ত ছিল আপনার. উনি বলছে কোন নিয়ত ছিল না. হুজুর আমি কোন প্রকারের তালাক চাই না কিন্তু ইদানিং আমি অনেক অশান্তি করি অল্প ছোট্ট বিষয়ে ছোটখাটো বিষয়ে ঝগড়া চেঁচামেচি করি. বিয়ের ছয় বছর এই ৬ মাসে এরকম অশান্তি করতেছি এর আগে কখনো এরকম করি নাই. আলহামদুলিল্লাহ আমাদের মাঝে সব সময় অনেক মিল ছিল কিন্তু আমি এখন অশান্তি করে আমার স্বামী মন মেজাজ নষ্ট করে দিচ্ছে আমি কিভাবে নিজেরে রাগ কন্ট্রোল করতে পারব আর এভাবে উনার বলার কারনে কি আমার উপর কোন তালাক পতিত হয়েছে? উনি বলেছেন উনি আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এরকম করেছেন এই কারণে উনি তালাক লিখেননি বরং তালা লিখেছেন এবং সেই মেসেজও উনি আমাকে সেন্ড করেননি

1 Answer

0 votes
by (601,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

তালাক পতিত হওয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রীকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরি নয়।
মুখ থেকে উচ্চারণ হয়ে গেলেই তালাক পতিত হয়ে যায়।
(এক্ষেত্রে ভুলে/ঠাট্রা মূলক মুখ দিয়ে উচ্চারন হলেও তালাক হবে।)
(ফাতাওয়ায়ে রশিদিয়্যাহ ৪৭৭
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ৯/৪২
আযিযুল ফাতওয়া ১/২৫২)
,   
أما رکن الطلاق فہو ہذہ اللفظۃ الصادرۃ من الزوج۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۴؍۳۷۷ رقم: ۶۴۷۱ زکریا)
সারমর্মঃ
তালাকের রুকন হলো এই শব্দ গুলো স্বামী থেকে বের হওয়া।

فتاوی ہندیہ :

"رجل قال لامرأته ترا تلاق. هاهنا خمسة ألفاظ. تلاق وتلاغ وطلاغ وطلاك وتلاك عن الشيخ الإمام الجليل أبي بكر محمد بن الفضل - رحمه الله تعالى - أنه يقع وإن تعمد وقصد أن لا يقع ولا يصدق قضاء ويصدق ديانة إلا إذا أشهد قبل أن يتلفظ به."

(کتاب الطلاق ،الباب الثانی فی ایقاع الطلاق ،ج:1،ص:357،دارالفکر)

সারমর্মঃ-
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে তোমাকে تلاق,তাহলে এটি ৫ টি শব্দের সম্ভাবনা রাখে। 
. تلاق وتلاغ وطلاغ وطلاك وتلاك তালাকের নিয়তে বললে তালাক হয়ে যাবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে। 
এক্ষেত্রে স্বামী আপনাকে ফিরিয়ে নিলাম বললেও ফিরিয়ে নেয়া হয়ে যাবে,অথবা আপনার সাথে স্বামী সুলভ দৈহীক আচরণ করলেই ফিরিয়ে নেউয়া হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...