আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
এক বোনের প্রশ্ন
উনি পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন তার স্বামীকে কিন্তু বিয়ে করার পর দেখে স্বামী খারাপ বনিবনা হয়না । পরে বোনের ফ্যামিলি থেকে জোর করে তালাক দেয়ায়‌।

তার স্বামী তালাকের পর ২য় বিয়ে করে কিন্তু বোনটা আর কোনো বিয়ে করেনি। বোনটার সাথে তার প্রাক্তন স্বামী যোগাযোগ করে এবং তারা পালিয়ে আবার বিয়ে করে এবং বর্তমান এ তারা সংসার করছে

এক্ষেত্রে কি তাদের বিয়ে সহীহ হয়েছে? নাকি এটা যিনার সম্পর্ক কারন তালাকের পর তো উনি কোথাও বিয়ে করেননি? দয়া করে জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)

জবাবঃ-

بسم الله الرحمن الرحيم



https://ifatwa.info/43119/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান হলো এক বৈঠকে ৩ তালাক দেওয়া হোকবা একাধিক বৈঠকেএক শব্দে ৩ তালাক দেওয়া হোক বা একাধিক শব্দে ৩ তালাক দেওয়া হোকসব ছুরতেই ৩ তালাকই পতিত হয়ে যাবে। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।     

তিন তালাক দেবার পর উক্ত মহিলা আর নিজের স্ত্রী থাকে না। পর মানুষ হয়ে যায়। এটিই অমোঘ বিধান।

,

এক্ষেত্রে সূরত একটিই বাকি আছে। তা হলতার এই  স্ত্রীর অন্যত্র বিবাহ হতে হবে। তারপর সেই স্বামীর সাথে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে হবে। এমনকি শারিরীক সম্পর্ক হতে হবে। তারপর উক্ত স্বামী যদি এই (সাবেক) স্ত্রীকে তালাক দেয়তারপর ইদ্দত শেষ হয়তাহলেই কেবল প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি  আবার উক্ত মহিলাকে বিবাহ করতে পারবে এবং আবার ঘর সংসার করতে পারবেন। এছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা খোলা নেই।

,

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবেতার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

,

হাদীস শরীফে এসেছে-

وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك

হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন- “যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবেসে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২২/৮০৩}

,

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/3190/

,

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক আসলে কিভাবে হয়েছিল? সেটি কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করতে হবে। এক্ষেত্রে কি স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিল নাকি স্ত্রী নিজেই তালাক দিয়েছিল? স্বামী তালাক দিয়ে থাকলে কয় তালাক দিয়েছিল? আর স্ত্রী তালাক দিয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে সে কি তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত ছিল? সে কয় তালাক দিয়েছিল? কোন বাক্যে তালাক দিয়েছিলো? সবকিছুই মূলত বিস্তারিত উল্লেখ করলে জবাব প্রদানে সুবিধা হবে, জাজাকাল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
কাগজ কলমে ডিভোর্স হয়েছে ছেলে মেয়ে দুজনেই সই করছে ডিভোর্স লেটারে। দুই পক্ষই তালাক দেয়াইছে ছেলের ফ্যামিলি থেকে ডিভোর্স লেটার পাঠানো হয়েছিল 
by (606,750 points)
সেই ডিভোর্স লেটারে কয় তালাকের কথা উল্লেখ ছিলো?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...