আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ (উস্তায) । গত ২মাস থেকে আমার মাসিকের ডেইট নিয়ে আমি কিছুটা কনফিউশানে আছি। ২ তারিখ থেকে কয়েকদিন  হালকা হলুদ স্রাব কখন ও ধুসর, কখনো হালকা ব্লাড দেখি তারপর আবার ২/৩ দিন কিছুই নাই স্বাভাবিক। এভাবে চলতে চলতে ১৩তারিখ থেকে পরিপুর্ন মাসিক শুরু হয়, গত ২মাস থেকে এরকম হচ্ছে। মাসের ২ তারিখে এরকম হয় আবার ১৩তারিখ থেকে প্রপার মাসিক শুরু হয়ে ১০দিন স্থায়ী হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এখন কি আমি ধরে নিবো আমার সার্কেল চেঞ্জ হইছে?? এখন আমি কোনটা কে প্রিয়ড হিসেবে ধরবো ২তারিখ থেকে ১০দিন যেটা হালকা কালার হয় আবার কয়দিন গায়েব হয়ে যায় আবার হয় এইটা কে। নাকি যখন  ১৩ তারিখ থেকে পুরোপুরি মাসিক হয় তখন থেকে ১০ দিন ধরবো??

আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে  কোনো মাসে  ১৫ দিনের আগে আমার মাসিক হয়ে যায় এটাকে কি ইস্তেহাজা ধরবো???

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।   

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
,
★ উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে।
হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

পনেরো দিন থেকে বেশি পবিত্রতা হলে তো হায়েজের দিন গুলো চিনতে কোনো  সমস্যাই নেই।
,
আরো জানুনঃ   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে ২ তারিখ থেকে যেই স্রাব আসছে,এটা কি আপনার পূর্বের স্বাভাবিক মাসের হায়েজ শেষ হওয়ার নুন্যতম ১৫ দিন পরে হয়েছে?

নাকি ১৫ দিনের আগেই হয়েছে?

যদি এটা  আপনার পূর্বের স্বাভাবিক মাসের হায়েজ শেষ হওয়ার নুন্যতম ১৫ দিন পরে হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে ২ তারিখ থেকে আপনি হায়েজ ধরবেন। যেহেতু এটি ১০ দিন অতিক্রম হওয়ার পরেও চলমান থাকছে,সুতরাং পূর্বের স্বাভাবিক মাসের আদত (অভ্যাস) এর দিন অনুপাতে হায়েজ ধরবেন।

আর যদি এটা আপনার পূর্বের স্বাভাবিক মাসের হায়েজ শেষ হওয়ার নুন্যতম ১৫ দিন আগে হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে ১৫ দিন পূর্ণ হওয়ার পরদিন হতে পূর্বের স্বাভাবিক মাসের আদত (অভ্যাস) এর দিন অনুপাতে হায়েজ ধরবেন।

★কোনো মাসে ১৫ দিনের আগে আপনার মাসিক হয়ে যায় এটাক ইস্তেহাজা ধরবেন।

তবে এটি ১৬ দিন বা তারপরেও চলমান থাকলে সেক্ষেত্রে তাহা নুন্যতম ৩ দিন ৩ রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে সেটিকে 16 তম দিন থেকে হায়েজ ধরবেন।

আর যদি তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত অব্যাহত না থাকে তাহলে হায়েজ ধরতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...