ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মানুষ মৃত্যুর পূর্বে তার পূর্ণ সম্পত্তিতে সে একচ্ছত্র মালিক।সে তার পূর্ণ সম্পত্তিকে যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারবে।সে যদি পুর্ণ সম্পত্তি কাউকে দিয়ে দিতে চায় সেটাও সে পারবে।পরিভাষায় একে হেবাহ বলে। (কিতাবুল-ফাতাওয়া-৬/৩১৭)
সুতরাং পিতা তার জীবদ্দশায় সুস্থ্য থাকা অবস্থায় মেয়েকে সমুদয় সম্পত্তি লিখে দিতে পারবে। মৃত্যুর পর যাকে সম্পদ লিখে দেয়া হয়েছে, তাকে ছাড়া আর কেউ উক্ত সম্পদের হকদার হবে না।বাকি কাউকে ঠকানোর উদ্দেশ্য সমুদয় সম্পদ লিখে দিলে কাজটি প্রয়োগ হয়ে গেলেও ব্যক্তি গোনাহগার হবে।
وفى الهندية- ولو وهب رجل شيئا لأولاده في الصحة وأراد تفضيل البعض على البعض في ذلك لا رواية لهذا في الأصل عن أصحابنا، وروي عن أبي حنيفة – رحمه الله تعالى – أنه لا بأس به إذا كان التفضيل لزيادة فضل له في الدين، وإن كانا سواء يكره وروى المعلى عن أبي يوسف – رحمه الله تعالى – أنه لا بأس به إذا لم يقصد به الإضرار، وإن قصد به الإضرار سوى بينهم يعطي الابنة مثل ما يعطي للابن وعليه الفتوى هكذا في فتاوى قاضي خان وهو المختار، – (الفتاوى الهندية، كتاب الهبة، الباب السادس في الهبة للصغير ٤/٣۹۱، رد المحتار-12/608)
فى البيضاوى- والمالك هو المتصرف فى الأعيان المملوكة كيف شاء الخ (تفسير بيضاوى، سورة الفاتحة- 1/7)
বস্তুর মালিক বস্তুতে যেভাবে ইচ্ছে হস্তক্ষেপ করেতে পারে। {তাফসীরে বায়যাবী-১/৭}
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ، قَطَعَ اللَّهُ مِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
অর্থ- হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ওয়ারিসকে মিরাস থেকে বঞ্চিত করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের মিরাস থেকে বঞ্চিত করবেন। {ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ২৭০৩, সুনানে সাঈদ বিন মানসূর, হাদীস নং-২৮৫}