السلام عليكم ورحمة اللٰه وبركاته
উস্তায। আমার প্রশ্ন হলো,
১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়েরা কি দাওয়াহ এবং তারবিয়াত মূলক লেখালেখি করতে পারবে? দ্বীনের দিকে চেহারা পরিবর্তন, বেদ্বীনদের যুক্তি খন্ডন ও ইসলামবিদ্বেষকে দূরীভূত করার উদ্দেশ্যে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তে? যদি কোনো মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনভাবে থাকে যে মেয়েদের নিয়েই সে কাজ করে, কোনো পুরুষের মন্তব্য করার সুযোগ নেই, সেও কোনো পুরুষের সাথে যোগাযোগ করেনা এবং বেগানাদের বিচরণ করার স্থানসমূহে নিজেকে প্রকাশ করে না, তবে বড় কমিউনিটির মেয়েদের জন্য লেখালেখি করায়, যার মধ্যে দ্বীনবিদ্বেষী মেয়েও আছে যারা স্বেচ্ছায় কোনো মেয়েদের দ্বীনি প্লাটফর্মে আসবেনা, তাদের জন্য উন্মুক্ত রাখায় লেখাগুলো খোলামেলা থাকে, তাতে যেকেউ লেখা পড়তে পারবে। এমন অবস্থায় কি লেখালেখি জায়েজ হবে? মাসলাহা এবং মাফসাদের বিবেচনায়?
২. এক সূত্রে জানতে পারি, নারী সাহাবী হযরত খানসা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা জাহেলি যুগে কবিতা রচনা করতেন। ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর কবিতার প্রতিভাকে তিনি ইসলামের খিদমতে কাজে লাগিয়েছেন। ইসলামের শত্রুদের জাহেলি কবিতার খন্ডনপূর্ব জবাব দিয়ে তিনি কবিতা লিখতেন। তাঁর লেখা কবিতা অন্য সাহাবীরা পড়তে পারতেন এবং জানতেন যে এই কবিতা খানসা রদ্বিয়াল্লাহু আনহার। এই বর্ণনা কি নির্ভরযোগ্য বা অনুরূপ কোনো নির্ভরযোগ্য ঘটনা আছে?
উল্লেখ্য, প্রশ্নকারী দাওয়াহমূলক লিখতে পছন্দ করে এবং যেই দৃষ্টিভঙ্গি বা দ্বীনের সূক্ষ্ম রুহ নিয়ে কেউ কথা বলতে ভুলে যায় তা নিয়ে লিখতে চায়। তবে শরীয়তের সীমায় থেকে। নারীবাদ এবং দ্বীনের সুরতে নারীবাদ থেকে সচেতন, সীমার বাহিরে কোনো অধিকারের বুলি নিয়ে বিতর্কে অভ্যস্ত নয়। সামাজিক মাধ্যমে কিছুমাত্র সময় দিতে চায়, মিডিয়ায় নিজের একাউন্টে লেখালেখি করে এবং কোনো বেগানার দিক থেকে যেকোনো ফিতনার আহ্বানকে কখনোই সুযোগ দিতে নারাজ।