আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
السلام عليكم ورحمة اللٰه وبركاته
উস্তায। আমার প্রশ্ন হলো,
১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়েরা কি দাওয়াহ এবং তারবিয়াত মূলক লেখালেখি করতে পারবে? দ্বীনের দিকে চেহারা পরিবর্তন, বেদ্বীনদের যুক্তি খন্ডন ও ইসলামবিদ্বেষকে দূরীভূত করার উদ্দেশ্যে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তে? যদি কোনো মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনভাবে থাকে যে মেয়েদের নিয়েই সে কাজ করে, কোনো পুরুষের মন্তব্য করার সুযোগ নেই, সেও কোনো পুরুষের সাথে যোগাযোগ করেনা এবং বেগানাদের বিচরণ করার স্থানসমূহে নিজেকে প্রকাশ করে না, তবে বড় কমিউনিটির মেয়েদের জন্য লেখালেখি করায়, যার মধ্যে দ্বীনবিদ্বেষী মেয়েও আছে যারা স্বেচ্ছায় কোনো মেয়েদের দ্বীনি প্লাটফর্মে আসবেনা, তাদের জন্য উন্মুক্ত রাখায় লেখাগুলো খোলামেলা থাকে, তাতে যেকেউ লেখা পড়তে পারবে। এমন অবস্থায় কি লেখালেখি জায়েজ হবে? মাসলাহা এবং মাফসাদের বিবেচনায়?


২. এক সূত্রে জানতে পারি, নারী সাহাবী হযরত খানসা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা জাহেলি যুগে কবিতা রচনা করতেন। ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর কবিতার প্রতিভাকে তিনি ইসলামের খিদমতে কাজে লাগিয়েছেন। ইসলামের শত্রুদের জাহেলি কবিতার খন্ডনপূর্ব জবাব দিয়ে তিনি কবিতা লিখতেন। তাঁর লেখা কবিতা অন্য সাহাবীরা পড়তে পারতেন এবং জানতেন যে এই কবিতা খানসা রদ্বিয়াল্লাহু আনহার। এই বর্ণনা কি নির্ভরযোগ্য বা অনুরূপ কোনো নির্ভরযোগ্য ঘটনা আছে?
উল্লেখ্য, প্রশ্নকারী দাওয়াহমূলক লিখতে পছন্দ করে এবং যেই দৃষ্টিভঙ্গি বা দ্বীনের সূক্ষ্ম রুহ নিয়ে কেউ কথা বলতে ভুলে যায় তা নিয়ে লিখতে চায়। তবে শরীয়তের সীমায় থেকে। নারীবাদ এবং দ্বীনের সুরতে নারীবাদ থেকে সচেতন, সীমার বাহিরে কোনো অধিকারের বুলি নিয়ে বিতর্কে অভ্যস্ত নয়। সামাজিক মাধ্যমে কিছুমাত্র সময় দিতে চায়, মিডিয়ায় নিজের একাউন্টে লেখালেখি করে এবং কোনো বেগানার দিক থেকে যেকোনো ফিতনার আহ্বানকে কখনোই সুযোগ দিতে নারাজ।

1 Answer

0 votes
by (633,180 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী- ২৬৫০,২৬৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী, আপনার বর্ণনামতে উক্ত শর্ত সমূহের আলোকে নারীরা লেখালেখির মাধ্যমে ইসলামের খেদমত করতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...