ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু
জবাব,
بسم الله
الرحمن الرحيم
https://ifatwa.info/80595/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
وَعَنْ
عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ
بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ
উমার ইবনুল
খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে
করেন অবনত। (মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮,
সহীহাহ্ ২২৩৯।)
আদবের সম্পৃক্ততা
হলো সমাজের সাথে। যেই কাজকে সমাজ আদবের খেলাফ মনে করে,
সে কাজ করা বেয়াদবি। পক্ষান্তরে যেই
কাজকে সমাজ আদবের খেলাফ মনে করেনা, সেটি করা বেয়াদবি নয়।
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে
যদি খাটের উপর কেউ শুয়ে থাকে, এমতাবস্থায় আপনার জন্য নিচে বসে ক্বুরআন পড়া জায়েজ হবেনা।
এটি স্পষ্ট
কুরআনের সাথে বেয়াদবি। এমতাবস্থায় অন্য রুমে গিয়ে বা বিছানায়/চেয়ারে বসে আপনি কুরআন
পড়তে পারেন। যখন আপনার রুমমেট খাটে থাকবে না, তখন আপনি নিচে বসে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন।
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
একই সময়ে তেলাওয়াত করা ও শ্রবণ করার দ্বারা সাধারণত
তেলাওয়াতের আদব রক্ষা করা সম্ভব হয়না। তবে হ্যাঁ মশক বা প্রাক্টিস করার উদ্দেশ্যে তেলাওয়াত
শ্রবণের সাথে সাথে নিজেও তেলাওয়াত করা যাবে।