বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।
কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) একসাথে দিয়ে দেয়াই উত্তম। সুতরাং সম্পূর্ণ কাফফারা ঈদের পরেই একসাথে দিবেন।
(২) সওযাবের নিয়ত করা যাবে।
(৩) রমজানের যেকোনো তারিখে দান করতে পারবেন। হ্যা, শেষ দশ রমজানে দান করাই উত্তম।
(৪) আল্লাহর কাছে এভাবে চাইবে, আল্লাহ অমুক জিনিষ আমার জন্য কল্যাণকর হলে, সেটা আমাকে দান করো। অথবা এটাও বলা যেতে পারে, অমুক অমুক জিনিষ আমাকে দাও।
(৫) জ্বী, কুরআন শুনলে আপনি সওয়াব পাবেন।তবে হায়েয না থাকলে তখন তিলাওয়াত করার মধ্যেই বেশী সওয়াব ও ফযিলত। ভালোভাবে তিলাওয়াত না জানলেও শ্রবণের মধ্যেই বেশী সওয়াব।