আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in সাওম (Fasting) by (14 points)
আমার জর ১ম রমাদান থেকে , একদম হাই ফেভার সবসময় মাথা ব্যথা বিছানা থেকে উঠতেই পারি নি , বাসায় শুধু অনেক কষ্ট করে ফরজ নামাজ গুলো পড়েছি তাও আউয়াল ওয়াক্তে না । সকল প্রায়োজনীয় টেস্ট সব নরমাল তারপরেও জর ছাড়ে না ।
আত্মীয় স্বজন যারাই দেখেছে বা শুনেছে সবাই বলছে ঝার ফুক দিতে ।

 আমার এক আত্মীয় একজন রাকি উনি অনেক দ্বীনদার, উনি দেখেছে জ্বিন ঘটিত সমস্যা , বলেছে আমার অবস্থা একদম সিরিয়াস , উনি বলছে ২ বছর থেকেই জ্বিন এর সমস্যা যেটা    সত্য কেননা আরেকজন হুজুর উনি মসজিদ এর ইমাম উনি নিজেও এটা বলেছিল ওই সময় পানি পড়া দিয়েছিল আমি গাফিলতি করে খাই নি শুধু হেফাজতের আমল বাড়ায় দিসিলাম ।
উনি পানি আর সরিষা তেল নিয়ে যাবার কথা বলছে । আমরা সেখানে আগামী ১৫ তারিখ যাবার প্ল্যান করি এর মাঝেই আজকে থেকে আলহামদুলিল্লাহ্ জর এবং মাথা ব্যথা কমে গেছে আমিও অনেকটা সুস্থ বোধ করছি ।
এখন কয়েকটা প্রশ্ন
১. জ্বিন রা কি রমাদান এও মানুষের ক্ষতি করে ?
২. আমার আত্মীয় সশরীরে না থেকে উনি দেখেছেন , কোন রাকি কি এরকম জানতে পারেন উনার কাছে না গেলেও ?
৩. শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া আমি জ্বিন এ আক্রান্ত আমি নিজে বুঝতে পারি না তেমন কিছুই , তবে আমার আশেপাশের লোকজন বুঝতে পারে , তবে এমন কিছু করে ফেলি যেগুলো মনে হয় আমি সাভাবিক অবস্থায় করব , অপছন্দের কাজ করে দেখি করে ফেলসি পরে আফসোস হয় । আমি নিজে কিভাবে বুঝব যে আমি আক্রান্ত জ্বিন এ ?

1 Answer

0 votes
by (72,810 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/59703/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,

(১) সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো, ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।

,

তাছাড়া আপনাকে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি

(১) সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।

(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।

(৩) দু', জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

,

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،

দেখুন- http://istefta.info/1093

,

প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।

لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া। মদিনার খেজুর হলে ভালো (এলাজে কুরআনী-০৩)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103

,

https://ifatwa.info/2518/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

বৈধ উদ্দেশ্যে জ্বীনের কাছ থেকে ফায়দা গ্রহণ করা যায়। কেউ জাদুগ্রস্ত কি না? একটা অনুমান নেয়া যায়। তবে তাদের কে ব্যবহার করে টাকা রুজি করা কখনো জায়েয হবে না। এবিষয়ে চলচাতুরি খুব বেশীই পরিলক্ষিণ করা যায়।

জ্বীনকে এমন তা'বে বানানো জায়েয হবে না যে,জ্বীনের কোনো এখতিয়ার বাকী থাকে না। (ফাতাওয়ায়ে উসমানী-১/২৮৩)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

আমাদের পরামর্শ থাকবে যে, ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়। তিনি আপনার উপরোক্ত বিষয়গুলোর বিষয়ে বেশী ভালো বলতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (14 points)
উস্তাদজ ১,২ প্রশ্ন উত্তর দিলে মুনাসিব হয় 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...