ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) ঋণ পরিশোধের টাকা ব্যতিত যত টাকা আপনার কাছে বর্তমানে রয়েছে, সেই সব টাকার এবং স্বর্ণ ও রূপার বিক্রয়মূল্য বাবৎ যত টাকা হবে, সব টাকার ২.৫% আপনি এখনই যাকাত আদায় করে নিবেন। যেই টাকা অন্যর নিকট পাওনা বাবৎ রয়েছে, আপনি চাইলে সেই টাকার যাকাত এখনো দিতে পারবেন অথবা পরবর্তীতেও আপনি দিতে পারবেন। যখন টাকা গুলো উসূল হবে, তখন আপনি অতীতের সকল বৎসরের যাকাত আপনি দিয়ে দিবেন।
(২) যেইদিন থেকে আপনি নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হয়েছেন, সেইদিন থেকে যখন এক বৎসর পূর্ণ হবে, তখন আপনি যাকাত দিবেন।এখন যত বৎসর অতিবাহিত হয়েছে, তত বৎসরের যাকাত আপনি দিবেন।
(৩) আপনার ব্যাংক একাউন্টে মোহরের যেই টাকা জমেছে, সেই টাকার মালিক এখনই আপনি আপনার স্বামীকে বানিয়ে দেন, নতুবা আপনাকেই যাকাত দিতে হবে।
(৪) সমিতিতে যত টাকা এই পর্যন্ত জমা দিয়েছেন, তত টাকার যাকাত আপনাকে দিতে হবে।
(৫)আপনার উপর কুরবানিও ওয়াজিব হবে।
(৬)আপনার মামার উপর যদি যাকাত ফরয না থাকে, তাহলে উনাকে যাকাত দিতে পারবেন।
(৭) হায়েজ অবস্থায় তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন থেকে তরজমা তাফসীর পড়তে পারবেন।
(৮) যেহেতু আপনি উমরাহ বাবৎ টাকা স্বামীকে দিয়ে দিয়েছেন, তাই এগুলোর যাকাত আপনাকে দিতে হবে না। স্বামীই দিবেন।