আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

আমার পিরিয়ড অনিয়মিত। গত জানুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে শুরু হয় এবং তা ৭ দিনে শেষ হয় (আমার অভ্যাসগত)। এখন মার্চ মাসের ২ তারিখ সেহরির সময় শুরু হলে তা ৪তারিখ সাদা স্রাব দেখা যাওয়ায় আমি পবিত্র হয়ে নামাজ পড়ি। এরপর আবার ৬ তারিখ ব্লাড দেখা দিলে আমি নামাজ রোজা বন্ধ রাখি এবং ৮ তারিখ আমি পবিত্র হয়ে যায়। এখন আবার ১০ তারিখে গাঢ়  বাদামি ও হালকা লাল রঙের  দেখা যাওয়ায় আমি নামাজ রোজা বন্ধ রাখি।

*তিন দিনের কম সময়ে পিরিয়ড থাকায় আমি বাদ দেওয়া নামাজ কাযা করেছি।

প্রশ্ন: আমি এখন কি করব এটা কি পিরিয়ড নাকি ইস্তেহাযা ধরব, আর নামাজের ব্যাপার টা ক্লিয়ার করে দিলে মুনাসিব হয়

।এখন পরবর্তী সময়ে এরকম হলে আমি কি করব?

জাযাকাল্লাহ খইর।

1 Answer

0 votes
by (624,060 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/78

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১৫ দিনের পূর্বে রক্তস্রাবকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে। আর ১৫ দিনের পর রক্তস্রাবকে যদি ৩ দিনের বেশী হয়, তাহলে সেটাকে হায়েয গণনা করা হবে।সুতরাং ১৫ দিনের পরের সময় নামায রোযা থেকে বিরত থেকে অপেক্ষা করতে হবে, যদি ৩ দিনের বেশী রক্তস্রাব হয়,তাহলে সে সময়টাকে হায়েয হিসেবে বিবেচনা করা হবে। নতুবা সেটা ইস্তেহাযা হবে, নামায ও রোযগুলোকে কাযা করতে হবে।

ইতিপূর্বে জানুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ থেকে আপনার হায়েয শুরু হয়  এবং তা ৭ দিনে শেষ হয়। এখন বর্তমানে মার্চ মাসের ২ তারিখ সেহরির সময় শুরু হওয়ার পর  ৪ তারিখে আবার সাদা স্রাব দেখা যায়। এভাবে ৬ তারিখ ব্লাড দেখা দেওয়ার পর আবার  ৮ তারিখ বন্ধ হয়। এখন আবার ১০ আবার শুরু হয়েছে । যেহেতু কখনই আপনার তিনদিন পূর্ণ হচ্ছে না, তাই এইসব আপনার ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে। প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করে নিলেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...