ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/78
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১৫ দিনের পূর্বে রক্তস্রাবকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে। আর ১৫ দিনের পর রক্তস্রাবকে যদি ৩ দিনের বেশী হয়, তাহলে সেটাকে হায়েয গণনা করা হবে।সুতরাং ১৫ দিনের পরের সময় নামায রোযা থেকে বিরত থেকে অপেক্ষা করতে হবে, যদি ৩ দিনের বেশী রক্তস্রাব হয়,তাহলে সে সময়টাকে হায়েয হিসেবে বিবেচনা করা হবে। নতুবা সেটা ইস্তেহাযা হবে, নামায ও রোযগুলোকে কাযা করতে হবে।
ইতিপূর্বে জানুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ থেকে আপনার হায়েয শুরু হয় এবং তা ৭ দিনে শেষ হয়। এখন বর্তমানে মার্চ মাসের ২ তারিখ সেহরির সময় শুরু হওয়ার পর ৪ তারিখে আবার সাদা স্রাব দেখা যায়। এভাবে ৬ তারিখ ব্লাড দেখা দেওয়ার পর আবার ৮ তারিখ বন্ধ হয়। এখন আবার ১০ আবার শুরু হয়েছে । যেহেতু কখনই আপনার তিনদিন পূর্ণ হচ্ছে না, তাই এইসব আপনার ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে। প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করে নিলেই হবে।