আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
reshown by

পশু পালন, বর্গা, মুদারাবা, মুরাবাহা বিনিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ। 

পূর্বের প্রশ্নের উত্তরের (পূর্বের প্রশ্ন) ভিত্তিতে  "মুফতী ওলি উল্লাহ" উস্তাদের কাছে জানতে চাই 

বর্গা শর্তে : 

আপনি যে উত্তম বর্গা পদ্ধতিটি  বর্ণনা করেছেন তা বর্গা গ্রহণকারীর কাছে উত্তম হবে বলে মনে হয় না।  কারণ যারা বর্গা নেয় তাদের সাধারণত পশু কেনার সামর্থ্য থাকে না, যেখানে পশুর অর্ধেক মূল্য প্রথমেই পরিশোধ করতে হবে। এই জন্যই বর্গা গ্রহণকারীর কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। 
---
এই ভাবে হবে কিনা -
আপনার মতে, পশুর মূল্য নির্ধারণ করলাম ৫০ হাজার টাকা। 
বর্গা গ্রহণকারীর নিকট বিক্রি করলাম। অর্ধেক মূল্য এখন না নিয়ে , বর্গা গ্রহণকারীর সুবিধাজনক সময় যেমন, বিক্রির সময় সম্পূর্ণ টাকা নিলাম। 

এরপর লাভ (বাছুর, দুধ কিংবা এর সমপরিমাণ টাকা ) ২জনে ভাগ করে নিলাম।  পশুপালন খরচও ২জনের।

এটি আমার প্রশ্নে উল্লেখিত বর্ণনার মতো। শুধু খরচ ২ জনের সমান 

১. এটি কি জায়েজ হলো? না হলে কারণ ?

পারিশ্রমিক শর্তে : 

একটা নির্দিষ্ট সময় যেমন একটি গাভী লালন পালন, এরপর  বাচ্চা প্রসব পরবর্তী বিক্রি পর্যন্ত। 
উভয়ের সন্তুষ্টিতে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হলো।  যেমন মাসে ৩০০-৫০০ টাকা কিংবা পুরো সময়ে ৩০০০-৫০০০ টাকা। 
পশু খাদ্য আমার (খাদ্য সে কিনবে , খাদ্যের টাকা পশু বিক্রির সময় পরিশোধ হবে)  এবং  লোকসান হলেও আমার। কিন্তু তার কোনো লোকসান নেই, আছে শুধু লাভ 
শ্রমিক যদি স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে নিজের কিংবা অন্যের ক্ষেত থেকে ঘাস কিংবা অন্য কিছু খাওয়ায় তা তার মূল্য আমি দিতে বাধ্য নই। 
শ্রমিক যদি স্বেচ্ছায় অন্যের ক্ষেত থেকে ঘাস কিংবা অন্য কিছু খাওয়ায়।  আর তার মধ্যে ক্ষেতের মালিকের সম্মতি নেই  তাহলে এই হারাম খাদ্যের জন্য পশুর মালিক দায়ী থাকিবে না। 

আমি চাইলে তার সমান মুনাফা লাভ করার পর অতিরিক্ত মুনাফা আবার ২ জনের মধ্যে ভাগ করে নিতে পারি। এক্ষেত্রে ২ জনের সমান মুনাফা হবে। 
এটি ঐচ্ছিক। এটি নির্ভর করবে সফলতার হার, লাভের পরিমাণ, অতিরিক্ত শ্রম, কেনা খাদ্য ছাড়া আর কোনো খাদ্য সে স্বেচ্ছায় খাইয়েছে কিনা ইত্যাদির উপর। 
---------------

আমার মতে এই (আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৩৯৮; আলবাহরুর রায়েক ৮/৩৮) ফাওয়ার চেয়ে আমার পদ্ধতি আরও  উত্তম।  কারণ শ্রমিক উভয়ের সন্তুষ্টিতে পারিশ্রমিক পাবে।  আবার শ্রম বিবেচনায় পারিশ্রমিক + অতিরিক্ত পাচ্ছে। 


২. এটি কি জায়েজ হলো? না হলে কারণ ?  অথবা জায়েজ হতে সংশোধন প্রয়োজন ?

৩. মুদারাবা (Mudaraba) ইসলামিক বিনিয়োগ পদ্ধতি। 

আমি বিনিয়োগকারী (রাব-উল-মাল) মূলধন প্রদান করবো  এবং অন্যজন (মুদারিব) সেই মূলধন ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করবে । হতে পারে সে পশুপালন করবে কিংবা অন্য কোনো ব্যবসা যেখানে ২জনের সম্মতি আছে। 

মুনাফা:
মূলধন + খরচ বাদে মুনাফা একটি পূর্বনির্ধারিত %(ফিক্সড এমাউন্ট নয় ) অনুযায়ী ভাগ হবে। 

যদি ব্যবসায় ক্ষতি হয়, তাহলে আমি বিনিয়োগকারী পুরো ক্ষতির দায় বহন করব।  (যদি মুদারিব কোনো গাফিলতি বা প্রতারণা না করে)।

ক্ষতি ভাগাভাগি:

ক্ষতির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আমি বিনিয়োগকারী মূলধন হারাবো।
মুদারিব তার শ্রমের বিনিময়ে কিছুই পাবে না, তাকে ক্ষতির দায় বহন করতে হবে না, যদি না তার গাফিলতি বা প্রতারণার কারণে ক্ষতি হয়।


এটি কি ঠিক আছে নাকি সংশোধন কিংবা সংযজন প্রয়োজন ?


৪. মুরাবাহা (Murabaha) পদ্ধতি 

আমার পণ্য/দোকান নেই ,টাকা আছে 
অন্যের পণ্য প্রয়োজন কিন্তু টাকা নেই। 

এখন আমি নগদ টাকায় তাকে পণ্য কিনে দিলাম। 
উভয়ের সম্মতিতে পণ্যের মুনাফা নির্ধারণ করা হলো। 
এরপর উভয়ের সম্মতিতে  কিস্তিতে কিংবা এককালীন সময়ে সে মুনাফাসহ  পণ্যের মূল্য পরিশোধ করলো। 

বর্ণিত পদ্ধতি জায়েজ হলো কিনা 


 

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

রাসূল (সাঃ) বলেনঃ

أتقوا الظلم فإن الظلم ظلمات يوم القيامة
তোমরা জুলুম থেকে বিরত থাকো। কেননা কিয়ামতের দিন জুলুমের পরণিাম হবে খুবই অন্ধকার। (মুসলিম)

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★শরীয়তে ধোকামুলক কোনো চুক্তি বৈধ নয়। 

সহীহ পদ্ধিত হল, গরুর মালিক লালন-পালনকারীর সাথে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে চুক্তি করবে। সেক্ষেত্রে গরু থেকে প্রাপ্ত যাবতীয় আয় গরুর মালিক পাবে আর লালন-পালনকারী খাবারের খরচ ও নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাবে। (আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৩৯৮; আলবাহরুর রায়েক ৮/৩৮)

কেউ গরু ছাগল বর্গা দিতে চাইলে তার জায়েয পদ্ধতি হল, প্রথমে গরু বা ছাগলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। যেমন একটি গরুর মূল্য চল্লিশ হাজার টাকা। অতপর অর্ধেক গরু অর্ধেক দামে তথা বিশ হাজার টাকায় বর্গা গ্রহণকারীর নিকট বিক্রি করবে। এরপর বর্গা গ্রহণকারী গরু বা ছাগল লালন-পালন করতে থাকবে। লালন-পালন শেষে তারা উভয়ে গরু ছাগল, দুধ ও বিক্রি পরবর্তি লভ্যাংশতে অর্ধা অর্ধি মালিক হবে। আর লালন-পালনের খরচ উভয়ে সমান ভাবে বহন করবে। আর এ পদ্ধতিই উত্তম।

বৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয় যে,

  والحیلة فی ذلک أن یبیع نصف البقرة من ذلک الرجل ونصف الدجاجة ونصف بذر الفیلق بثمن معلوم حتی تصیر البقرة وأجناسھا مشترکہ بینھما فیکون الحادث بینھماعلی الشرکة کذا فی الظھیریة(فتاوی عالمگیری ۲: ۳۳۵)۔

যার কাছে বর্গা দিতে চাচ্ছে তার সাথে এভাবে চুক্তি করবে যে, তুমি এক বছর আমার পশুটি লালন পালন কর, আমি তোমাকে কথার কথা একশত টাকা দিব। তারপর এক বছর পর যদি মালিক বাছুর নিতে চায়, তাহলে একশত টাকা পরিশোধ করে বাছুর নিয়ে নিবে। আর যদি লালনপালনকারী বাছুর নিতে চায়, তাহলে একশত টাকা নেবার বদলে বাছুরটি নিয়ে নিবে উভয়ের সন্তুষ্টিতে। এভাবে চলতে থাকলে এতে কোন শরয়ী বিধিনিষেধ নেই।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৩৩৫)

আরো জানুনঃ- 

জায়েজ পদ্ধতি হলোঃ প্রথমে পশুর মালিক বাছুরটি ক্রয় করে যে লালন পালন করবে, তাকে বলবে যে, আমি তোমার কাছে আমার পশুটির অর্ধেক বাকিতে বিক্রি করে দিলাম। বিক্রির মূল্য ধরবে যতটাকা দিয়ে পশুটি ক্রয় করেছিল তত টাকা।

অর্ধেকের মূল্য পরিশোধ করবে পরবর্তীতে। এবার লালনপালনকারী উক্ত পশুর অর্ধেকের মালিক হয়ে গেল। পশুটির লালন পালনের অর্ধেক খরচ মূল মালিক বহন করবে। তারপর যখন উক্ত পশুটি বড় হবে। বিক্রি করা হবে, তখন প্রথমে ঋণ আদায় হিসেবে পশুটির মূল্য পরিশোধ করা হবে। বাকি টাকা উভয়ের মাঝে সমান হারে বন্টন করে নিবে। এভাবে লেনদেন ও চুক্তি করলে তা শরীয়ত সিদ্ধ হবে।

উদাহরণতঃ আব্দুল্লাহ দশ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাছুর ক্রয় করল। তারপর সেটিকে আব্দুর রহীমের কাছে লালনের জন্য দিতে চাচ্ছে। তখন আব্দুল্লাহ বলবে যে, আমি আমার বাছুরটির অর্ধেক অংশ দশ হাজার টাকার বিনিময়ে আব্দুর রহীমের কাছে বিক্রি করলাম। আব্দুর রহীম পরবর্তীতে উক্ত টাকা পরিশোধের শর্তে তা ক্রয় করে নিবে।

এরপর সে তা লালন পালন করবে। লালন পালনের অর্ধেক খরচ আব্দুল্লাহও প্রদান করবে। কয়েক বছর পর উক্ত পশুটি কথার কথা বিশ হাজার টাকায় বিক্রি করা হল। তখন প্রথমে দশ হাজার টাকা আব্দুর রহীম আব্দুল্লাহকে প্রদান করবে পূর্বের ঋণ পরিশোধ হিসেবে। তারপর বাকি দশ হাজার অর্ধেক অর্ধেক ভাগ করে নিবে। অর্থাৎ পাঁচ হাজার আব্দুর রহীম। আর পাঁচ হাজার আব্দুল্লাহ।

গরুর মালিক লালন-পালনকারীর সাথে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে চুক্তি করবে। সেক্ষেত্রে গরু থেকে প্রাপ্ত যাবতীয় আয় গরুর মালিক পাবে আর লালন-পালনকারী খাবারের খরচ ও নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাবে।

মোটকথা দুটি জায়েয পদ্ধতি রয়েছে:-

১ম পদ্ধতি: যে পশুটি বর্গা দিতে চাচ্ছে, একটি নামমাত্র দাম ধরে যার কাছে বর্গা দিতে চাচ্ছে তার কাছে অর্ধেক পশুটি বিক্রি করে দিবে। আর যে টাকাটি বিক্রি হিসেবে মালিক পেল তা এক বা দুই বছর নির্ধারিত করে লালন পালনের মুজুরী হিসেবে পশু গ্রহিতাকে প্রদান করবে। এখন উভয়ে উক্ত পশুটির অর্ধেক অর্ধেক মালিক। সে হিসেবে পশুটির বাচ্চা ও দুধ ইত্যাদি সমান সমান ভোগ করতে পারবে। শরয়ী কোন সমস্যা এতে নেই।

২য় পদ্ধতি: যার কাছে বর্গা দিতে চাচ্ছে তার সাথে এভাবে চুক্তি করবে যে, তুমি এক বছর আমার পশুটি লালন পালন কর, আমি তোমাকে কথার কথা একশত টাকা দিব। তারপর এক বছর পর যদি মালিক বাছুর নিতে চায়, তাহলে একশত টাকা পরিশোধ করে বাছুর নিয়ে নিবে। আর যদি লালনপালনকারী বাছুর নিতে চায়, তাহলে একশত টাকা নেবার বদলে বাছুরটি নিয়ে নিবে উভয়ের সন্তুষ্টিতে। এভাবে চলতে থাকলে এতে কোন শরয়ী বিধিনিষেধ নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বর্গা গ্রহণকারীর নিকট অর্ধেক দামে বিক্রি করলে ও লালন পালনের যাবতীয় খরচ উভয়ে অর্ধেক অর্ধেক দিলে এটি জায়েজ হবে।

(০২)
জায়েজ নেই।
কেননা এখানে তার কোনো লোকসান নেই।
লালন পালনের যাবতীয় খরচ উভয়ে অর্ধেক অর্ধেক দিতে হবে।
এবং লভ্যাংশ অর্ধেক অর্ধেক আকারে ভাগ হবে।

(০৩)
এটি জায়েজ নয়।
উভয়ের মুনাফা শতকরা হারে নির্ধারিত হতে হবে।
আর যিনি শ্রম দিচ্ছেন,তার যেহেতু কোনো মূলধন নেই,তাই সে কোনোক্রমেই লোকসানে শরীক হবেনা। এটি সঠিক। 

تبيين الحقائق شرح كنز الدقائق وحاشية الشلبي: 
"قال - رحمه الله - (وما هلك من مال المضاربة فمن الربح)؛ لأنه تابع ورأس المال أصل لتصور وجوده بدون الربح لا العكس فوجب صرف الهالك إلى التبع لاستحالة بقائه بدون الأصل كما يصرف الهالك العفو في الزكاة قال - رحمه الله - (فإن زاد الهالك على الربح لم يضمن المضارب)؛ لأنه أمين فلا يكون ضمينا للتنافي بينهما في شيء واحد".
(کتاب المضاربۃ،باب المضارب یضارب،ج:5،ص:67،ط:المطبعة الكبرى الأميرية - بولاق، القاهرة) 
সারমর্মঃ-
মুদারাবার সম্পদ হয়ে যাহা লোকসান হবে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে,তাহা লভ্যাংশ থেকে পূরন হবে।
কেননা সেটা অনুগত,আর মূলধন হলো আসল।
যদি লাভ থেকে ক্ষতি বেশি হয়,সেক্ষেত্রে বাকি টুকু মূলধন থেকে পূরন করা হবে।

এক্ষেত্রে যে ব্যবসায় শ্রম দিচ্ছে,সে যদি শুধু শ্রমই দিয়ে থাকে,ইনভেস্ট না করে থাকে,তাহলে তার তো মূলধন নেই,তাই সে উক্ত লোকসানে ভাগীদার হবেনা। 

تنویر الابصار مع الدر المختار:
"(وما هلك من مال المضاربة يصرف إلى الربح) ؛ لأنه تبع (فإن زاد الهالك على الربح لم يضمن) ولو فاسدة من عمله؛ لأنه أمين (وإن قسم الربح وبقيت المضاربة ثم هلك المال أو بعضه ترادا الربح ليأخذ المالك رأس المال وما فضل بينهما، وإن نقص لم يضمن) لما مر"۔
(کتاب المضاربۃ،باب المضارب یضارب،فصل فی المتفرقات فی المضاربۃ،ج:5،ص:656،ط:سعید)
সারমর্মঃ-
মুদারাবার সম্পদ হয়ে যাহা লোকসান হবে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে,তাহা লভ্যাংশের দিকে ফিরবে।

আরো জানুনঃ- 

(০৪)
এটি জায়েজ।
তবে নির্ধারিত সময়ের সে মূল্য প্রদান করতে চাইলে অতিরিক্ত কোনো টাকা নেয়া যাবেনা।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...