ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির
রহমানির রহীম
জবাব:-
https://www.ifatwa.info/114323/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلاَ
تَقْرَبُوا الزِّنَى إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلاً-
‘তোমরা যেনার নিকটবর্তীও হয়ো না,
এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট পথ’ (বনী ইসরাঈল
৩২)।
আল্লাহ তা‘আলা
অন্যত্র বলেন,
وَالَّذِينَ
لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي
حَرَّمَ اللهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ
أَثَامًا، يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ
مُهَانًا-
‘তারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন মা‘বূদকে ডাকে না শরী‘আত সম্মত
কারণ ব্যতীত কাউকে হত্যা করে না এবং যেনা করে না। আর যে ব্যক্তি এই সকল কাজ করে সে
শাস্তি ভোগ করবে। ক্বিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং এ শাস্তি লাঞ্ছিত
অবস্থায় সে অনন্তকাল ভোগ করতে থাকবে’ (ফুরক্বান ৬৮)।
আল্লাহ তা‘আলা
অন্যত্র বলেন,
الزَّانِيَةُ
وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ وَلاَ
تَأْخُذْكُمْ بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللهِ إِنْ كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللهِ
وَالْيَوْمِ الْآخِرِ-
‘যেনাকার নারী পুরুষ প্রত্যেককে একশ’ বেত্রাঘাত কর,
আল্লাহর বিধান পালনে তাদের উভয়ের প্রতি
তোমাদের মনে অনুগ্রহ আসা উচিত নয়। যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ক্বিয়ামত দিবসের প্রতি বিশ্বাসী
হও’ (নূর ২)।
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
عَنْ
عُبَادَةَ الصَّامِتِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ
خُذُوْا عَنِّي خُذُوْا عَنِّي قَدْ جَعَلَ الله لَهُنَّ سَبِيْلاً البِكْرُ
بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيْبُ عَامٍ وَالثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ
مِائَةٍ وَالرَّجْمُ.
উবাদাহ ইবনু
ছামেত (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা আমার নিকট হতে আল্লাহর বিধান গ্রহণ কর, কথাটি রাসূল (ছাঃ) দু’বার বললেন। আল্লাহ তা‘আলা তাদের
জন্য নির্ধারণ করেছেন, অবিবাহিত নারী-পুরুষকে একশ’ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন করতে হবে। আর
বিবাহিত নারী-পুরুষকে রজম করতে হবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫৫৮; বঙ্গানুবাদ ৭ম খন্ড,
হা/৩৪০২)।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি সেই সময়ে বালেগ হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে শরীয়তের আইন অনুযায়ী আপনার উপর একশ’ বেত্রাঘাত
করা হবে।
এদেশে যেহেতু
শরীয়াহ এর বিধান অনুযায়ী বিচার কার্য পরিচালনা হয়না,সুতরাং আপনি খালেস দিলে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করবেন।
আপনার কাজটি
জোড়পূর্বক ভাবে হলে ধর্ষন,অন্যথায় এটি ধর্ষন নয়। তবে সর্বাবস্থায় এটি যেনার অন্তর্ভুক্ত। যেনার শাস্তি এক্ষেত্রে
আরোপিত হবে।
এ সংক্রান্ত
জানুনঃ- https://www.ifatwa.info/3991/
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নের
উত্তর পূর্বেই দেওয়া হয়েছে। আপনার উপরে
তাওবা করা আবশ্যক। তবে এবিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে স্থানীয় কোন ফাতওয়া বিভাগ থেকে উত্তর
জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।