ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির
রহমানির রহীম
জবাব:-
১. আপনার রোজ হয়ে
যাবে। এতে অহেতুক সন্দেহে পড়ার কোন কারণ নেই।
২. আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি ফরজ নামাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় দিয়েছেন।
নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ ফরজ করেছেন।
ان الصلاه
كانت على المؤمنين كتابا موقوتا
হাদীস শরীফে আছে,
নামাজের শুরু ও শেষ সময়ে রয়েছে।
ان للصلاة
اولا وآخرا
তাই প্রতি ওয়াক্তে
নামাজগুলো যথা সময়ে আদায় করা জরুরী।
কোন ওজরের কারণে
মাগরিব, ইশা
এবং যোহর শেষ সময়ে আদায় করা অবস্থায় যদি ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়ে গেল,
তাহলে এই নামাজ কাজা হয়ে যাবে। নামাজ
ভাঙবে না। (শেষ সময়ের উপলব্ধি করলো, আমি নামাজ পড়তে পড়তেই ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে। নামাজ
কাজা হয়ে যাবে। তারপরেও এই নামাজ আরম্ভ করতে হবে। দেরি করবে না।)
আসরের নামাজ শেষ
ওয়াক্তে আরম্ভ করা হলো, নামাজ
পড়তে পড়তে সূর্যাস্ত হয়ে গেল, সেক্ষেত্রে এই নামাজ মাকরুহ এর সাথে আদায় হয়ে যাবে। নামাজ
ভাঙবে না।
ফজরের সালাত আদায়
করা অবস্থায় সূর্যের কিনারা উদয় হয়ে গেল, তাহলে এই নামাযটি ভেঙ্গে যাবে। সূর্যোদয়ের আনুমানিক ১৫
মিনিট পরে এই নামাজ কাযা করতে হবে।
সারাংশ কথা এই
দাঁড়ালো, ফজর
ছাড়া অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজগুলো শেষ সময়ে পড়তে পড়তে ওয়াক্ত চলে গেলেও নামাজ
হয়ে যাবে। ফজরের শেষ সময়ে ফজর নামাজ পড়তে পড়তে ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়ে গেলে এই নামাজ
পুনরায় পড়তে হবে।
৩. কা'যা নামাযের কোনো ওয়াক্ত নাই। হারাম তিন সময় ব্যতিত
যেকোনো সময় কা'যা নামায পড়ার সুযোগ রয়েছে।