আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)

এইবার সহ প্রশ্নটা আমি ২/৩ বার হবে করেছি বা তার ও কিছুটা হবে হয়ত কিন্ত যেই জবাব পাওয়ার তা পাইনাই আর সাথে নামাজ বিষয় ও প্রশ্ন ছিলো ওইটা পরে করবো তাই এখন ফোন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আগের বার গুলায় যেমন করেছি প্রশ্নটা ঠিক তেমনি করেছি প্রশ্নটা এইবার ও।

https://ifatwa.info/113807/,হুজুর আপনি বলছেন এই টাকা অনুমতি না নিয়ে ব্যবহার করা জায়েজ হবে না তো আমি যদি অনুমতি না নিয়ে ফোন কিনি তাহলে ওই ফোন কি আমার জন্য ব্যবহার করা জায়েজ হবে না ❓এবং আমার দুলাভাই এর বোন এর জামাই(মানে বোন এর স্বামী)হচ্ছে flat এর আসল মালিক তো আমি যদি দুলাভাই এর বোন এর থেকে আমার মা কে দিয়ে অনুমতি নি এতে কি হবে ❓

হুজুর আমি তো আমার মা থেকে টাকা নিবো টাকা তো আমানত ওনার কাছে আমি মা কে বলছি আম্মু বলছে অনুমতি না নিয়ে ব্যবহার করতে আমি এইটা বলছি এইটা আমানত এইভাবে অনুমতি না নিয়ে ব্যবহার করা জায়েজ না আম্মু বলছে তুই তো আমার থেকে নিবি বা আমি তো ওনার থেকে নিবো আর আমানত তো আমার কাছে তুই তো আবার টাকা পরিশোধ করে দিবি মানে টাকা তো আমি দিয়ে দিবো বলছি আবার তাই আম্মু বলছে অনুমতি নিবে না এখন মা যেহেতু অনুমতি নিবে না আর আমি তো আমার মা এর থেকে টাকা নিচ্ছি তাহলে আমি যদি ফোন কিনি তাহলে তো এই ফোন ব্যবহার করা আমার জন্য জায়েজ হবে প্লিজ আমাকে পরামর্শ দেন আমি confuse।

 

বি.দ্র: আমি আমার মা এর সাথে এই নিয়ে কথা বলছি আপনার জবাব পাওয়ার পরে তাই পুনরায় ওই অনুযায়ী আমি যতটুকু পারছি কথা গুলা বলার চেষ্টা করছি। 

 

⚠️আমার মা এর কাছে যেহেতু টাকা টা আমানত আমি তো অনার থেকে নিবো তো অনি যদি অনুমতি না নেই সে ক্ষেত্রে তো ওনার গুনাহ হবে এবং ওনার গুনাহ হবে এইটা ও বলছি তো যেহেতু অনুমতি নিবে না সেইটা যেই কারনেই হোক না কেনো বা যদি কোন কারন নাই তাও নিবে না [আমি এমনে যতটুকু পারছি জানার কেনো মুল কারন টা বা সহজভাবে বলতে কেনো নিবে এই নিয়ে জিজ্ঞাসা বা কথা বলে যতটুকু জানতে পারছি জানছি এইখানে ওইটা তো উল্লেখ করার মানে হয় না আমার মনে হচ্ছে কিন্ত তাও যদি আপনারা বলেন বলতে কারনটা বা কেনো অনুমতি নিবে না বা অনুমতি নেই নাই ও বলতে পারেন তা আমি যতটুকু পারি বলার চেষ্টা করবো পুনরায় প্রশ্ন করে বা এই প্রশ্নের কমেন্টই] তো কথা হচ্ছে যে আমার কাজ বলার বলছি যদি না বলতাম তাহলে আরেক হিসাব ছিলো তাইনা তো এখন কোন কারন হোক বা না হোক সহজ কথায় বলতে যেহেতু বলছে নিবে না অনুমতি বা বলতে পারেন অনুমতি তো নেই নাই সেইক্ষেত্রে এইখানে আমার তো গুনাহ হওয়ার কথা না কি ঠিক উস্তাদ তো আমার ফোন কিনা এবং ব্যবহার করা তে কোন গুনাহ বা সমস্যা হবে না মানে ফোন কিনে সেইটা ব্যবহার করা নাজায়েজ হবে না ঠিক বলছি কারন আমি তো আমার মা এর থেকে টাকা নিবো আর আমি ও তো টাকা টা দিয়ে দিবো পরে আমার মা এর সাথে কথা হয়েছে এই নিয়ে তো আমার কাছে যদি ওনাদের টাকা টা আমানত থাকতো তাহলে গিয়ে অনুমতি না নিয়ে ব্যবহার করলে সেইটা নাজায়েজ হতো মানে জায়েজ হতো না। আমার পুরা কথাটা পড়ে আমাকে সঠিক পথ দেখান উস্তাদ। 

 

বিশেষ দ্রষ্টব্য : আমি এই মাস এর ৫ তারিখে রাতেই ফোন কিনেছি আপ্নারা ও জবাব দিয়েছেন উস্তাদ ফোন কিনার পরের দিন বা সহজ ভাবে এইটা ধরে নেন ফোন কিনার পরে জবাব দিয়েছেন, অবশ্য উস্তাদ আপনাদের ও সময়,ব্যস্ততা এবং নিয়ম আছে কিছু বুজি আরো রোজার মাস এখন, তো আমি যেহেতু ফোন ও কিনে ফেলেছি এখন আমি তাহলে কি করবো উপরের আমার কথা গুলা পড়ে আমাকে সমাধান দেন এবং আমি ফোন ব্যবহার ও করতাছি কিনছি যেহেতু ব্যবহার তো করবোই এই ব্যবহার করাটা আমার জন্য ঠিক তো এবং আমি যেহেতু আমার মা এর সাথে এই নিয়ে ও কথা হয়েছে আমি টাকা পরিশোধ করে দিবো সময় করে বা আস্তে আস্তে আমার বেতন থেকে সহজ কথায় বলতে টাকা আমি পরিশোধ করে দিবো হোক সেইটার জন্য সময় লাগুক।

⚠️হুজুর মুলত আমি তো আমার অভিভাবক থেকে টাকা নিবো এবং সময় করে পরে টাকাটা দিয়ে ও দিবো তাহলে আমার তো ফোন কিনে ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা বা সমস্যা নেই আমি বিষয় টা নিয়ে কি করবো বুজতাছিনা আমাকে সমাধান দেন। 

কারন আমানত তো আমার অভিভাবক এর কাছে টাকা টা, আমার কাছে তো টাকা টা আমানত না যে আমাকে অনুমতি নিতে হবে এবং যার কাছে এখন টাকাটা আমানত ওনি তো এখন এই টাকার দায়িত্বে আছেন এবং আমি তো ওনার থেকে টাকা টা নিবো.

1 Answer

0 votes
ago by (597,330 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
https://ifatwa.info/113807/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
প্রশ্নে উল্লিখিত ছুরতে উপরে উল্লেখিত জায়েয পদ্ধতিতে যদি ভাড়াটিয়া অগ্রীম টাকা প্রদাণ করে তাহলে ফ্লাটের মালিক (আপনার দুলা ভাইয়ের বোন) এর অনুমতি নিয়ে উক্ত টাকা দিয়ে ফোন ক্রয় করা জায়েয আছে। তবে মনে রাখতে হবে উক্ত টাকা আপনাদের নিকট আমানত। মালিকের অনুমতি ছাড়া সেই টাকা দিয়ে ফোন ক্রয় করা বা অন্য কাজে ব্যবহার করা জায়েয নেই। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ঐ ফোন ব্যবহার করা আপনার জন্য জায়েজ হবেনা। 

আপনি যদি দুলাভাই এর বোন এর থেকে আপমার মা কে দিয়ে অনুমতি নেন, এতেও হবেনা।

হ্যাঁ যদি সেই টাকা এমন হয়,যাহা এককালীন গ্রহণ করা টাকা প্রতি মাসেই কিছু কিছু করে ভাড়া হিসাবে কাটা হয়, যাকে অ্যাডভান্স বলে।

তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার দুলাভাই এর বোন এর থেকে আপনার মা কে দিয়ে অনুমতি নেন, এতে সেই ফোন ব্যবহার করা জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...