আমার স্বামী সাথে পরকীয়া নিয়ে কথা বলার সময় আমার স্বামী বলতেছে মেয়েরা হচ্ছে টিস্যু পেপারের মতো কেউ ইউজ করলে মানুষ সেটা ফেলে দেয়।।।তার কথার প্রেক্ষিতে আমি বলছিলাম আমি যদি পরকীয়া করি।।তখন আমার স্বামী বলে করলে রাখবো তোমারে,,,তাই আমি বলছি তার মানে আমাকে ছেড়ে দিবা,,তখন সে বলে আমি কি তোমাকে বলছি,,আমি তো মেয়েদের কথা বলছি পরকীয়া করলে কেউ রাখে।।।তারপর আমি তাকে আবার প্রশ্ন করলাম আমি যদি পরকীয়া করি,, তখন আমার স্বামী বলে পরকীয়া করলে আমি জানলে বিদায়।।তাই আমি আমার স্বামীকে বললাম ছেড়ে দিবা নাকি,তখন আমার স্বামী বলে সেটা তখন দেখা যাবে।।।এরপর যখন আবার বললাম, তখন বলল পরকীয়া করলে বিদায়।।।তাই আমি বললামর তার মানে ছেড়ে দিবেন।।।তখন সে বলে নাহ তোমাকে ভালোবাসি ছাড়া যাবে না।।।মূলত এতটুকু কথাই হয়েছিল কয়েকদিন আগে সকাল বেলা তার এই কথাগুলোকে আমি শর্তযুক্ত কথা মনে করে নিচের ঝামেলা গুলা করেছি বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত একি কথা জিজ্ঞেস করেছি।।।
তাই আমি তার বিদায় কথাটাকে তালাক মনে করে আমার স্বামীকে বললাম আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলেই তালাক ((সে যদিও তালাক বলেনি।।সে বিদায় বলছিল কিন্তু এটাকে আমি তালাক ধরে নিয়ে বার বার তাকে প্রশ্ন করছিলাম))) তখন আমার স্বামী বলে তুমি পরকীয়া না করলে তো কোন সমস্যা নেই।।তখন আমি বললাম আপনি শর্ত দিলেন।।তখন আমার স্বামী বলেন-আপনি পরকীয়া করবেন কেন,,সতর্ক হয়ে পরকীয়া মুক্ত থাকুন, তাহলেই তো হলো।।। পরে আমি যখন বললাম এটা কি বিয়ে হওয়ার পর থেকে ভবিষৎ পর্যন্ত বুঝায়ছেন।।তখন সে বলে আমি অতীত এর কথা বলিনি,, এখন থেকে ভবিষৎ এর কথা বলছি।।এর কিছুক্ষণ পর কল করে যখন আমার স্বামীকে আবার বললাম আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলে তালাক।। তখন আমার স্বামী বলে আমি তালাক বলিনি আমি বলছি আপনি পরকীয়া করলে বিদায়।।।আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম বিয়ে হওয়ার পর থেকে গত ২ বছরে এমন কোন কথা পরকীয়া মূলক হয়ে থাকলেও কি তালাক।।।তখন সে বলে তার মানে তুমি পরকীয়া করো,,তা নাহলে তুমি এটা নিয়ে এতে ঝামেলা কেন করতেছো।।
এর কিছুক্ষন পর সে কল করে আর বলে বিদায় কথাটা আমি এমনি বলছিলাম আমার কোন তালাকের নিয়ত ছিল না।।তারপর বললো তুমি এটা নিয়ে এতো ঝামেলা করলা।।
তারপরও আমি আমার স্বামীকে বার বার বলতেছি আপনি বলছেন আমি পরকীয়া তালাক।। তখন আমার স্বামী বলে তুমি পরকীয়া না করলেই হয়।।তাও আমি বার বার তাকে একি কথা বলতেছি যে আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলে তালাক।তখন আমার স্বামী বলে যাতে তুমি পরকীয়া না করো তাই বলছি।।। তোমাকে খুটা দেওয়ার জন্য।।।
রাতে আবার তাকে কল করে বলতেছি আপনি আমাকে তালাক দিয়ে দেন আপনার সাথে মনে হয়না আমার সংসার করা হবে।।।আপনার বিভিন্ন কথায় মনে হয় তালাক হয়ে গেছে।। তখন সে বলে ঠিকাছে আপনি মিটিং ডাকেন সেখানে বলবেন যা বলার,,বার বার যখন তালাক চাচ্ছি তখন বলে তালাক আপনাকে দিব না আমার থেকে মইরা বিদায় হবেন তার আগে না।।।এরপর আমি আবার বলতেছি আপনাকে যে আমি প্রশ্ন করছিলাম মেসেজ যে আপনি বলছেন পরকীয়া করলে তালাক।।। তখন আপনি লিখছেন পরকীয়া না করলে তো কোন সমস্যা নেই।।।।তখন আমার স্বামী বলে তালাক এমনি বলছি( (( পরে তাকে জিঙ্গেস করি যে আমি যে তালাক বলছি আপনিও তো তালাক বলছেন তখন সে বলে আমি তো মনে করছি বিদায় কথাটাকে তালাক বলতেছো তাই আমিও এটা বিদায় মনে করে বলছি।।বলে আমিতো বিদায় মনে করে বলছি )) সে বলে তার কোন নিয়ত ছিল না।।।তখন আমি বললাম আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলে তালাক,, এটা তাহলে মেনে নিলেন।।।।তখন আমার স্বামী বলে আমি তো তোমাকে তালাক বলিনি।।আমি বলছি তুমি পরকীয়া করলে বিদায়।।।আর তুমি আমার উপর চাপায় দিচ্ছো যে আমি তালাক বলছি।।তারপর বলে তোমার কথা আমার উপর চাপাও কেন।। আমি তো বিদায় বলছি তুমি এটাকে তালাক বলতেছো।।।।সে বিদায় ই বলছিল কিন্তু এটাকে তালাক মনে করে বার বার আমি তালাক বলছি তাই সেও এটা বলেই বলছে।।এরপর যখন আমি বললাম আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলে তালাক তখন সে বলে আমি বিদায় বলছি।। সে বলে তুমি বলতেছো তালাক আমি তো তালাক বলিনি এটা তো তুমি বললা।।কয়েকদিন পর তাকে জিজ্ঞেস করলাম এটা কি নতুন তালাক নাকি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলা তখন সে বলে কোনটাই না।।।আমি বিদায় মনে করে বলছি।।।মানে আমার কথার প্রেক্ষিতে বলছে আমি এটা বলছি তাই সেই এটা বলেই বলছে।।আমি বিদায়টাকে তালাক ভেবে বলছি তাই সেও
তারপর আমি বললাম -আমি যখন বলতেছি আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলে তালাক এটাতে তো আপনি সম্মতি জানালেন।।।তখন আমার স্বামী বলে আমি এটাকে বিদায় মনে করে বলছি।।।
সে বলে আমার তালাকের কোন নিয়ত ছিল না।।।আর বলে বিদায় আর তালাক ২ টা এক না।।দুইটা আলাদা
এখন হুজুর এটা কি শর্তযুক্ত তালাক।।।কারো সাথে এমন কোন কথা বললেও কি সমস্যা হবে