আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
আমার স্বামী সাথে পরকীয়া নিয়ে কথা বলার সময় আমার স্বামী বলতেছে মেয়েরা হচ্ছে টিস্যু পেপারের মতো কেউ ইউজ করলে মানুষ সেটা ফেলে দেয়।।।তার কথার প্রেক্ষিতে আমি বলছিলাম আমি যদি পরকীয়া করি।।তখন আমার স্বামী বলে করলে রাখবো তোমারে,,,তাই আমি বলছি তার মানে আমাকে ছেড়ে দিবা,,তখন সে বলে আমি কি তোমাকে বলছি,,আমি তো মেয়েদের কথা বলছি পরকীয়া করলে কেউ রাখে।।।তারপর আমি তাকে আবার প্রশ্ন করলাম আমি যদি পরকীয়া করি,, তখন আমার স্বামী বলে পরকীয়া করলে আমি জানলে বিদায়।।তাই আমি আমার স্বামীকে বললাম ছেড়ে দিবা নাকি,তখন আমার স্বামী বলে সেটা তখন দেখা যাবে।।।এরপর যখন আবার বললাম, তখন বলল পরকীয়া করলে বিদায়।।।তাই আমি বললামর তার মানে ছেড়ে দিবেন।।।তখন সে বলে নাহ তোমাকে ভালোবাসি ছাড়া যাবে না।।।মূলত এতটুকু কথাই হয়েছিল কয়েকদিন আগে সকাল বেলা তার এই কথাগুলোকে আমি শর্তযুক্ত কথা মনে করে নিচের ঝামেলা গুলা করেছি বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত  একি কথা জিজ্ঞেস করেছি।।।

 তাই আমি তার বিদায় কথাটাকে তালাক মনে করে আমার  স্বামীকে বললাম আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলেই তালাক ((সে যদিও তালাক বলেনি।।সে বিদায় বলছিল কিন্তু এটাকে আমি তালাক ধরে নিয়ে বার বার তাকে প্রশ্ন করছিলাম))) তখন আমার স্বামী বলে তুমি পরকীয়া না করলে তো কোন সমস্যা নেই।।তখন আমি বললাম আপনি শর্ত দিলেন।।তখন আমার স্বামী বলেন-আপনি পরকীয়া করবেন কেন,,সতর্ক হয়ে পরকীয়া মুক্ত থাকুন, তাহলেই তো হলো।।। পরে আমি যখন বললাম এটা কি বিয়ে হওয়ার পর থেকে ভবিষৎ পর্যন্ত বুঝায়ছেন।।তখন সে বলে আমি অতীত এর কথা বলিনি,, এখন থেকে ভবিষৎ এর কথা বলছি।।এর কিছুক্ষণ পর  কল করে যখন আমার স্বামীকে আবার বললাম  আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলে তালাক।। তখন আমার স্বামী বলে আমি তালাক বলিনি আমি বলছি আপনি পরকীয়া করলে বিদায়।।।আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম বিয়ে হওয়ার পর থেকে গত ২ বছরে এমন কোন কথা পরকীয়া মূলক হয়ে থাকলেও কি তালাক।।।তখন সে বলে তার মানে তুমি পরকীয়া করো,,তা নাহলে তুমি এটা নিয়ে এতে ঝামেলা কেন করতেছো।।

এর কিছুক্ষন পর সে কল করে আর বলে বিদায় কথাটা আমি এমনি বলছিলাম আমার কোন তালাকের নিয়ত ছিল না।।তারপর বললো তুমি এটা নিয়ে এতো ঝামেলা করলা।।

তারপরও আমি আমার স্বামীকে বার বার বলতেছি আপনি বলছেন আমি পরকীয়া তালাক।। তখন আমার স্বামী বলে তুমি পরকীয়া না করলেই হয়।।তাও আমি বার বার তাকে একি কথা বলতেছি যে আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলে তালাক।তখন আমার স্বামী বলে যাতে তুমি পরকীয়া না করো তাই বলছি।।। তোমাকে খুটা দেওয়ার জন্য।।।

রাতে আবার তাকে কল করে বলতেছি  আপনি আমাকে তালাক দিয়ে দেন আপনার সাথে মনে হয়না আমার সংসার করা হবে।।।আপনার বিভিন্ন কথায় মনে হয় তালাক হয়ে গেছে।। তখন সে বলে ঠিকাছে আপনি মিটিং ডাকেন সেখানে বলবেন যা বলার,,বার বার যখন তালাক চাচ্ছি তখন বলে তালাক আপনাকে দিব না আমার থেকে মইরা বিদায় হবেন তার আগে না।।।এরপর আমি আবার বলতেছি আপনাকে যে আমি প্রশ্ন করছিলাম মেসেজ যে আপনি বলছেন   পরকীয়া করলে তালাক।।। তখন আপনি লিখছেন পরকীয়া না করলে তো কোন সমস্যা নেই।।।।তখন আমার স্বামী  বলে তালাক এমনি বলছি( (( পরে তাকে জিঙ্গেস করি যে আমি যে তালাক বলছি আপনিও তো তালাক বলছেন তখন সে বলে আমি তো মনে করছি বিদায় কথাটাকে তালাক বলতেছো তাই আমিও এটা বিদায় মনে করে বলছি।।বলে আমিতো বিদায় মনে  করে বলছি  )) সে বলে তার কোন নিয়ত ছিল না।।।তখন আমি বললাম আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলে তালাক,, এটা তাহলে মেনে নিলেন।।।।তখন আমার স্বামী বলে আমি তো তোমাকে তালাক বলিনি।।আমি বলছি তুমি পরকীয়া করলে বিদায়।।।আর তুমি আমার উপর চাপায় দিচ্ছো যে আমি তালাক বলছি।।তারপর বলে তোমার কথা আমার উপর চাপাও কেন।। আমি তো বিদায় বলছি তুমি এটাকে তালাক বলতেছো।।।।সে বিদায় ই বলছিল কিন্তু এটাকে তালাক মনে করে বার বার আমি তালাক বলছি তাই সেও এটা বলেই বলছে।।এরপর যখন আমি বললাম আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলে তালাক তখন সে বলে আমি বিদায় বলছি।। সে বলে তুমি বলতেছো তালাক আমি তো তালাক বলিনি এটা তো তুমি বললা।।কয়েকদিন পর তাকে জিজ্ঞেস করলাম এটা কি নতুন তালাক নাকি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলা তখন সে বলে কোনটাই না।।।আমি বিদায় মনে করে বলছি।।।মানে আমার কথার প্রেক্ষিতে বলছে আমি এটা বলছি তাই সেই এটা বলেই বলছে।।আমি বিদায়টাকে তালাক ভেবে বলছি তাই সেও

তারপর আমি বললাম -আমি যখন বলতেছি আপনি বলছেন আমি পরকীয়া করলে তালাক এটাতে তো আপনি সম্মতি জানালেন।।।তখন আমার স্বামী বলে আমি এটাকে বিদায়  মনে করে বলছি।।।

সে বলে আমার তালাকের কোন নিয়ত ছিল না।।।আর বলে বিদায় আর তালাক  ২ টা এক না।।দুইটা আলাদা

 এখন হুজুর এটা কি শর্তযুক্ত তালাক।।।কারো সাথে এমন কোন কথা বললেও কি সমস্যা হবে

1 Answer

0 votes
by (600,480 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর এমনিতেই বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটি শর্তযুক্ত তালাকের বাক্য নয়। এতে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

তালাকের মত এত সেনসিটিভ একটি বিষয় নিয়ে স্বামীর সাথে এ ধরনের কথাবার্তা ভবিষ্যতে আর না বলার পরামর্শ থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
হুজুর আমাদের তাহলে কি কোন সমস্যা হয় নি?
by (600,480 points)
না,সমস্যা হয়নি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...