আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in সাওম (Fasting) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ। আমার স্বভাবগতভাবে প্রতি মাসে ৬ দিন পিরিয়ড থাকে। ষষ্ঠতম দিনে বাদামি রঙের স্রাব যায়। আর ৭ম দিনে আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাই, দুপুরে ফরজ গোসল করে যোহর থেকে নামাজ আদায় করি।

এই রমজান মাসে ২য় রমজানে আমার পিরিয়ড শুরু হয়। তো পিরিয়ডের ষষ্ঠ দিনে আমি ফরজ গোসল করি দুপুরে কিন্তু তারপরও বাদামি স্রাব যায় তাই নামাজ পড়িনি। আর আমি যেহেতু জানি যে ৭ম দিনে আমি সুস্থ হয়ে যাবো তাই আমি আজ (৮ম রোজার দিন) ভোরে সেহরি করেছি রোজা রাখার নিয়তে। আমি এভাবে নিয়ত করেছি যে সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখবো, যদি বাদামি স্রাব না যায় তাহলে আমি রোজা রাখবো আর বাদামি স্রাব গেলে তো রোজা এমনি ভেঙে যাবে। এখন আমি ১০টা পর্যন্ত দেখি বাদামি স্রাব যায়নি তো আমি আজকে রোজা আছি। এখন আমার প্রশ্ন হলো-

১. আমি যে এভাবে নিয়ত করলাম, রোজার নিয়তেই সেহরি করেছি কিন্তু ১০টা পর্যন্ত দেখব কি হয়... এভাবে নিয়ত করায় কি আমার রোজা হবে নাকি ভেঙে যাবে? কাজা আদায় করতে হবে? আমি বলেছি যে আল্লাহ আমি রোজা রাখার নিয়তে সেহরি করলাম। যদি আমার মধ্যে রোজা ভঙ্গের কারণ দেখা না যায়, তাহলে আমি রোজা রাখবো!!! এভাবে নিয়ত করায় কি আমার রোজা শুদ্ধ হবে নাকি কাযা করতে হবে?

২. আমি ১টার দিকে ফরজ গোসল করে নামাজ আদায় করলে কি আমার আজকের রোজা হবে? যেহেতু আমি ১টার দিকে ফরজ গোসল করছি।

একটু তাড়াতাড়ি জানাবেন উস্তাদ। আসসালামু আলাইকুম।

1 Answer

+1 vote
by (606,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://www.ifatwa.info/22627/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-

রমজানের কাজা রোজাসাধারণ মানতকাফফারা ও যিহারের কাফফারা রোজার নিয়ত রাতে না করলে রোজা বিশুদ্ধ হবে না।

 

হাদীস শরীফে এসেছে। উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

 من لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.

যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।

(সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩)

 

২. আর রমজান মাসের রোজানির্দিষ্ট মানতের রোজা ও নফল রোজার নিয়ত রাত থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা যাবে। 


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً يُنَادِي فِي النَّاسِ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ " أَنْ مَنْ أَكَلَ فَلْيُتِمَّ أَوْ فَلْيَصُمْ، وَمَنْ لَمْ يَأْكُلْ فَلاَ يَأْكُلْ ".


সালমা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ‘আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেনযে ব্যাক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেনসে যেন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়। সহীহ বুখারী১৮০২)

 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,

আপনার হায়েজ যদি আসলেই বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকে,আজ সুবহে সাদিক এর পর থেকে যদি কোনো হায়েজ আর না আসে,সেক্ষেত্রে আপনার আজকের রোযা আদায় হবে।
এটির কাজা আদায় করতে হবেনা।

(০২)
এতে রোযার কোনো সমস্যা নেই।
আপনার রোযা আদায় হয়ে যাবে।

গোসল ফরজ অবস্থায় থাকা এটি রোযার প্রতিবন্ধক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...