আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in ওয়াসওয়াসা by (4 points)
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর আমার আমার এই পাঁচটি প্রশ্ন ভালো করে পরে উত্তর দেবার অনুরোধ রইলো (১) হুজুর একদিন আমি একা দাঁড়িয়ে ছিলাম আমার সাথে আর কেউ ছিলনা তখন এটা আমার মধ্যে এটা উদিত হলো নাকি আমি মুখে উচ্চারণ করে বলেছি আমি মনে করতে পারছি না। যেনো আমি বললাম যে আমি যদি বিয়ে করি তাহলে আমার বউ তালাক কিন্তু এখানে আর একটা বিষয় যে আমি কিন্তু all redy married তো এখন আমি জানতে চাইছি যে এতে কি আমার বর্তমান স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবে নাকি  আমি যদি ভবিষ্যতে বিয়ে করি তাহলে সেই স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবে। আমার বর্তমান স্ত্রীকে তালাক দেবার উদ্দেশ্য আমি এই কথাটা বলিনি আর আমি মুখে উচ্চারণ করে বলেছি নাকি মনে মনে বলেছি আমি সন্দেহের মধ্যে পড়েগেছি এর সমাধান আর কি।                                                            (২) আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর 7 থেকে 8 মাস আগের কথা ঠিক মনে নেই আমার স্ত্রী উপর আমি কিছুটা রেগে বলেছি যে আমার সাথে সংসার করতে হবে যাও তো কথাটা আমি তালাকের উদ্যেশ্য করে বলেছি কি আমি নিশ্চিৎ হতে পারছি না খালি সন্দেহ হয় তালাকের নিয়ত আমি বলেছি নাকি এমনি অভিমান করে বলেছি। এটা তো কেনায় শব্দ আর কেনায় শব্দ দ্বারা তো তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক তো আমি কি তালাক দেবার উদ্দেশ্য এই কথাটা বলেছি এবং আর একটা বিষয় যে আমি উচ্চারণ করে বলেছি কি মনে মনে বলেছি আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না তখন আমার স্ত্রী আমার থেকে তিন হাত দূরে অবস্থান করেছিল আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছি আমার স্ত্রী আমার বললো যে আমি কিছু শুনতে পাইনি এবং আমি ও কানে কোনো পরিষ্কার শব্ধ শুনেছি কি মনে করতে পারছি না এতে কি তালাক হবে।                                                      (৩) আর হুজুর আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক আছে কি ঠিক নেই সন্দেহ হয় তাই এই শুধু সন্দেহ করে স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা হোয়া উচিত হবে। আর হুজুর এই যে প্রশ্নটি করছি যে শুধু সন্দেহ করে স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা হোয়া উচিত হবে যদি ও আমি এখন পুরোপুরি আলাদা হবার পরিকল্পনা করিনি কিন্তু আপনাদের কাছে এমন করে লেখার জন্য কি আমাদের সামি স্ত্রীর সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কী এর দ্বারা কি কোনো তালাক পতিত হবে কারণ বলার লেখার সময় আমি মুখে উচ্চারণ করে লিখছিলাম? আমার স্ত্রী এসবের বিষয় কিছু জানে না দোয়া করে জানাবেন প্লিজ ।                                        (৪) হুজুর আমি দুদিন পর পর তখন সকাল সাতটা বাজবে আমি খুব গভীর ঘুমে ও ছিলাম না  আর একদম পুরোপুরি ঘুম ছাড়া ও ছিলাম না আমার যেনো মনে হয় যে আমি যেন আমার স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছি বা তালাক দিয়েছি কিন্তু আমি যখন ঘুম থেকে উঠি তখন আমি পুরোপুরি কিছু ভালো করে মনে করতে পারিনা যে আমি কি আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি নাকি তালাক দেবো বলে কোনো ওধা করেছি আমি ভালো করে কিছু মণের করতে পারছি না এতে কি তালাক হবে।                                                (৫)হুজুর একদিন আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম আর তখন আমি আমাকে বলছিলাম যে আমি হুজুরদের কাছ থেকে যত মাসআলা নিয়েছি সেই গুলো দ্বারা যদি আমার স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয় তাহলে আমার স্ত্রী 100 বার হাজার বার তালাক হয়ে যেতো কিন্তু সেগুলো দ্বারা আমার স্ত্রীর উপর কোনো তালাক পতিত হয়নি তো হুজুর এমন চিন্তা বা বলার জন্য কি আমাদের সামি স্ত্রীর সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে আমি তালাক দেবার উদ্দেশ্য এই গুলো বলিনি আমি আমি আপনাদের কাছে মাসআলা নিয়েছি সেই গুলো দ্বারা আমি আমার কাছে এই সব বলছি আর ভেবেছি এতে কি কিছু হবে হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (71,340 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/103624/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসআলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায় এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না

আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন - https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

,

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।

,

এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

,

রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)

,

ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

,

১. মনে মনে তালাক দিলে তালাক হয় না। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি আগে শিওর হয়ে তারপর আবার প্রশ্ন করবেন। আর ইতিপূর্বেও আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।

২. মনে মনে তালাক দিলে তালাক হয় না। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তালাক হবে না।

৩. সন্দেহের কারণে কোনো তালাক হয় না।

৪. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি আগে শিওর হয়ে তারপর আবার প্রশ্ন করবেন।

৫. আপনি সব রকম ওয়াসওয়াসা পরিহার করে চলবেন। কারণ, ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (4 points)
হুজুর আপনি বলছেন যে শিওর হতে কিন্ত আমি যদি শিওর না হতে পারি যে আমি কেমন বলেছি বা কি বলেছি এবং উচ্চারণ করে বলেছি নাকি আমার মণের মধ্যে উদিত হয়েছে তাহলে সে ক্ষেত্রে আমি কি করবো আমি কি যদি সেই শব্ধ দ্বারা তালাক হয়ে থেকে কিন্তু আমি নিশ্চিৎ হতে পারছি না তাহলে আমি কি সেই টা এড়িয়ে যাবো কিন্তু সত্যি যদি  সেই শব্ধ দ্বারা তালাক হয়ে থাকে তাহলে কি হবে 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...