আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
928 views
in দাফন ও জানাজা (Burial & Janazah) by (8 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম-ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্
আমি যদি কারোর কবর জিয়ারত করতে চাই তাহলে কি আমাকে তার করবের সামনে/কবরস্থানের সামনে যেয়েই করতে হবে?
ধরুন আমি যদি বাড়িতে বসে/মসজিদে বসে,কবর জিয়ারতের সুরা-কেরাত,দূয়া-দূরুত পাঠ করে জিয়ারত করি তাহলে হব না?
আবার ধরুন আমি আমার নানার কবর জিয়ারত করতে চাই কিন্তু তার কবর নড়াইলে আর আমি থাকি যশোরে, এখন আমি কি বাড়িতে বসে/মসজিদে বসে জিয়ারত করতে পারব?নাকি আমাকে নড়াইলে যেয়ে তার কবরের সামনে যেয়ে জিয়ারত করতে হবে?
ধন্যবাদন্তে
মোঃ ইকরামুল মোল্যা
শ্যামনগর,অভয়নগর, যশোর
by (0 points)
আলহামদুলিল্লাহ। 

1 Answer

+1 vote
by (595,500 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
305 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ার "যিয়ারতে ক্বুবুর" অধ্যায়ের কিছু আরবী ইবারত নিম্নে উল্লেখ করছি------
আশাকরি এই আলোচনা থেকে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত উত্তর পেয়ে যাবেন।
وَإِذَا أَرَادَ زِيَارَةَ الْقُبُورِ يُسْتَحَبُّ لَهُ أَنْ يُصَلِّيَ فِي بَيْتِهِ رَكْعَتَيْنِ يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ الْفَاتِحَةَ وَآيَةَ الْكُرْسِيِّ مَرَّةً وَاحِدَةً وَالْإِخْلَاصَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَيَجْعَلُ ثَوَابَهَا لِلْمَيِّتِ يَبْعَثُ اللَّهُ تَعَالَى إلَى الْمَيِّتِ فِي قَبْرِهِ نُورًا وَيَكْتُبُ لِلْمُصَلِّي ثَوَابًا كَثِيرًا ثُمَّ لَا يَشْتَغِلُ بِمَا لَا يَعْنِيهِ فِي الطَّرِيقِ فَإِذَا بَلَغَ الْمَقْبَرَةَ يَخْلَعُ نَعْلَيْهِ ثُمَّ يَقِفُ مُسْتَدْبِرَ الْقِبْلَةِ مُسْتَقْبِلًا لِوَجْهِ الْمَيِّتِ وَيَقُولُ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُورِ وَيَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ أَنْتُمْ لَنَا سَلَفٌ وَنَحْنُ بِالْأَثَرِ كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.وَإِذَا أَرَادَ الدُّعَاءَ يَقُومُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ كَذَا فِي خِزَانَةِ الْفَتَاوَى.وَإِنْ كَانَ شَهِيدًا يَقُولُ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ بِمَا صَبَرْتُمْ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ.
যখন কেউ কবর যিয়ারতের নিয়ত করবে,তখন তার জন্য মুস্তাহাব হল,সে যেন ঘরে দুই রা'কাত নামায পড়ে,এবং প্রত্যেক রা'কাতে যেন সে সূরা ফাতেহা ও একবার আয়াতুল কুরসি,এবং তিনবার সুরা ইখলাছ পড়ে।এবং এর সওয়াব যেন সে মৃত ব্যক্তির জন্য প্রেরণ করে দেয়।আল্লাহ তা'আলা উক্ত তিলাওয়াতের সওয়াবকে উক্ত ব্যক্তির কবরে নুর হিসেবে পাঠিয়ে দেবেন।এবং মুসাল্লি র জন্যও আল্লাহ অনেক সওয়াব লিখে রাখবেন।অতঃপর উক্ত মুসল্লি কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তায় যেন কোনো অনর্থক কাজে মশগুল না হয়।যখন সে কবরস্থানে পৌছবে তখন পায়ের জুতা খুলে ফেলবে।অতঃপর সে কিবলার দিকে পিঠ ফিরিয়ে এবং মৃতব্যক্তির দিকে আপন চেহারাকে নিবিষ্ট করে দাড়াবে।এবং বলবে......
"আস্সালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর, ওয়া ইয়াগফিরাল্লাহু লানা ওয়া লাকুম,আনতুম লানা সালাফুন ওয়া নাহনু বিল আসারি "(গারাঈব)
(অন্যন্য কিভাবে এভাবে বর্ণিত রয়েছে,
আস্সালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল মিনাল মুসলিমী-না ওয়াল মুসলিমা-ত,আনতুম লানা সালাফুন ওয়া নাহনু লাকুক তাবায়ুন ওয়া ইন্না ইনশা আল্লাহু বিকুম লাহিকুন"
এবং যখন দু'আর সময় হবে তখন কিবলার দিকে মুখ ফিরিয়ে দাড়াবে।(খাযানাতুল ফাতাওয়া)
কবরের শায়িত ব্যক্তি শহীদ হলে বলবে,

'সালামুন আলাইকুম বিমা সাবারতুম ফানি'মা উক্ববাদ্দার'
ثُمَّ يَقْرَأُ سُورَةَ الْفَاتِحَةِ وَآيَةَ الْكُرْسِيِّ ثُمَّ يَقْرَأُ سُورَةَ {إِذَا زُلْزِلَتِ} [الزلزلة: ١] وَأَلْهَاكُمْ التَّكَاثُرُ كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
অতঃপর সূরায়ে ফাতেহা এবং আয়াতে কুরসি পড়বে।এবং সূরায়ে যিলযাল ও সূরায়ে তাকাছুর পড়বে।(গারাঈব)
وَحُكِيَ عَنْ الشَّيْخِ الْإِمَامِ الْجَلِيلِ أَبِي بَكْرٍ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - أَنَّ قِرَاءَةَ الْقُرْآنِ فِي الْمَقَابِرِ إذَا أَخْفَى وَلَمْ يَجْهَرْ لَا تُكْرَهُ وَلَا بَأْسَ بِهَا إنَّمَا يُكْرَهُ قِرَاءَةُ الْقُرْآنِ فِي الْمَقْبَرَةِ جَهْرًا أَمَّا الْمُخَافَتَةُ فَلَا بَأْسَ بِهَا وَإِنْ خَتَمَ، وَكَانَ الصَّدْرُ أَبُو إِسْحَاقَ الْحَافِظُ يَحْكِي عَنْ أُسْتَاذِهِ أَبِي بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ إبْرَاهِيمَ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - لَا بَأْسَ أَنْ يَقْرَأَ عَلَى الْمَقَابِرِ سُورَةَ الْمُلْكِ سَوَاءٌ أَخْفَى أَوْ جَهَرَ وَأَمَّا غَيْرُهَا فَإِنَّهُ لَا يَقْرَأُ فِي الْمَقَابِرِ وَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ الْجَهْرِ وَالْخُفْيَةِ كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ فِي فَصْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ
আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে ফযল রাহ, থেকে বর্ণিত,তিনি মনে করেন,কবরস্থানে নিম্নস্বরে কুরআন তেলাওয়াত করতে কোনো সমস্যা নেই এমনকি সারা কুরআনও তেলাওয়াত করা যাবে।তবে উচ্ছস্বরে মাকরুহ।এবং আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে ইবরাহিম রাহ, থেকে বর্ণিত,তিনি মনে করেন,উচ্ছস্বরে হোক বা নিম্নস্বরে সকল পদ্ধতিতে সূরা মূলক কবরস্থানে তেলাওয়াত করা যাবে।এতে  কোনো অসুবিধা নেই।আর সূরা মূলক ব্যতীত বাদবাকি কুরআন কবরস্থানে তেলাওয়াত না করাই ভালো।এক্ষেত্রে তিনি উচ্ছস্বর-নিম্নস্বর এর কোনো পার্থক্য করেন না। (যাখিরাহ) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৫০)

যিয়ারতের বেলায় ছোটবড়র কোনো বেদাবেদ নাই। সবাই একি নিয়মে যিয়ারত করবে। দু'আর মুস্তাহাব হল, দু হাত তুলে দু'আ করা এবং দু'আ শেষে চেহারায় হাতদ্বয় কে বুলিয়ে দেয়া তথা চেহারায় হাত মুছা।

বিঃদ্রঃ
যিয়ারত অর্থ সাক্ষাৎ ,কবর যিয়ারত অর্থ কবরে শায়িত ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ। সুতরাং তা বাড়িতে বা মসজিদে বসে হবে না। হবেও বা  কিভাবে ?  হ্যা বাড়িতে বা মসজিদে বসে বিভিন্ন দু'আ-দুরুদ পড়ে ঈসালে সওয়াব(সওয়াব পৌছিয়ে দেয়া) করা যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
জাযাকাল্লাহ 
by
হযরত,নামাজে সূরা ফাতিহার সাথে এইযে সুরা বাকারার ২৫৫ আয়াত পড়ে লাফ দিয়ে ইখলাস সুরা তিন বার পড়া..সাহাবীদের এমন পদ্ধতিতে নামাজের কোনো প্রমাণিত আমল আছে কি?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...