আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ্।

https://ifatwa.info/114203/ এই লিংকে করা প্রশ্ন অনুযায়ী আমাকে বলা হয়েছে ইস্তিহাজা চলমান অবস্থায় ১৫ দিন পর পর হায়েজ গননা করে পূর্বের অভ্যাসের দিন গুলো বাদ দিতে। আমার পূর্বের অভ্যাস ৮ দিন। ২৮ দিন পর পর হায়েজ হতো। এর মধ্যে এই মাসের কনসিভের জন্য ট্রাই করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
প্রশ্ন হলো-

১. যেহেতু আমার পূর্বের অভ্যাস সবসময়ই ২৮ দিন অর্থাৎ হায়েজ শুরুর ২৮ দিন পরপর আবার হায়েজ হতো। এক্ষেত্রে পবিত্রতার সময় ২০ দিন। তো আমি কি পবিত্রতা ২০ দিন হিসেব করবো নাকি ১৫ দিনই? যেহেতু আমার পূর্বের অভ্যাস জানা আছে।
২. যেহেতু আমার এই মাসে কনসিভের সম্ভাবনা আছে তাই আমি টেস্ট করে শিওর হওয়ার আগ পর্যন্ত ইস্তিহাযা থেকে হায়েজের দিনগুলো বাদ দিবো? নাকি নামাজ রোজা করে যাবো?
একটু দ্রুত বিস্তারিত উত্তর দিলে মুনাসিব হয় ইনশাআল্লাহ। নামাজ রোজা নিয়ে টেনশনে আছি।

1 Answer

0 votes
by (598,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।   

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
,
★ উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে।
হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

পনেরো দিন থেকে বেশি পবিত্রতা হলে তো হায়েজের দিন গুলো চিনতে কোনো  সমস্যাই নেই।
,
আরো জানুনঃ   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
ব্লাড আসা চলমান থাকলে প্রশ্নে উল্লেখিত লিংকে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী আপনি হায়েজ ও ইস্তিহাজার হিসাব চালিয়ে যাবেন।

(০২)
আপনি হায়েজের দিন গুলো বাদে বাকি দিন গুলোতে নামাজ রোযা চালিয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...