আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
https://ifatwa.info/114022/ প্রশ্ন,আমি বুজিনাই কেনো ওয়াস ওয়াসার জবাব বা কথা বলে এড়িয়ে গেলো আমি ওয়াস ওয়াসার রোগি এইটা ঠিক কিন্ত আমি তো ওয়াস ওয়াসার কোন প্রশ্ন করি নাই আমি শুধু এই উপরে লিংক এর প্রশ্নের পরামর্শ আর সমাধান চাচ্ছি উস্তাদ আপনাদের কাছে অনুরোধ করতাছি উপরের এই লিংক দেওয়া প্রশ্নে আমি মোবাইল ব্যবহার ও টাকা নিয়ে যেই প্রশ্ন করেছি আমার ওই প্রশ্নের জবাব টা দেন দয়া করে এবং নামাজ নিয়ে ও যে প্রশ্ন করছি ওইটার ও জবাব দিয়েন আমাকে ফিরাইয়া দিয়েন না প্লিজ।

উপরের লিংক এর কমেন্ট এর কথা গুলা দেখে নিবেন মোট কথা আমার উপরের লিংক এর মধ্যে উল্লেখ করা বিষয় গুলার আমি final পরামর্শ ও সমাধান চাই আপনাদের কে যথেষ্ট বিশ্বাস করি তাই প্রশ্ন করে কিছু টা বিরক্ত করতাছি।

1 Answer

0 votes
by (606,120 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
https://ifatwa.info/113807/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
প্রশ্নে উল্লিখিত ছুরতে উপরে উল্লেখিত জায়েয পদ্ধতিতে যদি ভাড়াটিয়া অগ্রীম টাকা প্রদাণ করে তাহলে ফ্লাটের মালিক (আপনার দুলা ভাইয়ের বোন) এর অনুমতি নিয়ে উক্ত টাকা দিয়ে ফোন ক্রয় করা জায়েয আছে। তবে মনে রাখতে হবে উক্ত টাকা আপনাদের নিকট আমানত। মালিকের অনুমতি ছাড়া সেই টাকা দিয়ে ফোন ক্রয় করা বা অন্য কাজে ব্যবহার করা জায়েয নেই। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ঐ ফোন ব্যবহার করা আপনার জন্য জায়েজ হবেনা। 

আপনি যদি দুলাভাই এর বোন এর থেকে আপমার মা কে দিয়ে অনুমতি নেন, এতেও হবেনা।

হ্যাঁ যদি সেই টাকা এমন হয়,যাহা এককালীন গ্রহণ করা টাকা প্রতি মাসেই কিছু কিছু করে ভাড়া হিসাবে কাটা হয়, যাকে অ্যাডভান্স বলে।

তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার দুলাভাই এর বোন এর থেকে আপনার মা কে দিয়ে অনুমতি নেন, এতে সেই ফোন ব্যবহার করা জায়েজ হবে।

(০২)
দুই সিজদার মাঝে হাদীছে বর্ণিত দুআঃ-

হাদিসে শব্দগুলোর ক্ষেত্রে বিভিন্নতা রয়েছে। কোথাও কম, আবার কোথাও বেশি।

ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন যে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সিজদার মাঝে বলতেন, اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاجْبُرْنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي ‘হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আমাকে রিযিক দান করুন’ (তিরমিযী, হা/২৮৪; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৪৫)। 

অন্য বর্ণনায় দুআটি এইভাবে রয়েছে رَبِّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاجْبُرْنِي، وَارْزُقْنِي، وَارْفَعْنِي (ইবনু মাজাহ, হা/৮৯৮)।

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ، وَارْحَمْنِي ، وَاجْبُرْنِي ، وَاهْدِنِي ، وَارْزُقْنِي ، وَعَافِنِي ، وَارْفَعْنِي

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগ ফিরলি, ওয়ার হামনি, ওয়াজবুরনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারজুকনি, ওয়া আ’ফিনি ওয়ারফা’নি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার ওপর রহম করুন। আমার প্রয়োজন পুরো করে দিন। আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন। আমাকে সুস্থতা দান করুন এবং আমার সম্মান বৃদ্ধি করুন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৫০; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮৮৮)

★সবই সঠিক।
আপনি যেকোনো একটি দোয়া করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...