জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রোযা অবস্থায় গিবত করলে রোযা ভেঙে যায় না। তবে রোযার সওয়াব ও গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
হাদিস শরিফে এসেছে,
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ حَدَّثَنَا وَاصِلٌ، عَنْ بَشَّارِ بْنِ أَبِي سَيْفٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ غُطَيْفٍ، قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الصَّوْمُ جُنَّةٌ مَا لَمْ يَخْرِقْهَا
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, রোজা হলো (জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার) ঢাল, যে পর্যন্ত না তাকে বিদীর্ণ করা হয়।
জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রাসুলুল্লাহ, কিভাবে রোজা বিদীর্ণ হয়ে যায়? নবী করিম (সা.) বললেন, মিথ্যা বলার দ্বারা অথবা গিবত করার দ্বারা। (আলমুজামুল আওসাত, তাবারানি, হাদিস : ৭৮১০; নাসায়ি, হাদিস : ২২৩৫)
মুজাহিদ (রহ.) বলেন, দুটি অভ্যাস এমন রয়েছে, এ দুটি থেকে যে বেঁচে থাকবে তার রোজা নিরাপদ থাকবে—গিবত ও মিথ্যা।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ৮৯৮০
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যে রোজা জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য ঢাল স্বরূপ হবে, আপনার রোজা ঠিক তেমনটি হচ্ছে না।
তাই যেভাবেই হোক গীবতের মজলিস পরিহার করতে হবে।প্রয়োজনে সেসব মজলিসে বসাই যাবে না। নিজ ঘরে থাকবেন।
বিনা প্রয়োজনে ঘর হতে বের হবেননা।