আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
edited by

https://ifatwa.info/114173/ হুজর আমার এই প্রশ্নের আপনি বলছেন জেনে শুনে এমন ফোন ক্রয় করা যাবে না আমি তো ব্যবহার করা বা used 2nd hand ফোন কিনি নাই যে চুরির হবে আমি আনঅফিশিয়াল brand new Samsung a55 (8/128gb) এই ফোন কিনি আমার কাছে ক্যাশমেমো ও আছে ফোন যেহেতু  ব্রান্ড new এবং বসুন্ধরা টাইপ শপিং মল এ তারা কেনো চুরির মাল আনবে তাইনা এখন আনঅফিশিয়াল ফোন যেইভাবে বা যেই ভাবে আনা সম্ভব তারা সেইভাবে বা তেমন যেকোনো মাধ্যমে আনসে আর brand new unofficial ফোন কিনার সময় এইটা জানা মনে হয় না সম্ভব যে এইটা কিভাবে আনা হয়েছে চুরি করে নাকি অন্য কোন ভাবে আর আমি মনে করেন তাদের জিজ্ঞাসা করলাম এইটা যে কিভাবে এই ফোন আনা হয়েছে ওনারা তো পাগল না আমাকে বলবে চুরি করে আনছে আর যেহেতু বাংলাদেশ এর সব থেকে বড় শপিং গুলার মধ্যে একটা হচ্ছে বসুন্ধরা তা আপ্নারা জানেনি আমি ফোন কিনার আগে বসুন্ধরার প্রায় কিছু বা বেশ কিছু দোকান এর সাথেই ফেসবুক পেইজ এর দ্বারা whatspp দ্বারা কথা বলেছি ফোন এর দাম ইত্যাদি বিষয় এ তো আমি যেইখান থেকে কিনেছি ওদের সাথে কিনার আগেই আমার কথা হয়েছে যে আমি ফোন নিব ওদের কাছ থাকে এবং আমি যতগুলা দোকান দার দের সাথে কথা হয়েছে বা শৌরুম এ কথা হয়েছে তার মধ্যে আমি যেইখান থেকে কিনেছি ওইখানে দাম ও কিছুটা কম ছিলো সামান্য কম ছিলো এমন না যে অনেক টাকা কম ছিলো তো আমি কিনার আগে তাদের সাথে কথা বলেই এর পরে ওদের দোকানে গিয়েছি ভাবলাম চিন্তা ভাবনা ছিলো ওনাদের থেকে কিনার ওনাদের দোকানে পৌছানোর পরে কিছু খন অপেক্ষা করতে হয়েছে ফোন হাতে পেতে কারন নাকি এই ফোন এর stock limited তাড়াতাড়ি  স্টক out হয়ে যাই স্টক/stock হলেই বা stock আসলেই তো ওনারা আমাকে কিছুখন অপেক্ষা করার পরে ফোন ম্যানেজ করে এনে দিয়েছে হয়ত তাদের আরেকটা শপ থেকে যেইখান থেকেই হোক আমাকে ফোন এনে দিয়েছে আমি ওইখানেই ফোন unboxing করি এর পরে যেমন নিয়ম মানি রিসিট মোবাইলে এর কিছু accessories নিয়ে ইত্যাদি ওইখানে মোবাইল কাজ সম্পুর্ণ করার পরে আমার  back করি। তো আমার কথা হচ্ছে এখন এইটাই যে আমার এই ফোন ব্যবহার করায় তো কোন সমস্যা নেই⁉️ কারন আমি তো আনঅফিশিয়াল ব্রান্ড নিউ ফোন কিনেছি এবং আমার তাই এই নিয়ে চিন্তা হচ্ছে এইটা আবার যদি চুরির হয় কিন্ত এইটা তো brand new phone তাইনা তাও কেনো অহেতুক চিন্তা হচ্ছে এবং বসুন্ধরার মত বড় শপিং মল থেকে কিনেছি যেমন রুলস থাকে দোকানে ফোন কিনার সময় তেমন ভাবে। এবং আমি ফোন টা ৩৮৫০০ টাকা দিয়ে কিনি charger সহ ৪০৬০০ টাকা খরচ হয়েছে  samsung a55 এই ফোন কিনি অপর দোকান গুলাই প্রায়স বেশি এর থেকে কিছুটা যেমন ৩৮৯০০/৩৯০০০/৩৮৯৯০ ইত্যাদি এমন বা এই টাইপ প্রায়স/price তো আমি এইখানে যেমন ৩৮৫০০টাকা দিয়ে পেয়েছি বাকি ফোন এর কোন দোকানে এই দাম পাইনাই বিধায় এই দোকান থেকে ফোন ক্রয় করি এবং আরো বলে নি ফেব্রুয়ারি মাসে আবার কম ছিলো দাম মানে ১০০০/১৫০০/৭০০/৮০০ এমন টাকা কম ছিল কিছু দোকানে বা প্রায় দোকানে মানে যেমন ৩৭২০০/৩৭০০০/৩৬৯৯০/৩৬৯৯৯ ইত্যাদি এমন টাকার দামে ছিলো samsung a55 (8/128gb) এর এই ফোন টা তো তখন আমার টাকাটা ম্যানেজ হয় নাই বা এত টাকা ছিলো না এখন টাকা ম্যানেজ করে বা টাকা জোগাড় হয়েছে তাই এইখান থেকে (gollachut telecare) কিনেছি এইখানে ওরা বলছে best deal দিবে তাই ভাবলাম এইখান থেকেই কিনি বা কিনবো হয়ত দাম কিছুটা কমাতে ও পারি বা কমাবে কিনলে ওদের থেকে এবং তাই আমি অপর দোকানে না গিয়ে এইখান থেকেই কিনে নি ফোন এবং ফোন চেক করে unboxing করে ক্যাশমেমো ইত্যাদি all oka করে এর পরে বাসায় রওনা দি তো এখন আমার মুল কথা হচ্ছে আমার এই ফোন ব্যবহার করায় কোন সমস্যা তো নেই এই ফোন ব্যবহার করা ইত্যাদি যেইটা ইচ্ছা করতে পারবো আমি তা জায়েজ তো হবে যদি পরে মনে করেন আমি এই ফোন বিক্রিও করি তা ও তো জায়েজ হবে মানে সেই টাকা ও তো জয়েজ  হবে এবং সহজ ভাবে বলতে আমার এই ফোন টা আমি যেইটা  ইচ্ছা বা যেমন ইচ্ছা ব্যবহার ইত্যাদি করতে পারবো এতে কোন সমস্যা তো নেই ⁉️

এইযে দোকানের ফেসবুক পেজ যেই শপ থেকে আমি আমার মোবাইল ক্রয় করি দেখে নিবেন যদি দেখতে চান :(https://www.facebook.com/share/14ryyhnqdA/)

⚠️বি.দ্র: গুলিস্তান এর মত জায়গায় হলে এক কথা ছিলো চুরির ফোন/ নকল ফোন ইত্যাদি এইসব এর রিস্ক বা এমন ফোন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাইনা, তো আমি বি.দ্র এর এই কথাগুলা বুজার জন্য বললাম আরকি বা এমনে বলছি তা ও মনে করতে বা বলতে পারেন।

by (20 points)
হুজুর আমি যেই দাম  দিয়ে কিনেছি বসুন্ধরার আরো কিছু ১/২ টা দোকানে বা কিছু দোকানে বা বেশ কিছু বা প্রায় দোকানে হয়ত এই দামে এখন বিক্রি হচ্ছে বা এই দাম এই আছে কারন ফোন এর দাম update হতে থাকে কিন্ত যেহেতু আমার বল্লামি ওদের সাথে মানে যাদের থেকে ফোন কিনেছি তাদের সাথে কিছুটা বা প্রায় নিশ্চিত যে ওদের থেকে নিবো তো যাইহোক আমি আরো বলি তা হচ্ছে আমি chatgpt app use করে তার থেকে কিছু তথ্য নিয়ে ও কিছু টা বুজার চেষ্টা এবং টেস্ট করি যে ফোন আগের ব্যবহার বা আল্লাহ না করুক চুরির কেনো যতই বসুন্ধরার যেমন শপ হোক না কেনো কিছু দোকান বা শপ এ তো refurbished /used মানুষ কে নতুন বলে ও বিক্রি করে তো আমি নিজে এবং chatgpt এর সাহায্য নিয়ে যতটুকু বুজতে পারি আমার ফোন কোন চুরির বা ব্যবহার করা না মানে আমার ফোন brand new unofficial phone যেমনটা আমি কিনেছি এবং দোকানদাররা ও আমাকে দিয়েছে বাকি এখন আল্লাহ ভালো জানেন। 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم  

https://ifatwa.info/97981/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
মুসলিম সরকার জনগনের উপকারার্থে যে আইন করে, তা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম না হলে তা মানা সে দেশের নাগরিকের জন্য আবশ্যক।

আল্লাহ তা'আলা সরকার প্রধানের বৈধ বিধি-নিষেধের আনুগত্য সম্পর্কে বলেন-
{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأمْرِ مِنْكُمْ}

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা সরকার/বিচারক তাদের।
সূরা নিসা-৫৯

কর প্রদাণের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে সহায়তা করা নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাপকতায় শামিল রয়েছে।

 {وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلا تَعَاوَنُوا عَلَى الإثْمِ وَالْعُدْوَانِ}

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।
সূরা মায়েদা-০২

সেই হিসেবে পণ্য আমদানীর উপর সরকারী ট্যাক্স প্রদান করাই উচিত। তা ফাঁকি দেয়া বা ঘুষ দিয়ে আমদানী ঠিক নয়।

ট্যাক্স সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
কিন্তু কেহ যদি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পণ্য নিয়ে এসে দেশে এসে ব্যবসা করে, এ কারণে ব্যবসাকৃত টাকাকে হারাম বলা যাবে না।
যদিও আমদানী করার পদ্ধতিটা শরয়ী সাপোর্ট যোগ্য নয়। কিন্তু এ কারণে পণ্য বিক্রির টাকাকে হারাম বলা যাবে না।
এভাবে কর ও ট্যাক্স ফাকি দিয়ে পণ্য আমদানী করা থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য। 

আরো জানুনঃ 
,
আন অফিসিয়াল মোবাইল ক্রয় করা আপনার জন্য নাজায়েজ নয়।
এতে যদি তারা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়,তারপরেও  আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।    
এই গুনাহ তার উপরেই বর্তাবে।
,
কুরআন শরীফে এসেছেঃ  

وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ 

আল্লাহ তায়ালা  কাহারো গুনাহের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেননা।
(সুরা ফাতির ১৮)

তবে জেনে শুনে এ ধরনের মোবাইল ক্রয় করা হতে উলামায়ে কেরামগন নিষেধ করেছেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ফোন ফোন ক্রয় করা আপনার জন্য নাজায়েজ নয়, আপনি যেহেতু ক্রয় করেছেন,সুতরাং তাহা ব্যবহার করা,অন্যের কাছে বিক্রয় করা সবই আপনার জন্য জায়েজ আছে।

উল্লেখ্য,  আনঅফিসিয়াল মোবাইল ক্রয় করা হতে উলামায়ে কেরামগন নিষেধ করেছেনতা ভবিষ্যতে আনঅফিসিয়াল ফোন ক্রয় না করার পরামর্শ থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...