আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
969 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (63 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমি শুনলাম ওযুর আগে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলা আবশ্যক। কথা টা আসলেই কি সত্যি?কারণ এখন বাথরুম টয়লেট একসাথে স্থাপন করা হয়,এখন বাহিরে বিসমিল্লাহ বলেও ভিতরে ঢুকে অজু করা যায় কিন্তু, আমি জানতে চাচ্ছি ওযুর আগে বিসমিল্লাহ বলতেই হবে একদম আবশ্যক নাহলে কি অজু হবে না?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রত্যেক ভাল ও উত্তম কাজ শুরু করার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নাত।হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ 
عَنْﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻛُﻞُّ ﻛَﻠَﺎﻡٍ ﺃَﻭْ ﺃَﻣْﺮٍ ﺫِﻱ ﺑَﺎﻝٍ ﻟَﺎ ﻳُﻔْﺘَﺢُ ﺑِﺬِﻛْﺮِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺃَﺑْﺘَﺮُ - ﺃَﻭْ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻗْﻄَﻊُ - 
যেসমস্ত কথা/ গুরুত্বপূর্ণ কাজকে বিসমিল্লাহ ব্যতীত শুরু করা হবে,তা লেজকাটা/ বরকতশূন্য হবে।(মুসনাদে আহমদ-৮৬৯৪)

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
" ﺍﺗﻔﻖ ﺃﻛﺜﺮ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﻋﻠﻰ ﺃﻥ ﺍﻟﺘﺴﻤﻴﺔ ﻣﺸﺮﻭﻋﺔ ﻟﻜﻞ ﺃﻣﺮ ﺫﻱ ﺑﺎﻝ ، ﻋﺒﺎﺩﺓ ﺃﻭ ﻏﻴﺮﻫﺎ
প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিসমিল্লাহ্ বলা শরীয়ত সিদ্ধ নিয়ম।চাহে তা ইবাদত হোক বা অন্যকিছু হোক। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 433

অজুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত।বিসমিল্লাহ না বললেও অজু হবে।যে হাদীসে বিসমিল্লাহ না বললে অজু হবে না,বলা হচ্ছে,সেই হাদীসের অর্থ হল,বিসমিল্লাহ না বললে অজুর পূর্ণতা হবে না।অজুর পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না।অজু যে হবেই না,বিষয়টা আসলে এমন নয়।

কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ 
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)

তাই বুঝা গেল যে,প্রথমত বাথরুমে ওজু না করাই উত্তম,তবে ওজু করাও জায়েয।অন্যদিকে বাথরুমে ওজু করলে মাসনুন দু'আ সমুহ পড়া লাগবে না এবং পড়া যাবেও না।এমনকি আয়না দেখার দু'আ ও পড়া যাবে না।এ সম্পর্কে আরো জানুন-1015

বাথরুমে অজু করার ইচ্ছা হলে,বাথরুমে ঢোকার পূর্বেই বিসমিল্লাহ বলে বাথরুমে ঢোকা হবে,তারপর বাথরুমের ভিতর অজুকে সম্পন্ন করে বের হয়ে অজুর আখেরি দু'আ পড়তে হবে। বিস্তারিত জানুন-6961


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...