ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রত্যেক ভাল ও উত্তম কাজ শুরু করার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নাত।হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ
عَنْﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻛُﻞُّ ﻛَﻠَﺎﻡٍ ﺃَﻭْ ﺃَﻣْﺮٍ ﺫِﻱ ﺑَﺎﻝٍ ﻟَﺎ ﻳُﻔْﺘَﺢُ ﺑِﺬِﻛْﺮِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺃَﺑْﺘَﺮُ - ﺃَﻭْ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻗْﻄَﻊُ -
যেসমস্ত কথা/ গুরুত্বপূর্ণ কাজকে বিসমিল্লাহ ব্যতীত শুরু করা হবে,তা লেজকাটা/ বরকতশূন্য হবে।(মুসনাদে আহমদ-৮৬৯৪)
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
" ﺍﺗﻔﻖ ﺃﻛﺜﺮ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﻋﻠﻰ ﺃﻥ ﺍﻟﺘﺴﻤﻴﺔ ﻣﺸﺮﻭﻋﺔ ﻟﻜﻞ ﺃﻣﺮ ﺫﻱ ﺑﺎﻝ ، ﻋﺒﺎﺩﺓ ﺃﻭ ﻏﻴﺮﻫﺎ
প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিসমিল্লাহ্ বলা শরীয়ত সিদ্ধ নিয়ম।চাহে তা ইবাদত হোক বা অন্যকিছু হোক। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
433
অজুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত।বিসমিল্লাহ না বললেও অজু হবে।যে হাদীসে বিসমিল্লাহ না বললে অজু হবে না,বলা হচ্ছে,সেই হাদীসের অর্থ হল,বিসমিল্লাহ না বললে অজুর পূর্ণতা হবে না।অজুর পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না।অজু যে হবেই না,বিষয়টা আসলে এমন নয়।
কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)
তাই বুঝা গেল যে,প্রথমত বাথরুমে ওজু না করাই উত্তম,তবে ওজু করাও জায়েয।অন্যদিকে বাথরুমে ওজু করলে মাসনুন দু'আ সমুহ পড়া লাগবে না এবং পড়া যাবেও না।এমনকি আয়না দেখার দু'আ ও পড়া যাবে না।এ সম্পর্কে আরো জানুন-
1015
বাথরুমে অজু করার ইচ্ছা হলে,বাথরুমে ঢোকার পূর্বেই বিসমিল্লাহ বলে বাথরুমে ঢোকা হবে,তারপর বাথরুমের ভিতর অজুকে সম্পন্ন করে বের হয়ে অজুর আখেরি দু'আ পড়তে হবে। বিস্তারিত জানুন-
6961