আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
edited by
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته.

১.উস্তাজ আমি যতোদূর জানি মাহরম ছাড়া মেয়েদের সফর দূরত্বে যাওয়া + সেখানে অবস্থান করা নিষেধ। এবং আমি এই বিষয়টা কঠোরভাবে মেনে চলার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। আমার বড়বোনের সিজারে ছেলে হয়েছে একমাস হলো আলহামদুলিল্লাহ। ওরা ঢাকায় থাকে। ঢাকায় আমার ভাইয়া মামারাও আছে। তাই আম্মুসহ এখানে আছি ওকে সাহায্য করতে। প্রথম মা হয়েছে আবার সিজার। একা একা তো সব সামলানো যায় না।
কিন্তু সমস্যা হলো ওরা ১৫ রমাদ্বনের দিকে ওর শ্বশুর বাড়ি যাবে যেটা ঢাকা থেকে বেশ দূরে (৮-১০ ঘণ্টার পথ)। ওর জামাই রেখে আসবে। ওর শ্বশুর বাড়িতে এমন কেউ নেই যে ওর দেখাশোনা করবে। ওর শাশুড়ী প্যারালাইড + মাথায় হালকা সমস্যা আছে। বাসায় শ্বশুর শাশুড়ী একা থাকে। ওর শাশুড়ির ঔষধ হচ্ছে উনাকে খুশি রাখা। ওর শাশুড়ী ওর ছেলেকে দেখতে খুবই আগ্রহী। আবার কখন কী হয় না হয়। সেজন্য ওখানে যাওয়াটা জরুরী। যত দ্রুত 'ও' একটু সুস্থ হবে ততো দ্রুত ওখানে যাওয়া হবে এরকম। কিন্তু সমস্যা হলো ওর দেখাশোনা বা সাহায্য করার জন্য ওখানে কেউ না থাকায় এখন ওর জামাই আমাকে আর আম্মুকে সহ ওখানে যেয়ে রেখে আসবে। তারপর ঈদের আগে আগে হয়তো আমরা বাসায় চলে যাব।
এখন আমার এই পুরো জার্নিতে কোনো মাহরম থাকবে না। আবার ওর শ্বশুর বাড়িতে যতোদিন থাকবো কোনে মাহরম থাকবে না। আবার ঈদের আগে যে বাসায় যাব, ওখান থেকে আমাদের বাসাও ৭-৮ ঘণ্টার পথ। সেখানে কোনো মাহরম না থাকার সম্ভবনাই বেশি। হয়তো আম্মু আর আমাকে একাই যেতে হবে।

এখন আমি কী করবো বুঝতে পারছি না। ওকে এই অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে একা রাখা সম্ভব না। আবার আমার মন একদম সায় দিচ্ছে না এতোগুলো মাহরাম ছাড়া সফর ও অবস্থানে। আবার কিছু বলতেও পারছি না। আমি না গেলে শুধু আম্মু যাবে। আম্মুও অসুস্থ। বেশি ভারী কাজ করলে কোমড় ব্যাথা করে। একদম বেডরেস্টে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। আমি না গেলে আম্মুর উপর অনেক জুলুম হয়ে যাবে।
সফরে বোনের জামাই থাকবে। ট্রেনের কেবিনে যাবে রাতের বেলা। দিনে গেলে বাবু অনেক কান্নাকাটি করবে তাই রাতের সফর। ওখানকার পরিবেশ আলহামদুলিল্লাহ ফিতনাহমুক্ত। ভাইয়া + উনার ফ্যামিলির সবাই বেশ প্র্যাক্টিসিং। উনারা আমার বিষয়টা বুঝতে পারছেন কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে উনারাও অপারগ।

এখন আমি কী করবো? খুব করে দু'আ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে কী আমার জন্য কোনো রুখসত আছে এই হুকুমে?

উত্তরটা একটু দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করলে মুনাসিব হতো।


২. আরেকটা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। আমরা জানি ক্বদরের রাতের ইবাদাত ১০০০ মাস অপেক্ষা উত্তম। কারো যদি জীবনে ৬/৭ বছরের সলাত উমরি কাযা থাকে এবং তিনি যদি ক্বদরের রাতে সেই সলাতগুলো একবার কাযা পড়েন তাহলে কি সব কাযা পূরণ হবে? যেহেতু এই রাতের একটি আমল ১০০০ মাস যাবত করার সমান।

جزاكم الله خيرا كثيرا في الدنيا والآخرة

1 Answer

0 votes
by (598,170 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কোনো নারীর জন্য দুরবর্তি সফর (৭৮ কিলোমিটার)  মাহরাম পুরুষ ছাড়া করা জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

 [‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।

সহীহ : বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ مُسْلِمَةٍ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ لَيْلَةٍ، إِلَّا وَمَعَهَا رَجُلٌ ذُو حُرْمَةٍ مِنْهَا

আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলিম নারীর জন্য সাথে মাহরাম (যার সাথে বিবাহ হারাম এমন আত্মীয়) ছাড়া এক রাতের রাস্তা সফর করা বৈধ নয়।
(আবু দাউদ ১৭২৩)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বড় বোনের শশুড় বাড়ি যদি ঢাকা হতে ৭৮ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি দূরত্বে হয়,সেক্ষেত্রে মাহরাম পুরুষ ছাড়া এভাবে সফর করা আপনার জন্য জায়েজ হবেনা।
মাহরাম পুরুষ ছাড়া সফর করলে সেক্ষেত্রে তওবা আবশ্যক হবে।

তবে আপনার বড় বোনের শশুড় বাড়ি যদি ঢাকা হতে ৭৮ কিলোমিটার এর চেয়ে কম হয়,সেক্ষেত্রে এভাবে মাহরাম পুরুষ ছাড়া সফর করলে আপনার গুনাহ হবেনা।

(০২)
কারো যদি জীবনে ৬/৭ বছরের সলাত উমরি কাযা থাকে এবং তিনি যদি ক্বদরের রাতে সেই সলাতগুলো একবার কাযা পড়েন তাহলে সব কাযা পূরণ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 163 views
...